৬৯ রুশ জাহাজ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ

রূপপুরের সরঞ্জাম বিকল্প পথে পাঠানো হবে, তাসকে জানালো রোসাটম

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকা ৬৯টি রুশ জাহাজের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রর মালামাল আনার ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হবে কি না, রোসাটামের কাছে এমন প্রশ্ন তুলেছে রুশ রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস।

রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থা- রোসাটম রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে গত ডিসেম্বরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে আসা একটি রুশ জাহাজকে (উরসা মেজর) মোংলা বন্দরে ভিড়তে দেয়নি বাংলাদেশ। জাহাজটি পণ্য খালাস না করেই ফেরত গিয়েছিল।

রোসাটম তাসকে বলেছে, রূপপুরের সরঞ্জাম বিকল্প পথে পাঠানো হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার প্রভাব প্রকল্পে পড়বে না। যথাসময়েই প্রকল্প বাস্তাবয়ন করা হবে।

ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়ার অনেকগুলো জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

তাস বলছে, আঞ্চলিক গণমাধ্যমগুলোতে খবর বেরিয়েছে যে, রাশিয়ান জাহাজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ।

এদিকে ঢাকার রুশ দূতাবাস তাস-কে জানিয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকা রাশিয়ার ৬৯টি জাহাজকে সব বন্দরে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। জানুয়ারিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই জাহাজগুলোর তালিকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দিয়েছিল।

রোসাটম তাসকে বলেছে, রূপপুরের সরঞ্জাম বহনকারী একটি জাহাজ নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছিল। এছাড়া পণ্য পাঠানো অব্যাহত আছে।

জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতেও তিনটি জাহাজ রূপপুরের পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে ভিড়েছে বলেও জানায় রোসাটম।

ঢাকার রুশ দূতাবাস রুশ বার্তা সংস্থাটিকে বলেছে, নির্দিষ্ট কিছু জাহাজে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে, তার মানে এই নয় বাংলাদেশে রুশ পণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। গম রপ্তানি অব্যাহত আছে। গত বছর জুলাই থেকে চলতি বছর জানুয়ারির মধ্যে ৯২০ মেট্রিক টন শস্য বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, ‘একটি জাহাজ মাল নিয়ে ফেরত গিয়েছিল। আসলে পণ্য পাঠানোর দায়িত্ব রোসাটমের। তারা জানে কীভাবে পাঠাবে। আমাদের দায়িত্ব প্রকল্প এলাকায় মাল বুঝে নেয়া।’

গত বছর ডিসেম্বরে রূপপুরের মালামাল নিয়ে আসা একটি রুশ জাহাজ (উরসা মেজর) মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে মোংলায় ভিড়তে দেয়নি বাংলাদেশ। পরে জানুয়ারির মাঝামাঝি জাহাজটি কলকাতা বন্দর মালামাল খালাসের চেষ্টা করেও নোঙরের অনুমতি পায়নি। ওই মালামাল পরে বিকল্প পথে পাঠানো হবে বলে জানায় রোসাটম।

ওই ঘটনার এক মাসের মধ্যে অন্য দুটি জাহাজ রূপপুরের সরঞ্জাম নিয়ে মোংলা আসে।

বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ , ০৩ ফাল্গুন ১৪২৯, ২৪ রজব ১৪৪৪

৬৯ রুশ জাহাজ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ

রূপপুরের সরঞ্জাম বিকল্প পথে পাঠানো হবে, তাসকে জানালো রোসাটম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকা ৬৯টি রুশ জাহাজের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রর মালামাল আনার ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হবে কি না, রোসাটামের কাছে এমন প্রশ্ন তুলেছে রুশ রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস।

রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থা- রোসাটম রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে গত ডিসেম্বরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে আসা একটি রুশ জাহাজকে (উরসা মেজর) মোংলা বন্দরে ভিড়তে দেয়নি বাংলাদেশ। জাহাজটি পণ্য খালাস না করেই ফেরত গিয়েছিল।

রোসাটম তাসকে বলেছে, রূপপুরের সরঞ্জাম বিকল্প পথে পাঠানো হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার প্রভাব প্রকল্পে পড়বে না। যথাসময়েই প্রকল্প বাস্তাবয়ন করা হবে।

ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়ার অনেকগুলো জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

তাস বলছে, আঞ্চলিক গণমাধ্যমগুলোতে খবর বেরিয়েছে যে, রাশিয়ান জাহাজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ।

এদিকে ঢাকার রুশ দূতাবাস তাস-কে জানিয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকা রাশিয়ার ৬৯টি জাহাজকে সব বন্দরে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। জানুয়ারিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই জাহাজগুলোর তালিকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দিয়েছিল।

রোসাটম তাসকে বলেছে, রূপপুরের সরঞ্জাম বহনকারী একটি জাহাজ নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছিল। এছাড়া পণ্য পাঠানো অব্যাহত আছে।

জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতেও তিনটি জাহাজ রূপপুরের পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে ভিড়েছে বলেও জানায় রোসাটম।

ঢাকার রুশ দূতাবাস রুশ বার্তা সংস্থাটিকে বলেছে, নির্দিষ্ট কিছু জাহাজে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে, তার মানে এই নয় বাংলাদেশে রুশ পণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। গম রপ্তানি অব্যাহত আছে। গত বছর জুলাই থেকে চলতি বছর জানুয়ারির মধ্যে ৯২০ মেট্রিক টন শস্য বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, ‘একটি জাহাজ মাল নিয়ে ফেরত গিয়েছিল। আসলে পণ্য পাঠানোর দায়িত্ব রোসাটমের। তারা জানে কীভাবে পাঠাবে। আমাদের দায়িত্ব প্রকল্প এলাকায় মাল বুঝে নেয়া।’

গত বছর ডিসেম্বরে রূপপুরের মালামাল নিয়ে আসা একটি রুশ জাহাজ (উরসা মেজর) মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে মোংলায় ভিড়তে দেয়নি বাংলাদেশ। পরে জানুয়ারির মাঝামাঝি জাহাজটি কলকাতা বন্দর মালামাল খালাসের চেষ্টা করেও নোঙরের অনুমতি পায়নি। ওই মালামাল পরে বিকল্প পথে পাঠানো হবে বলে জানায় রোসাটম।

ওই ঘটনার এক মাসের মধ্যে অন্য দুটি জাহাজ রূপপুরের সরঞ্জাম নিয়ে মোংলা আসে।