বেতন বাড়েনি, ব্যয় বেড়েছে

সাঈদ চৌধুরী

সহজ মানুষের সহজ কথা হল, আমগোর হ¹োলের ক্ষিধা লাগে। অষুধ লাগে, আবার সবাই কয় শিক্ষাও লাগে। দুনিয়ার সব ট্যাহা খাইয়াল্লেও যদি মনে অয় ক্ষিধা কমবো না তাইলে ক্যামনে বাঁচমু? এমন সহজ কথার শুদ্ধ রূপ হলোÑ-এখন মানুষ অভাবে পড়লেও সভ্যতার ব্র্যাকেটে সাঁটা লজ্জায় মুখ ফুটে কিছু বলে না।

রাষ্ট্র এখন আর গরিব নেই কিন্তু রাষ্ট্রের ভেতরে কিছু অভাগা আছে যাদের কাছে ভাত এখনও দুর্মূল্যের। তারা মনে করে একবেলা ভাত ঠিকভাবে খেতে পারলেই বুঝি বেঁচে থাকতে পারবে কালকের জন্য। এসব মানুষের কাছে শিক্ষা শব্দটি এখনও একটি প্রশ্নের নাম।

পথ শিশুরা রাস্তাায় হাঁটার সময় ভাত চাইতে চাইতে দৌড়ে আসে। শিক্ষিত, বড়লোক আর ভদ্র মানুষগুলো তাদের তথাকথিত ফুটফুটে সন্তানদের নিয়ে না দেখার ভান করে দৌড়ে চলে যায়। ভাত না দিতে না পারলেও রাস্তার শিশুদের একটু সান্ত্বনা পাওয়ার তো অধিকার আছে! এ চাওয়াটুকু খুব সামান্যই। আয় আর ব্যয়ের ভারসাম্যহীন মানুষরা নিচের দিকে তাকায় না বললেই চলে।

অভাবগ্রস্ত রাস্তার মানুষদের অভাব এক ধরনের- আবার যারা একটু উপরে অর্থাৎ মোটামুটি শিক্ষিত হয়েছে তাদের অভাবের তাড়না ও সঙ্গাটা আরেক ধরনের। বৈষম্যের চাদরে ঘেরা স্তর বিন্যাসের সামাজিকতার অসম তরঙ্গকে এখন দালিলিক রূপে বলা যেতে পারে বৈষম্যের প্রতিবিম্বের শাব্দিক রূপ হিসেবে। যদি চাকরিজীবীদের স্তর বিন্যাস কল্পনা করা যায় তবে একজন সরকারি কর্মকর্তা আর বেসরকারি চাকরিজীবীর বিশেষণীয় পার্থক্য আমিই লিখে দিয়েছি। সরকারি পিয়নও তার অফিসের বাইরে সরকারি কর্মকর্তা আর পুরো প্রতিষ্ঠানের প্রধানও বেসরকারি চাকরি করা ব্যক্তি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে পরিচয়ে থাকে মামুলি চাকরিজীবী। এই সত্য যেমন লুকোনো যায় না তেমনি আরও বড় সত্য হলো করোনার পর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে যে ধরনের মন্দা দেখা দিয়েছে তার উছিলায় অধিকাংশ কোম্পানি ব্যয় কমাতে গিয়ে ছাটাই করেছে, বেতন বাড়ায়নি, অন্যান্য সুবিধাও কমিয়েছে অনেকাংশে। এখন একজন উচ্চ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবারের চাকরিজীবী যদি চল্লিশ হাজার টাকায় গত বছরের এ সময়ে সংসার চালিয়ে থাকে তবে এ বছর এসে তার অবস্থা কেমন হচ্ছে? এর বিশ্লেণীয় রূপ নিয়ে আলোচনার মাঠ এখন বিলুপ্ত। কষ্ট আর হাহাকারই বাড়ায় প্রতিদিনকার বাজার অথবা কোনো কিছু কেনা। ফার্মের মুরগির দাম দ্বিগুণেরও বেশি, ডিম হাতছাড়া মূল্যে, বেড়েছে সব ধরনের মাংসের দাম। সেদিন একজন মানুষকে বাজারে গিয়ে কাঁদতে দেখলাম। মধ্যবিত্ত মানুষের বাজারে গিয়ে কান্না কি খুব অস্বাভাবিক। কতগুলো চিন্তা নিয়ে মানুষ বাঁচতে পারে? দেশের অনেক বড় কর্তারা এ বিষয়গুলো দেখতেও চান না। ভিখেরি চোখে পড়ে না এমন কথাও বলেছেন অনেকে। প্রোডাকটিভ প্রতিষ্ঠান তার পণ্যের দাম বাড়াতে পারে, বাড়িওয়ালা ঘর ভাড়া বাড়িয়ে দিতে পারে, একটি কো¤পানির মালিক তার প্রতিষ্ঠান থেকে ছাটাই করতে পারে, হাসপাতাল টেস্টসহ সব পরীক্ষার ব্যয় বাড়াতে পারে কিন্তু যে নিরেট ক্রেতা তার বেতন এক টাকাও বাড়ে না। বিশ্বব্যাপী এই ধরনের অনাচার রুখে দেয়া দরকার। টাকা হাতে নিয়ে বসে থেকেও এমপ্লয়িদের সুবিধাকে গিলে খাওয়া শ্রেণী যত বাড়তে থাকবে ততই ক্ষুধার আগুন ছড়াতে থাকবে বিশ্বব্যাপী! যে মানুষটি এ সময়ে এসে ১২ হাজার টাকা বেতন পাচ্ছে সে মানুষটির সংসারের ব্যয় যদি কোনো অর্থনীতিবিদ মিলিয়ে দিতে না পারেন তবে তার অর্থনীতিবিদ হওয়া পুরোপুরিই একটি প-শ্রম! সব দাম বাড়লে তখন এ বিষয়টিকে অভ্যন্তরীণভাবে সমাধানের কোনো না কোনো পথ তৈরি করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। দ্রব্যমূল্য বাজার ঘুরলে দেখা যায় কিন্তু এর বাইরেও যে সব কিছুর দাম বাড়ছে তা দেখবে কে বা দেখে কোনো প্রতিকার করার বা চাওয়ার যারা আছেন তারা কী করবেন? সব সমন্বয় করে চলতে গিয়ে মানুষ অভাবকে খাওয়া শুরু করেছে। কবির কথাটি কি তবে সত্য হতে চলেছে? ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি! বাজারে গিয়ে দেখবেন পচা আলু, পচা মুরগির চামড়া, পড়ে থাকা মাছের আইশ খুঁজছে কিছু মানুষ। তাদের চোখের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে বোঝোর চেষ্টা করবেন তার কেমন অনুভূতি। যদি আপনার সামান্য কষ্ট হয় আর যদি আপনি বড় একটি ইন্ডাস্ট্রির মালিক হন তবে পরদিন অফিসে গিয়ে কিছু বেতন বাড়িয়ে দিয়ে দেখবেন আপনার কর্মীরা আপনাকে কিভাবে দোয়া করে। মানুষের অভাবের হাহাকারে প্রচ- দাবদাহ বইছে। চামচ দিয়ে মাংস খেয়ে অনেকটুকু ফেলে দিয়ে যারা উঠে যান তারপর ওইটুকু ফেলে যাওয়া মাংস ডাস্টবিনে ফেলতে গিয়ে দেখেন আপনি আসার পর ছোট্ট বাচ্চাটি কিভাবে নিয়ে যাচ্ছে মাংস খাবে এই ভেবে আনন্দে। ফাইভস্টার হোটেলে সকালের নাস্তা আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা মাথাপিছু। সেখানে একজনের সারা মাসের খাবার খরচ তিন হাজার টাকা। সুতরাং কোনটাকে আমরা মিতব্যয় বলছি। যত মিটিং, সেমিনার হয় দেশের বড় ইস্যু নিয়ে সেখানকার ব্যয়ও যদি মানুষকে দেয়া হতো তবুও স্বস্তি থাকত অনেকটুকুই বলে মনে হয় আপাতদৃষ্টিতে। যাই হোক এর বাইরে আলোকসজ্জায় সব ধুয়ে যায় পেছনে থাকা মানুষের কষ্টগুলো। কিন্তু কথাতো বলতে হবে। এসব মানুষদের নিয়ে কথা বলতে হবেই কারও না কারও। সরকারের উচিত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর বেতন কাঠামো নিয়ে চিন্তা করা, বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে নীতিমালা করা। ন্যূনতম বেতন কাঠামো আরও সুদৃঢ় করার সময়ও এসেছে। সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাকে কার্যকর করার সময় এসেছে। দ্রব্যমূল্য ও সবকিছুর ব্যয় নিয়ে ভাবা শুরু করুন। এভাবে মানুষ সত্যিই বাঁচবে না। অনেক পরিবারের প্রধানরা এখন মানসিকভাবে অশান্তিতে কাটায় কাল কী করে সংসারের ব্যয়ভার মেটাবে এই চিন্তায়। রাষ্ট্রের কোন কোন খাতে পরিবর্তন এনে এ চিন্তাগুলো থেকে নাগরিকদের পরিত্রাণ দেয়া যায় সে ব্যপারে চিন্তা করাই এখন প্রধান লক্ষ্য হওয়া প্রয়োজন।

[লেখক: রসায়নবিদ]

বৃহস্পতিবার, ০৯ মার্চ ২০২৩ , ২৪ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৬ শবান ১৪৪৪

বেতন বাড়েনি, ব্যয় বেড়েছে

সাঈদ চৌধুরী

সহজ মানুষের সহজ কথা হল, আমগোর হ¹োলের ক্ষিধা লাগে। অষুধ লাগে, আবার সবাই কয় শিক্ষাও লাগে। দুনিয়ার সব ট্যাহা খাইয়াল্লেও যদি মনে অয় ক্ষিধা কমবো না তাইলে ক্যামনে বাঁচমু? এমন সহজ কথার শুদ্ধ রূপ হলোÑ-এখন মানুষ অভাবে পড়লেও সভ্যতার ব্র্যাকেটে সাঁটা লজ্জায় মুখ ফুটে কিছু বলে না।

রাষ্ট্র এখন আর গরিব নেই কিন্তু রাষ্ট্রের ভেতরে কিছু অভাগা আছে যাদের কাছে ভাত এখনও দুর্মূল্যের। তারা মনে করে একবেলা ভাত ঠিকভাবে খেতে পারলেই বুঝি বেঁচে থাকতে পারবে কালকের জন্য। এসব মানুষের কাছে শিক্ষা শব্দটি এখনও একটি প্রশ্নের নাম।

পথ শিশুরা রাস্তাায় হাঁটার সময় ভাত চাইতে চাইতে দৌড়ে আসে। শিক্ষিত, বড়লোক আর ভদ্র মানুষগুলো তাদের তথাকথিত ফুটফুটে সন্তানদের নিয়ে না দেখার ভান করে দৌড়ে চলে যায়। ভাত না দিতে না পারলেও রাস্তার শিশুদের একটু সান্ত্বনা পাওয়ার তো অধিকার আছে! এ চাওয়াটুকু খুব সামান্যই। আয় আর ব্যয়ের ভারসাম্যহীন মানুষরা নিচের দিকে তাকায় না বললেই চলে।

অভাবগ্রস্ত রাস্তার মানুষদের অভাব এক ধরনের- আবার যারা একটু উপরে অর্থাৎ মোটামুটি শিক্ষিত হয়েছে তাদের অভাবের তাড়না ও সঙ্গাটা আরেক ধরনের। বৈষম্যের চাদরে ঘেরা স্তর বিন্যাসের সামাজিকতার অসম তরঙ্গকে এখন দালিলিক রূপে বলা যেতে পারে বৈষম্যের প্রতিবিম্বের শাব্দিক রূপ হিসেবে। যদি চাকরিজীবীদের স্তর বিন্যাস কল্পনা করা যায় তবে একজন সরকারি কর্মকর্তা আর বেসরকারি চাকরিজীবীর বিশেষণীয় পার্থক্য আমিই লিখে দিয়েছি। সরকারি পিয়নও তার অফিসের বাইরে সরকারি কর্মকর্তা আর পুরো প্রতিষ্ঠানের প্রধানও বেসরকারি চাকরি করা ব্যক্তি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে পরিচয়ে থাকে মামুলি চাকরিজীবী। এই সত্য যেমন লুকোনো যায় না তেমনি আরও বড় সত্য হলো করোনার পর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে যে ধরনের মন্দা দেখা দিয়েছে তার উছিলায় অধিকাংশ কোম্পানি ব্যয় কমাতে গিয়ে ছাটাই করেছে, বেতন বাড়ায়নি, অন্যান্য সুবিধাও কমিয়েছে অনেকাংশে। এখন একজন উচ্চ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবারের চাকরিজীবী যদি চল্লিশ হাজার টাকায় গত বছরের এ সময়ে সংসার চালিয়ে থাকে তবে এ বছর এসে তার অবস্থা কেমন হচ্ছে? এর বিশ্লেণীয় রূপ নিয়ে আলোচনার মাঠ এখন বিলুপ্ত। কষ্ট আর হাহাকারই বাড়ায় প্রতিদিনকার বাজার অথবা কোনো কিছু কেনা। ফার্মের মুরগির দাম দ্বিগুণেরও বেশি, ডিম হাতছাড়া মূল্যে, বেড়েছে সব ধরনের মাংসের দাম। সেদিন একজন মানুষকে বাজারে গিয়ে কাঁদতে দেখলাম। মধ্যবিত্ত মানুষের বাজারে গিয়ে কান্না কি খুব অস্বাভাবিক। কতগুলো চিন্তা নিয়ে মানুষ বাঁচতে পারে? দেশের অনেক বড় কর্তারা এ বিষয়গুলো দেখতেও চান না। ভিখেরি চোখে পড়ে না এমন কথাও বলেছেন অনেকে। প্রোডাকটিভ প্রতিষ্ঠান তার পণ্যের দাম বাড়াতে পারে, বাড়িওয়ালা ঘর ভাড়া বাড়িয়ে দিতে পারে, একটি কো¤পানির মালিক তার প্রতিষ্ঠান থেকে ছাটাই করতে পারে, হাসপাতাল টেস্টসহ সব পরীক্ষার ব্যয় বাড়াতে পারে কিন্তু যে নিরেট ক্রেতা তার বেতন এক টাকাও বাড়ে না। বিশ্বব্যাপী এই ধরনের অনাচার রুখে দেয়া দরকার। টাকা হাতে নিয়ে বসে থেকেও এমপ্লয়িদের সুবিধাকে গিলে খাওয়া শ্রেণী যত বাড়তে থাকবে ততই ক্ষুধার আগুন ছড়াতে থাকবে বিশ্বব্যাপী! যে মানুষটি এ সময়ে এসে ১২ হাজার টাকা বেতন পাচ্ছে সে মানুষটির সংসারের ব্যয় যদি কোনো অর্থনীতিবিদ মিলিয়ে দিতে না পারেন তবে তার অর্থনীতিবিদ হওয়া পুরোপুরিই একটি প-শ্রম! সব দাম বাড়লে তখন এ বিষয়টিকে অভ্যন্তরীণভাবে সমাধানের কোনো না কোনো পথ তৈরি করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। দ্রব্যমূল্য বাজার ঘুরলে দেখা যায় কিন্তু এর বাইরেও যে সব কিছুর দাম বাড়ছে তা দেখবে কে বা দেখে কোনো প্রতিকার করার বা চাওয়ার যারা আছেন তারা কী করবেন? সব সমন্বয় করে চলতে গিয়ে মানুষ অভাবকে খাওয়া শুরু করেছে। কবির কথাটি কি তবে সত্য হতে চলেছে? ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি! বাজারে গিয়ে দেখবেন পচা আলু, পচা মুরগির চামড়া, পড়ে থাকা মাছের আইশ খুঁজছে কিছু মানুষ। তাদের চোখের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে বোঝোর চেষ্টা করবেন তার কেমন অনুভূতি। যদি আপনার সামান্য কষ্ট হয় আর যদি আপনি বড় একটি ইন্ডাস্ট্রির মালিক হন তবে পরদিন অফিসে গিয়ে কিছু বেতন বাড়িয়ে দিয়ে দেখবেন আপনার কর্মীরা আপনাকে কিভাবে দোয়া করে। মানুষের অভাবের হাহাকারে প্রচ- দাবদাহ বইছে। চামচ দিয়ে মাংস খেয়ে অনেকটুকু ফেলে দিয়ে যারা উঠে যান তারপর ওইটুকু ফেলে যাওয়া মাংস ডাস্টবিনে ফেলতে গিয়ে দেখেন আপনি আসার পর ছোট্ট বাচ্চাটি কিভাবে নিয়ে যাচ্ছে মাংস খাবে এই ভেবে আনন্দে। ফাইভস্টার হোটেলে সকালের নাস্তা আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা মাথাপিছু। সেখানে একজনের সারা মাসের খাবার খরচ তিন হাজার টাকা। সুতরাং কোনটাকে আমরা মিতব্যয় বলছি। যত মিটিং, সেমিনার হয় দেশের বড় ইস্যু নিয়ে সেখানকার ব্যয়ও যদি মানুষকে দেয়া হতো তবুও স্বস্তি থাকত অনেকটুকুই বলে মনে হয় আপাতদৃষ্টিতে। যাই হোক এর বাইরে আলোকসজ্জায় সব ধুয়ে যায় পেছনে থাকা মানুষের কষ্টগুলো। কিন্তু কথাতো বলতে হবে। এসব মানুষদের নিয়ে কথা বলতে হবেই কারও না কারও। সরকারের উচিত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর বেতন কাঠামো নিয়ে চিন্তা করা, বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে নীতিমালা করা। ন্যূনতম বেতন কাঠামো আরও সুদৃঢ় করার সময়ও এসেছে। সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাকে কার্যকর করার সময় এসেছে। দ্রব্যমূল্য ও সবকিছুর ব্যয় নিয়ে ভাবা শুরু করুন। এভাবে মানুষ সত্যিই বাঁচবে না। অনেক পরিবারের প্রধানরা এখন মানসিকভাবে অশান্তিতে কাটায় কাল কী করে সংসারের ব্যয়ভার মেটাবে এই চিন্তায়। রাষ্ট্রের কোন কোন খাতে পরিবর্তন এনে এ চিন্তাগুলো থেকে নাগরিকদের পরিত্রাণ দেয়া যায় সে ব্যপারে চিন্তা করাই এখন প্রধান লক্ষ্য হওয়া প্রয়োজন।

[লেখক: রসায়নবিদ]