ঊনসত্তরের শহিদ জোহা একাত্তরের প্রেরণা

ছমির অমিনুল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক এবং তদানিন্তন প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা শুধু শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের শিক্ষক ছিলেন না বরং তিনি ছিলেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এক মহান শিক্ষক যার বিরোচিত আত্মত্যাগ আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে।

আইয়ুব সরকার ছয় দফা প্রণয়নকারী শেখ মুজিবর রহমানকে প্রধান আসামি করে ১৯৬৮ সালের জানুয়ারি মাসে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আগরতলা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের নিমিত্তে ক্যাম্পাসে বক্তৃতা বিবৃতি প্রদান করে। ’৬৯ সালের ১৮ জানুযারি ১১  দফার দাবিতে ক্যাম্পাসে মিছিল শেষে তৎকালীন শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে (শহীদুল্লা কলা ভবন) সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন বায়জীদ আহম্মদ, নুরুল ইসলাম ঠান্ডু প্রমুখ। ২০ জানুয়ারি ঢাকায় আসাদ নিহত হলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন আরো জোরদার হতে থাকে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা যখন জনগণের কাছে নিছক বানোয়াট কাহিনী বলে প্রমাণিত হচ্ছিলÑ সে সময় ১৫ ফেরুয়ারি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দী অবস্থায় সার্জেন্ট জহুরুল হককে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যার খবর প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশের জনগণ প্রতিবাদমুখর হযে উঠে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সংগঠিত হতে থাকে। রাজশাহী শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। শহরে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত এবং কযেকজন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। ড. জোহা খবর পেয়েই গাড়ি নিয়ে ছুটে যান সেখানে। ছাত্রদের প্রতি পুলিশের এ নিষ্ঠুর আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করেন। একপর্যায়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তেজিত হয়ে অভিযোগ করেন, ‘ড. জোহাই ছাত্রদের লেলিয়ে দিয়েছেন’। ড. জোহা নিজের হাতেই আহত ছাত্রদের গাড়িতে তুলে মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। আহত ছাত্রদের রক্তে তার সাদা শার্ট লাল হয়ে যায়।

১৭ ফেরুয়ারি রাতে ’একুশ’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃস্থানীয় শিক্ষকরা ছাত্রদের ওপর নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। ছাত্রদের নির্যাতনের প্রতিবাদে ড. জোহা শাটের্র তাজা রক্তের দাগ দেখিয়ে বলেন, ‘ছাত্রদের রক্তের স্পর্শে আজ আমি উজ্জীবিত। এরপর শুধু ছাত্রদের নয় আমাদেরকেও রক্ত দিতে  হবে।’ তিনি আরও বরেন, ‘এরপর আর যদি কোন গুলি করা হয়, সে গুলি কোন ছাত্রের গায়ে লাগার আগে আমার বুকে লাগবে।’ ড. জোহা যে তার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেননি, পরদিন সকালেই তিনি তা বাঙালি জাতিকে দেখিয়ে ছিলেন।

১৮ ফেরুয়ারি সকাল ৮টায় ১৪৪  ধারা ভঙ্গ করে ছাত্রদের মিছিল শহরের দিকে যাবে। ভোর হওয়ার আগেই বিশ্ববিদ্যালযের প্রধান ফটক কাজলাসহ নাটোর রোডের সকল জায়গায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জোয়ানরা ছাত্রদের গুলি করার জন্য রাইফেল তাক করে আছে। ড. জোহা গভীর উৎকণ্ঠার সঙ্গে ছুটোছুটি করছেন প্রাণ প্রিয় ছাত্রদের রক্ষা করতে। ইতোমধ্যে ড. এম. আর. সরকার, ড. মাযহারুল ইসলাম, ড. আব্দুল মান্নান, ড. কসিমুদ্দীন মোল্লা, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক আবু সাঈদ, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকসহ আরও অনেকে প্রধান ফটকে চলে আসেন।

ড. জোহা সেনাবাহিনীর অফিসারকে বলেন, ‘প্লিজ ডোন্ট ফায়ার’ আমার ছাত্ররা এখনই চলে যাবে এখান থেকে। শিক্ষকরা নিয়োজিত ছাত্রদের ক্যাম্পাসে ফিরে আনতে। কিন্তু পাঞ্জাবি ক্যাপ্টেন হাদি ও জোয়ানদের আচরণে ছাত্ররা ফিরে আসতে রাজি ছিল না। অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে ড. জোহা ভারপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক থেকে জোয়ানদের সরিয়ে নিলেই ছাত্রদের ক্যাম্পাসে পাঠানো সহজ হবে। ম্যাজিস্ট্রেট সেনাবাহিনীকে রেডিও গেটের দিকে এগিয়ে যেতে বলে জিপ নিয়ে সে দিকে চলে যায়। জোয়ানরা রেডিওর দিকে এগোচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে শিক্ষকরা দু’দলে বিভক্ত।

একদল ছাত্রদের ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে আসছেন আর ড. জোহা, ড. কসিমুদ্দীন মোল্লা, ড. আব্দুল মান্নান, ড.আব্দুল খালেক অবস্থান গ্রহণ করেন ছাত্র ও জোয়ানদের মাঝখানে। ছাত্ররা ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েছে। বাইরে কোন ছাত্র আটকা পড়েছে কিনা, তা দেখার জন্য ড. জোহা সেনাবাহিনীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এমন সময় গুলির শব্দ ছাত্র-শিক্ষক সবাইকে ভীত সন্ত্রস্ত করে, সঙ্গে তীব্র আর্তনাদ। প্রধান ফটকের কাছে নাটোর রোডের দক্ষিণে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ড. জোহা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার শরীরে বেয়োনেট চার্জ করা হয়। ড. মোল্লা আহত অবস্থায় একটু দূরে, ড. মান্নান এবং ড. আব্দুল খালেক পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খাদের ভেতর খড়ের স্তূপের আড়ালে লুকিয়ে আত্মরক্ষা করেন। বেলা তখন ১১টা। আর্তনাদ আরও তীব্র হলে ড. মান্নানসহ ড. খালেক উঠে আসেন। কয়েক পা এগোতেই তাদের এরেস্ট করে ভ্যানে তুলে রাখে। অনেক পরে ড. জোহাকে একটি স্টেচারে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজশাহী মিউনিসিপাল অফিসের একটি কামরায় আহত ড. জোহাকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ফেলে রাখা হয়। বিকেল ৪টায় অপারেশন টেবিলে নিয়ে যাওয়ার পরপরই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তিনি নিজের জীবনের বিনিময়ে রেখে গেলেন দেশের জন্য, জাতির জন্য আত্মাহুতি দেয়ার প্রেরণা। ড. জোহা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে পাঠ্য বিষয়ের শিক্ষাই নয় একই সঙ্গে আমাদের শিখিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে আত্মউৎসর্গ করার মহান দীক্ষা।

[লেখক: শিক্ষক]

বৃহস্পতিবার, ০৯ মার্চ ২০২৩ , ২৪ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৬ শবান ১৪৪৪

ঊনসত্তরের শহিদ জোহা একাত্তরের প্রেরণা

ছমির অমিনুল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক এবং তদানিন্তন প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা শুধু শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের শিক্ষক ছিলেন না বরং তিনি ছিলেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এক মহান শিক্ষক যার বিরোচিত আত্মত্যাগ আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে।

আইয়ুব সরকার ছয় দফা প্রণয়নকারী শেখ মুজিবর রহমানকে প্রধান আসামি করে ১৯৬৮ সালের জানুয়ারি মাসে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আগরতলা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের নিমিত্তে ক্যাম্পাসে বক্তৃতা বিবৃতি প্রদান করে। ’৬৯ সালের ১৮ জানুযারি ১১  দফার দাবিতে ক্যাম্পাসে মিছিল শেষে তৎকালীন শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে (শহীদুল্লা কলা ভবন) সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন বায়জীদ আহম্মদ, নুরুল ইসলাম ঠান্ডু প্রমুখ। ২০ জানুয়ারি ঢাকায় আসাদ নিহত হলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন আরো জোরদার হতে থাকে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা যখন জনগণের কাছে নিছক বানোয়াট কাহিনী বলে প্রমাণিত হচ্ছিলÑ সে সময় ১৫ ফেরুয়ারি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দী অবস্থায় সার্জেন্ট জহুরুল হককে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যার খবর প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশের জনগণ প্রতিবাদমুখর হযে উঠে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সংগঠিত হতে থাকে। রাজশাহী শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। শহরে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত এবং কযেকজন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। ড. জোহা খবর পেয়েই গাড়ি নিয়ে ছুটে যান সেখানে। ছাত্রদের প্রতি পুলিশের এ নিষ্ঠুর আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করেন। একপর্যায়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তেজিত হয়ে অভিযোগ করেন, ‘ড. জোহাই ছাত্রদের লেলিয়ে দিয়েছেন’। ড. জোহা নিজের হাতেই আহত ছাত্রদের গাড়িতে তুলে মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। আহত ছাত্রদের রক্তে তার সাদা শার্ট লাল হয়ে যায়।

১৭ ফেরুয়ারি রাতে ’একুশ’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃস্থানীয় শিক্ষকরা ছাত্রদের ওপর নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। ছাত্রদের নির্যাতনের প্রতিবাদে ড. জোহা শাটের্র তাজা রক্তের দাগ দেখিয়ে বলেন, ‘ছাত্রদের রক্তের স্পর্শে আজ আমি উজ্জীবিত। এরপর শুধু ছাত্রদের নয় আমাদেরকেও রক্ত দিতে  হবে।’ তিনি আরও বরেন, ‘এরপর আর যদি কোন গুলি করা হয়, সে গুলি কোন ছাত্রের গায়ে লাগার আগে আমার বুকে লাগবে।’ ড. জোহা যে তার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেননি, পরদিন সকালেই তিনি তা বাঙালি জাতিকে দেখিয়ে ছিলেন।

১৮ ফেরুয়ারি সকাল ৮টায় ১৪৪  ধারা ভঙ্গ করে ছাত্রদের মিছিল শহরের দিকে যাবে। ভোর হওয়ার আগেই বিশ্ববিদ্যালযের প্রধান ফটক কাজলাসহ নাটোর রোডের সকল জায়গায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জোয়ানরা ছাত্রদের গুলি করার জন্য রাইফেল তাক করে আছে। ড. জোহা গভীর উৎকণ্ঠার সঙ্গে ছুটোছুটি করছেন প্রাণ প্রিয় ছাত্রদের রক্ষা করতে। ইতোমধ্যে ড. এম. আর. সরকার, ড. মাযহারুল ইসলাম, ড. আব্দুল মান্নান, ড. কসিমুদ্দীন মোল্লা, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক আবু সাঈদ, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকসহ আরও অনেকে প্রধান ফটকে চলে আসেন।

ড. জোহা সেনাবাহিনীর অফিসারকে বলেন, ‘প্লিজ ডোন্ট ফায়ার’ আমার ছাত্ররা এখনই চলে যাবে এখান থেকে। শিক্ষকরা নিয়োজিত ছাত্রদের ক্যাম্পাসে ফিরে আনতে। কিন্তু পাঞ্জাবি ক্যাপ্টেন হাদি ও জোয়ানদের আচরণে ছাত্ররা ফিরে আসতে রাজি ছিল না। অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে ড. জোহা ভারপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক থেকে জোয়ানদের সরিয়ে নিলেই ছাত্রদের ক্যাম্পাসে পাঠানো সহজ হবে। ম্যাজিস্ট্রেট সেনাবাহিনীকে রেডিও গেটের দিকে এগিয়ে যেতে বলে জিপ নিয়ে সে দিকে চলে যায়। জোয়ানরা রেডিওর দিকে এগোচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে শিক্ষকরা দু’দলে বিভক্ত।

একদল ছাত্রদের ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে আসছেন আর ড. জোহা, ড. কসিমুদ্দীন মোল্লা, ড. আব্দুল মান্নান, ড.আব্দুল খালেক অবস্থান গ্রহণ করেন ছাত্র ও জোয়ানদের মাঝখানে। ছাত্ররা ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েছে। বাইরে কোন ছাত্র আটকা পড়েছে কিনা, তা দেখার জন্য ড. জোহা সেনাবাহিনীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এমন সময় গুলির শব্দ ছাত্র-শিক্ষক সবাইকে ভীত সন্ত্রস্ত করে, সঙ্গে তীব্র আর্তনাদ। প্রধান ফটকের কাছে নাটোর রোডের দক্ষিণে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ড. জোহা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার শরীরে বেয়োনেট চার্জ করা হয়। ড. মোল্লা আহত অবস্থায় একটু দূরে, ড. মান্নান এবং ড. আব্দুল খালেক পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খাদের ভেতর খড়ের স্তূপের আড়ালে লুকিয়ে আত্মরক্ষা করেন। বেলা তখন ১১টা। আর্তনাদ আরও তীব্র হলে ড. মান্নানসহ ড. খালেক উঠে আসেন। কয়েক পা এগোতেই তাদের এরেস্ট করে ভ্যানে তুলে রাখে। অনেক পরে ড. জোহাকে একটি স্টেচারে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজশাহী মিউনিসিপাল অফিসের একটি কামরায় আহত ড. জোহাকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ফেলে রাখা হয়। বিকেল ৪টায় অপারেশন টেবিলে নিয়ে যাওয়ার পরপরই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তিনি নিজের জীবনের বিনিময়ে রেখে গেলেন দেশের জন্য, জাতির জন্য আত্মাহুতি দেয়ার প্রেরণা। ড. জোহা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে পাঠ্য বিষয়ের শিক্ষাই নয় একই সঙ্গে আমাদের শিখিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে আত্মউৎসর্গ করার মহান দীক্ষা।

[লেখক: শিক্ষক]