খেজুরের রস পানে সতর্কতা

শীত হচ্ছে একটি উৎসব-আমেজের ঋতু। শীত মানেই বিভিন্ন পিঠাপুলির উৎসব আর খেজুর রস সংগ্রহের একটা ব্যস্ততম সময়। শীতকালে গাছিরা খেজুর রস সংগ্রহ করার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। এ প্রস্তুতি হিসাবে তারা খেজুর গাছের মাথা ভালো করে পরিষ্কার করে সাদা অংশ কেটে রোদে শুকিয়ে রাখে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর গাছিরা গাছের মাথার শুকানো সাদা অংশ কেটে নল লাগিয়ে ছোট বড় হাঁড়ি বেঁধে রস সংগ্রহ করে থাকে। অনেক গাছি এই সংগ্রহ করা রস হাট-বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে।

খেজুর রস পান করলে শরীরের দুর্বলতা দূর হয়। কারণ এতে উচ্চ প্রাকৃতিক চিনি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে। তবে অবশ্যই আমাদের খেজুর রস পান করার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অনেকে কাঁচা খেজুর রস পান করে থাকে। কিন্তু এই কাঁচা রস সরাসরি পান করা মোটেও নিরাপদ নয়। এতে রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি । মৃত্যুর কারণও হতে পারে। বিষাক্ত সাপ, বাদুড় এবং অন্যান্য কীটপতঙ্গ কাঁচা রসের মিষ্টি গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে হাঁড়ি থেকে রস খায়। এভাবে ধীরে ধীরে পুরো হাঁড়ির রস বিষাক্ত হয়ে যায়।

বাদুড় নিপাহ নামক ভাইরাস বহন করে থাকে। তাই বাদুর যখন রস পান করে, তার থেকে নির্গত হওয়া নিপাহ ভাইরাসটি সমগ্র রসে ছড়িয়ে পড়ে, যা মানুষ পান করলে তার মৃত্যুও হতে পারে। আইইডিসিআরের তথ্য মতে, ২০০১ থেকে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাসে ৩০৩ জন আক্রান্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে ২১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা মোট আক্রান্তের প্রায় ৭০ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ-৭০ থেকে ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে রস উত্তপ্ত করতে হবে। তাহলেই ভাইরাস মরে যাবে। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক হতে হবে।

শাহাদাত হোসেন সাগর

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ , ১০ মাঘ ১৪২৯, ৩০ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

খেজুরের রস পানে সতর্কতা

image

শীত হচ্ছে একটি উৎসব-আমেজের ঋতু। শীত মানেই বিভিন্ন পিঠাপুলির উৎসব আর খেজুর রস সংগ্রহের একটা ব্যস্ততম সময়। শীতকালে গাছিরা খেজুর রস সংগ্রহ করার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। এ প্রস্তুতি হিসাবে তারা খেজুর গাছের মাথা ভালো করে পরিষ্কার করে সাদা অংশ কেটে রোদে শুকিয়ে রাখে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর গাছিরা গাছের মাথার শুকানো সাদা অংশ কেটে নল লাগিয়ে ছোট বড় হাঁড়ি বেঁধে রস সংগ্রহ করে থাকে। অনেক গাছি এই সংগ্রহ করা রস হাট-বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে।

খেজুর রস পান করলে শরীরের দুর্বলতা দূর হয়। কারণ এতে উচ্চ প্রাকৃতিক চিনি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে। তবে অবশ্যই আমাদের খেজুর রস পান করার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অনেকে কাঁচা খেজুর রস পান করে থাকে। কিন্তু এই কাঁচা রস সরাসরি পান করা মোটেও নিরাপদ নয়। এতে রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি । মৃত্যুর কারণও হতে পারে। বিষাক্ত সাপ, বাদুড় এবং অন্যান্য কীটপতঙ্গ কাঁচা রসের মিষ্টি গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে হাঁড়ি থেকে রস খায়। এভাবে ধীরে ধীরে পুরো হাঁড়ির রস বিষাক্ত হয়ে যায়।

বাদুড় নিপাহ নামক ভাইরাস বহন করে থাকে। তাই বাদুর যখন রস পান করে, তার থেকে নির্গত হওয়া নিপাহ ভাইরাসটি সমগ্র রসে ছড়িয়ে পড়ে, যা মানুষ পান করলে তার মৃত্যুও হতে পারে। আইইডিসিআরের তথ্য মতে, ২০০১ থেকে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাসে ৩০৩ জন আক্রান্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে ২১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা মোট আক্রান্তের প্রায় ৭০ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ-৭০ থেকে ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে রস উত্তপ্ত করতে হবে। তাহলেই ভাইরাস মরে যাবে। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক হতে হবে।

শাহাদাত হোসেন সাগর