চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের সোনাইছড়িতে সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে বিষ্ফোরণের ঘটনায় মামলা হলেও চার দিনেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশের দাবি এজাহার ভুক্ত আসামিরা সবাই পলাতক আছে। এদিকে ঘটনার পর ইতোমধ্যে ৬ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো কারখানার ভেতরের ধ্বংসস্থল আগের মতোই আছে। তদন্তের প্রয়োজন ও ঝুঁকির কারণে এখনো সরানো হয়নি ধংসস্তুপ। বৃহস্পতিবার কারখানার ভেতরে নিজস্ব আনসার ও কয়েকজন পুলিশ ছাড়া কাউকে দেখা যায়নি। অন্যদিকে বিস্ফোরণের পর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দুই শতাধিক পরিবার ও ১০টি কারখানায় পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। ফলে আতংকের মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে এলাকায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টায় সীতাকুন্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুরে অবস্থিত সীমা অক্সিজেন কারখানায় ভয়াবহ বিষ্ফোরণের পর ৭ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হন। এ ঘটনায় আশপাশের সকল বৈদ্যুতিক পিলার ও ট্রান্সফর্মার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ঐ এলাকায় কয়েক’শ পরিবার ও ১০টির অধিক শিল্প কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ। ভেঙে পড়ে বহু ঘর-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের দরজা-জানালার কাঁচ। এরই মধ্যে গত সোমবার রাতে নিহত এক ব্যক্তির স্ত্রী বাদী হয়ে সীতাকুন্ড থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে কারখানাটির তিন মালিকসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। তবে এখনো পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। এ বিষয়ে সীতাকুন্ড থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, সীমা অক্সিজেনে দুর্ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ তুলে নিহত এক শ্রমিক আব্দুল কাদের মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে ইতোমধ্যে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়েছে। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা যায়নি।
শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩ , ২৬ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৮ শবান ১৪৪৪
প্রতিনিধি, সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের সোনাইছড়িতে সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে বিষ্ফোরণের ঘটনায় মামলা হলেও চার দিনেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশের দাবি এজাহার ভুক্ত আসামিরা সবাই পলাতক আছে। এদিকে ঘটনার পর ইতোমধ্যে ৬ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো কারখানার ভেতরের ধ্বংসস্থল আগের মতোই আছে। তদন্তের প্রয়োজন ও ঝুঁকির কারণে এখনো সরানো হয়নি ধংসস্তুপ। বৃহস্পতিবার কারখানার ভেতরে নিজস্ব আনসার ও কয়েকজন পুলিশ ছাড়া কাউকে দেখা যায়নি। অন্যদিকে বিস্ফোরণের পর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দুই শতাধিক পরিবার ও ১০টি কারখানায় পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। ফলে আতংকের মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে এলাকায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টায় সীতাকুন্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুরে অবস্থিত সীমা অক্সিজেন কারখানায় ভয়াবহ বিষ্ফোরণের পর ৭ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হন। এ ঘটনায় আশপাশের সকল বৈদ্যুতিক পিলার ও ট্রান্সফর্মার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ঐ এলাকায় কয়েক’শ পরিবার ও ১০টির অধিক শিল্প কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ। ভেঙে পড়ে বহু ঘর-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের দরজা-জানালার কাঁচ। এরই মধ্যে গত সোমবার রাতে নিহত এক ব্যক্তির স্ত্রী বাদী হয়ে সীতাকুন্ড থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে কারখানাটির তিন মালিকসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। তবে এখনো পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। এ বিষয়ে সীতাকুন্ড থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, সীমা অক্সিজেনে দুর্ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ তুলে নিহত এক শ্রমিক আব্দুল কাদের মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে ইতোমধ্যে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়েছে। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা যায়নি।