গবেষণা : বিশ্বকাপ ফাইনালে দু’দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন গোলরক্ষক মার্টিনেজ

ফুটবলে যত দিন যাচ্ছে, ততই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে পেনাল্টি শুট-আউট তথা টাইব্রেকারের ভূমিকা। নক-আউট ম্যাচে দুই দলের পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে টাইব্রেকার। তিন মাস আগে ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালেও জয়ী দল নির্ধারিত হয়েছে সেভাবেই। বিভিন্ন পরিসংখ্যানের দেখা যাচ্ছে কোন কোন দলের সাফল্য শুট-আউটে খুবই ভালো। আবার কিছু দল ধারাবাহিকভাবে শুট-আউটে ব্যর্থ হয়েই যাচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুট-আউট হলে কীভাবে সাফল্য পাওয়া সম্ভব? কোন পদ্ধতি অনুকরণ করতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছে বিভিন্ন দল? কারণ জানতে গবেষণা করেছেন নরওয়ের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। তিনি মূলত একটি জিনিসের কথাই তুলে ধরেছেন। তা হলো মানসিকতা।

গবেষক জেয়ার জর্ডেটের মতে, শুট-আউটের সময় ম্যাচের গতিপ্রকৃতি গোলকিপারের থেকে বেশি কেউ প্রভাবিত করতে পারেন না। তিনি জানিয়েছেন, ফাইনালে আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের মধ্যে যদি আসল পার্থক্য কেউ গড়ে দিয়ে থাকেন, তিনি গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বিশ্বকাপের সময়ে এবং পরে যিনি বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত চরিত্র হয়ে উঠেছেন। ফলে ফাইনালে জোড়া গোল করা মেসি নয়, ট্রফি জয়ের আসল কৃতিত্ব মার্টিনেজের বলেই মনে করছে গবেষণা।

নিজের গবেষণায় মার্টিনেজকে ‘ফুটবলের ম্যাকিয়াভেলি’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন জর্ডেট। শুট-আউটের সময় বিশেষ করে মার্টিনেজের আচরণের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। ফাইনালের বিশ্লেষণ করার আগে জর্ডেট উল্লেখ করেন ২০২১ সালের কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে শুট-আউটের কথা। সেই ম্যাচে উল্টোপাল্টা কথা বলে বিপক্ষের নজর ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন মার্টিনেজ।

সেই ম্যাচ হয়েছিল রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে। ফলে মাইক্রোফোনে স্পষ্ট শোনা গিয়েছিল মার্টিনেজের কথাবার্তা। যিনিই শট নিতে আসছিলেন, তাকে উদ্দেশ্য করে মার্র্টিনেজ বলছিলেন, ‘আমি জানি তুমি নার্ভাস। জানি কোন দিকে তুমি শট নেবে। দেখো কীভাবে আমি শট বাঁচিয়ে দিই। মনে রেখো, আমি তোমার শট বাঁচাবোই।’ বিশ্বকাপ ফাইনালে মার্টিনেজের আসল চেহারা দেখা যায়। শুট-আউটের সময় পেনাল্টি বক্সকে নিজের এলাকা বানিয়ে ফেলেছিলেন মার্টিনেজ। পণ করেছিলেন, সেখানে তিনি দুর্ভেদ্য হয়ে উঠবেন।

ফ্রান্সের ফুটবলারদের প্রথম থেকেই বিক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। ফ্রান্সের প্রথম দুটি শটের সময় রেফারিকে বার বার বলছিলেন, বল ঠিক জায়গায় রাখা হয়েছে কি-না দেখতে। এ ধরনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ফুটবলারের ফোকাস নড়ে যায়। সেই ফুটবলার রেফারিকেও দুষতে থাকেন। কিংসলে কোমানের দ্বিতীয় পেনাল্টি সেভাবেই বাঁচিয়ে দেন মার্টিনেজ। তারপরে চিৎকার করে উচ্ছ্বাস করতে থাকেন।

সাধারণত গোলকিপাররা ওভাবে উচ্ছ্বাস করেন না। তবে জর্ডেট গবেষণা করে দেখেছেন, উচ্ছ্বাস মাত্রা ছাড়ালে পরবর্তী ঘটনাক্রমে তা প্রভাব ফেলে। জর্ডেট বলেন, ‘পেনাল্টিতে গোল করে যেসব ফুটবলার বেশি উচ্ছ্বাস করে, সেই দলের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কোন ফুটবলার বেশি উচ্ছ্বাস করলে পরবর্তী ফুটবলারের মিস করার সম্ভাবনা ১০-১৫ শতাংশ এবং যে ফুটবলার বাড়তি উচ্ছ্বাস করেছেন, তার সতীর্থদের গোল করার সম্ভাবনা ৭-৮ শতাংশ বেড়ে যায়।’

ফাইনালে ফ্রান্সের অরেলিয়ে চুয়ামেনি কিক নিতে আসার সময় মার্টিনেজের হাতে বল ছিল। তিনি আর্জেন্টিনীয়দের উদ্দেশে ইঙ্গিত করে আরও বেশি চিৎকার করতে বলছিলেন। রেফারি বল চাইলে মার্টিনেজ সেটি ৪৫ ডিগ্রি কোণে ছুড়ে দেন। চুয়ামেনিকে গিয়ে সেই বল ধরতে হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যদি কোন ফুটবলারকে শট নেয়ার আগে অপেক্ষা করতে হয়, তার গোল করার সম্ভাবনা ২০-৩০ শতাংশ কমে যায়। ফলে চুয়ামেনিও শট মিস করেন।

মার্টিনেজ জানতেন যে তিনি যে পদ্ধতি নিয়েছেন, বিপক্ষ গোলকিপার হুগো লরিসও সেটাই করতে পারেন। তাই চুয়ামেনির শটের পরেই বল নিয়ে নিজেই সতীর্থ লিয়ান্দ্রো পারেদেসের হাতে তুলে দেন। সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনার চার ফুটবলারই গোল করেছিলেন। মার্টিনেজ সম্পর্কে জর্ডেট লিখেছেন, ‘খুব হিসেবি, সৃষ্টিশীল একটা চরিত্র।’

গত ২০ বছর ধরে প্রতিটি বিশ্বকাপের সব পেনাল্টি শুট-আউট দেখেছেন জর্ডেট। দুইশ’টিরও বেশি শট বিশ্লেষণ করেছেন। ২০০০ কিক দেখেছেন। শুট-আউটের সময় ফুটবলারদের মানসিকতা, আচার-আচরণ এবং চলাফেরা খুঁটিয়ে দেখেছেন তিনি। অতীতে ইংল্যান্ডের সাবেক গোলকিপার পিটার শিল্টন বলেছিলেন, ‘পেনাল্টি হলো ভাগ্যের ব্যাপার।’ জর্ডেট তা মানতে রাজি নন। তার মতে, পেনাল্টির পিছনে জড়িয়ে বিজ্ঞান। তার জন্যই সাফল্য এবং ব্যর্থতার বিভেদ ক্রমশ কমছে। ২০২১-এ অলিম্পিক্সে পুরুষ এবং মহিলা বিভাগে জয়ী দুই দলই ফাইনালে সাফল্য পেয়েছিল শুট-আউটে।

দল বা দেশের পরিসংখ্যান বার করতে গিয়ে জর্ডেট দেখিয়েছেন, ইংল্যান্ড ১০ বারের মধ্যে ৭ বার হেরেছে। নেদারল্যান্ডস আটটির মধ্যে সাতটি হেরেছে। স্পেন শেষ চার বারই হেরেছে। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা শেষ তিন বার, ক্রোয়েশিয়া শেষ চার বার এবং জার্মানি শেষ ছয়টি শুট-আউটে জিতেছে। কোন দল যদি পরিসংখ্যানে পিছিয়ে থাকার কথা মাথায় রেখে শুট-আউটে নামে, তাদের ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। একই ভাবে অতীতে সাফল্য থাকলে ভবিষ্যতেও সাফল্য মিলবে।

জর্ডেটের মতে, যত দিন যাবে, ততই পেনাল্টির গুরুত্ব বাড়বে। পেনাল্টির ক্ষেত্রে সাহায্য চেয়ে ইতোমধ্যেই জর্ডেটের কাছে আবেদন করেছে ২০টি ক্লাব। তাদের সাধ্যমতো সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার, ০৯ মার্চ ২০২৩ , ২৪ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৬ শবান ১৪৪৪

গবেষণা : বিশ্বকাপ ফাইনালে দু’দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন গোলরক্ষক মার্টিনেজ

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

ফুটবলে যত দিন যাচ্ছে, ততই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে পেনাল্টি শুট-আউট তথা টাইব্রেকারের ভূমিকা। নক-আউট ম্যাচে দুই দলের পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে টাইব্রেকার। তিন মাস আগে ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালেও জয়ী দল নির্ধারিত হয়েছে সেভাবেই। বিভিন্ন পরিসংখ্যানের দেখা যাচ্ছে কোন কোন দলের সাফল্য শুট-আউটে খুবই ভালো। আবার কিছু দল ধারাবাহিকভাবে শুট-আউটে ব্যর্থ হয়েই যাচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুট-আউট হলে কীভাবে সাফল্য পাওয়া সম্ভব? কোন পদ্ধতি অনুকরণ করতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছে বিভিন্ন দল? কারণ জানতে গবেষণা করেছেন নরওয়ের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। তিনি মূলত একটি জিনিসের কথাই তুলে ধরেছেন। তা হলো মানসিকতা।

গবেষক জেয়ার জর্ডেটের মতে, শুট-আউটের সময় ম্যাচের গতিপ্রকৃতি গোলকিপারের থেকে বেশি কেউ প্রভাবিত করতে পারেন না। তিনি জানিয়েছেন, ফাইনালে আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের মধ্যে যদি আসল পার্থক্য কেউ গড়ে দিয়ে থাকেন, তিনি গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বিশ্বকাপের সময়ে এবং পরে যিনি বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত চরিত্র হয়ে উঠেছেন। ফলে ফাইনালে জোড়া গোল করা মেসি নয়, ট্রফি জয়ের আসল কৃতিত্ব মার্টিনেজের বলেই মনে করছে গবেষণা।

নিজের গবেষণায় মার্টিনেজকে ‘ফুটবলের ম্যাকিয়াভেলি’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন জর্ডেট। শুট-আউটের সময় বিশেষ করে মার্টিনেজের আচরণের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। ফাইনালের বিশ্লেষণ করার আগে জর্ডেট উল্লেখ করেন ২০২১ সালের কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে শুট-আউটের কথা। সেই ম্যাচে উল্টোপাল্টা কথা বলে বিপক্ষের নজর ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন মার্টিনেজ।

সেই ম্যাচ হয়েছিল রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে। ফলে মাইক্রোফোনে স্পষ্ট শোনা গিয়েছিল মার্টিনেজের কথাবার্তা। যিনিই শট নিতে আসছিলেন, তাকে উদ্দেশ্য করে মার্র্টিনেজ বলছিলেন, ‘আমি জানি তুমি নার্ভাস। জানি কোন দিকে তুমি শট নেবে। দেখো কীভাবে আমি শট বাঁচিয়ে দিই। মনে রেখো, আমি তোমার শট বাঁচাবোই।’ বিশ্বকাপ ফাইনালে মার্টিনেজের আসল চেহারা দেখা যায়। শুট-আউটের সময় পেনাল্টি বক্সকে নিজের এলাকা বানিয়ে ফেলেছিলেন মার্টিনেজ। পণ করেছিলেন, সেখানে তিনি দুর্ভেদ্য হয়ে উঠবেন।

ফ্রান্সের ফুটবলারদের প্রথম থেকেই বিক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। ফ্রান্সের প্রথম দুটি শটের সময় রেফারিকে বার বার বলছিলেন, বল ঠিক জায়গায় রাখা হয়েছে কি-না দেখতে। এ ধরনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ফুটবলারের ফোকাস নড়ে যায়। সেই ফুটবলার রেফারিকেও দুষতে থাকেন। কিংসলে কোমানের দ্বিতীয় পেনাল্টি সেভাবেই বাঁচিয়ে দেন মার্টিনেজ। তারপরে চিৎকার করে উচ্ছ্বাস করতে থাকেন।

সাধারণত গোলকিপাররা ওভাবে উচ্ছ্বাস করেন না। তবে জর্ডেট গবেষণা করে দেখেছেন, উচ্ছ্বাস মাত্রা ছাড়ালে পরবর্তী ঘটনাক্রমে তা প্রভাব ফেলে। জর্ডেট বলেন, ‘পেনাল্টিতে গোল করে যেসব ফুটবলার বেশি উচ্ছ্বাস করে, সেই দলের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কোন ফুটবলার বেশি উচ্ছ্বাস করলে পরবর্তী ফুটবলারের মিস করার সম্ভাবনা ১০-১৫ শতাংশ এবং যে ফুটবলার বাড়তি উচ্ছ্বাস করেছেন, তার সতীর্থদের গোল করার সম্ভাবনা ৭-৮ শতাংশ বেড়ে যায়।’

ফাইনালে ফ্রান্সের অরেলিয়ে চুয়ামেনি কিক নিতে আসার সময় মার্টিনেজের হাতে বল ছিল। তিনি আর্জেন্টিনীয়দের উদ্দেশে ইঙ্গিত করে আরও বেশি চিৎকার করতে বলছিলেন। রেফারি বল চাইলে মার্টিনেজ সেটি ৪৫ ডিগ্রি কোণে ছুড়ে দেন। চুয়ামেনিকে গিয়ে সেই বল ধরতে হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যদি কোন ফুটবলারকে শট নেয়ার আগে অপেক্ষা করতে হয়, তার গোল করার সম্ভাবনা ২০-৩০ শতাংশ কমে যায়। ফলে চুয়ামেনিও শট মিস করেন।

মার্টিনেজ জানতেন যে তিনি যে পদ্ধতি নিয়েছেন, বিপক্ষ গোলকিপার হুগো লরিসও সেটাই করতে পারেন। তাই চুয়ামেনির শটের পরেই বল নিয়ে নিজেই সতীর্থ লিয়ান্দ্রো পারেদেসের হাতে তুলে দেন। সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনার চার ফুটবলারই গোল করেছিলেন। মার্টিনেজ সম্পর্কে জর্ডেট লিখেছেন, ‘খুব হিসেবি, সৃষ্টিশীল একটা চরিত্র।’

গত ২০ বছর ধরে প্রতিটি বিশ্বকাপের সব পেনাল্টি শুট-আউট দেখেছেন জর্ডেট। দুইশ’টিরও বেশি শট বিশ্লেষণ করেছেন। ২০০০ কিক দেখেছেন। শুট-আউটের সময় ফুটবলারদের মানসিকতা, আচার-আচরণ এবং চলাফেরা খুঁটিয়ে দেখেছেন তিনি। অতীতে ইংল্যান্ডের সাবেক গোলকিপার পিটার শিল্টন বলেছিলেন, ‘পেনাল্টি হলো ভাগ্যের ব্যাপার।’ জর্ডেট তা মানতে রাজি নন। তার মতে, পেনাল্টির পিছনে জড়িয়ে বিজ্ঞান। তার জন্যই সাফল্য এবং ব্যর্থতার বিভেদ ক্রমশ কমছে। ২০২১-এ অলিম্পিক্সে পুরুষ এবং মহিলা বিভাগে জয়ী দুই দলই ফাইনালে সাফল্য পেয়েছিল শুট-আউটে।

দল বা দেশের পরিসংখ্যান বার করতে গিয়ে জর্ডেট দেখিয়েছেন, ইংল্যান্ড ১০ বারের মধ্যে ৭ বার হেরেছে। নেদারল্যান্ডস আটটির মধ্যে সাতটি হেরেছে। স্পেন শেষ চার বারই হেরেছে। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা শেষ তিন বার, ক্রোয়েশিয়া শেষ চার বার এবং জার্মানি শেষ ছয়টি শুট-আউটে জিতেছে। কোন দল যদি পরিসংখ্যানে পিছিয়ে থাকার কথা মাথায় রেখে শুট-আউটে নামে, তাদের ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। একই ভাবে অতীতে সাফল্য থাকলে ভবিষ্যতেও সাফল্য মিলবে।

জর্ডেটের মতে, যত দিন যাবে, ততই পেনাল্টির গুরুত্ব বাড়বে। পেনাল্টির ক্ষেত্রে সাহায্য চেয়ে ইতোমধ্যেই জর্ডেটের কাছে আবেদন করেছে ২০টি ক্লাব। তাদের সাধ্যমতো সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।