সিরাজগঞ্জে নারীরা কর্মক্ষেত্রে পুরুষের সাথে সমান তালে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। শুধু কর্মক্ষেত্রই না তারা নিজেরাও পুরুষের পাশাপাশি আয় করছেন । আর এর জন্য তারা ব্যাবসা, গবাদি পশু পালন, মৎস্য চাষসহ কৃষি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রেখে চলেছে । যার ফলে পরিবারে এসেছে সচ্ছলতা । বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিসে নারীরা গুরুত্বপূর্ন উচ্চ পদে চাকুরি করে নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে । নারীদের এই সাফল্যে পরবর্তী প্রজন্মের নারীরা আরো উৎসাহিত হচ্ছে । ইতিমধ্যেই জেলায় ন্রী শিক্ষার হার ও বেড়েছে বলে জানা গেছে । জেলার নারীরা উদ্যোগী হয়ে গড়ে তুলছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান । পুরুষের পাশাপাশি সমান তালে তারা এগিয়ে চলেছে । সরকারি বেসরকারি অফিস গুলোতে নারী কর্মকর্তাগন অত্যান্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সংসারও পরিচালনা করছেন । জেলার নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার সাথে সাথে নারী নির্যাতনের সংখ্যাও কমেছে । চাতাল শ্রমিক আলো ও আরোতিরা জানান আগে আমরা শুধু বাড়ির কাজ করতাম । তখন সংসারে অভাব অনটন লেগে থাকত । সংসারে সুখ শান্তি ছিল না । এখন আমরা পুরুষের পাশাপাশি ধানের চাতালে কাজ করি । সপ্তাহে ৩শ থেকে ৫শ মন ধান সিদ্ধ ও শুকানোর পর আমরা প্রতি মন ধান ১৮ টাকা হিসাবে ৫৪০০ টাকা থেকে ৯ হাজার টাকা পাই । এই টাকা গুলি আমরা ৪/৫ জন নারী পুরুষ মিলে সমান ভাবে ভাগ করে নেই । তারা জানান এখন আর আগের মত নারী শ্রমিকদের কম দেয়া হয় না । অথচ গত কয়েক বছর আগেও আমাদের মুজুরী পুরুষের চেয়ে কম দেয়া হতো। সিরাজগঞ্জ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার অতিারক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত ( উপ-পরিচালক ) ফাহিমা আল আশরাফ জানান মাহিলাদের আয় বর্ধক কাজে আগ্রহী করে তোলার জন্য এ বছর প্রায় ৪শ নারীকে প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা করা হয়েছে । প্রশিক্ষন প্রাপ্তদের চাহিদা মত ঋনের ব্যাবস্থও করা হয়েছে । এখান থেকে ঋন নিয়ে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত অধিকাংশ নারী স্বাবলম্বী হয়েছে । তিনি আরো জানান ২০ উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্না ইয়াসমিন সুমী বলেন, সব ক্ষেত্রেই নারীরা দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে । নারী পুরুষের ঐক্যবদ্ধ কর্মদক্ষতাই কৃষি ক্ষেত্রে বিল্পব ঘটিয়ে খাদ্যে স্বনির্ভর ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানকে তরান্বিত করবে । এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলেন আগের তুলনায় এখন জেলায় নারীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান অনেক ভালো । প্রশাসন ছাড়াও সরকারি ও বে সরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদে নারীরা আসীন হয়ে দক্ষতার সাথে কাজ করছেন ।তিনি আরো জানান নারীরা স্বাবলম্বী হওয়ায় জেলা জুড়ে নারী নির্যাতন অনেকটাই কমে গেছে ।
সিরাজগঞ্জ : ধানের চাতালে পুরুষের সঙ্গে সমানতালে কাজ করছেন এক নারী শ্রমিক -সংবাদ
আরও খবরশনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩ , ২৬ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৮ শবান ১৪৪৪
সিরাজগঞ্জ : ধানের চাতালে পুরুষের সঙ্গে সমানতালে কাজ করছেন এক নারী শ্রমিক -সংবাদ
সিরাজগঞ্জে নারীরা কর্মক্ষেত্রে পুরুষের সাথে সমান তালে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। শুধু কর্মক্ষেত্রই না তারা নিজেরাও পুরুষের পাশাপাশি আয় করছেন । আর এর জন্য তারা ব্যাবসা, গবাদি পশু পালন, মৎস্য চাষসহ কৃষি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রেখে চলেছে । যার ফলে পরিবারে এসেছে সচ্ছলতা । বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিসে নারীরা গুরুত্বপূর্ন উচ্চ পদে চাকুরি করে নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে । নারীদের এই সাফল্যে পরবর্তী প্রজন্মের নারীরা আরো উৎসাহিত হচ্ছে । ইতিমধ্যেই জেলায় ন্রী শিক্ষার হার ও বেড়েছে বলে জানা গেছে । জেলার নারীরা উদ্যোগী হয়ে গড়ে তুলছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান । পুরুষের পাশাপাশি সমান তালে তারা এগিয়ে চলেছে । সরকারি বেসরকারি অফিস গুলোতে নারী কর্মকর্তাগন অত্যান্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সংসারও পরিচালনা করছেন । জেলার নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার সাথে সাথে নারী নির্যাতনের সংখ্যাও কমেছে । চাতাল শ্রমিক আলো ও আরোতিরা জানান আগে আমরা শুধু বাড়ির কাজ করতাম । তখন সংসারে অভাব অনটন লেগে থাকত । সংসারে সুখ শান্তি ছিল না । এখন আমরা পুরুষের পাশাপাশি ধানের চাতালে কাজ করি । সপ্তাহে ৩শ থেকে ৫শ মন ধান সিদ্ধ ও শুকানোর পর আমরা প্রতি মন ধান ১৮ টাকা হিসাবে ৫৪০০ টাকা থেকে ৯ হাজার টাকা পাই । এই টাকা গুলি আমরা ৪/৫ জন নারী পুরুষ মিলে সমান ভাবে ভাগ করে নেই । তারা জানান এখন আর আগের মত নারী শ্রমিকদের কম দেয়া হয় না । অথচ গত কয়েক বছর আগেও আমাদের মুজুরী পুরুষের চেয়ে কম দেয়া হতো। সিরাজগঞ্জ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার অতিারক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত ( উপ-পরিচালক ) ফাহিমা আল আশরাফ জানান মাহিলাদের আয় বর্ধক কাজে আগ্রহী করে তোলার জন্য এ বছর প্রায় ৪শ নারীকে প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা করা হয়েছে । প্রশিক্ষন প্রাপ্তদের চাহিদা মত ঋনের ব্যাবস্থও করা হয়েছে । এখান থেকে ঋন নিয়ে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত অধিকাংশ নারী স্বাবলম্বী হয়েছে । তিনি আরো জানান ২০ উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্না ইয়াসমিন সুমী বলেন, সব ক্ষেত্রেই নারীরা দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে । নারী পুরুষের ঐক্যবদ্ধ কর্মদক্ষতাই কৃষি ক্ষেত্রে বিল্পব ঘটিয়ে খাদ্যে স্বনির্ভর ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানকে তরান্বিত করবে । এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলেন আগের তুলনায় এখন জেলায় নারীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান অনেক ভালো । প্রশাসন ছাড়াও সরকারি ও বে সরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদে নারীরা আসীন হয়ে দক্ষতার সাথে কাজ করছেন ।তিনি আরো জানান নারীরা স্বাবলম্বী হওয়ায় জেলা জুড়ে নারী নির্যাতন অনেকটাই কমে গেছে ।