সিদ্ধিরগঞ্জে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে দুটি ট্রান্সফর্মার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ট্রান্সফর্মার বহনকারী তিনটি বৈদ্যুতিক খুঁটির মধ্যে একটি লোহার খুঁটির অর্ধেক ভেঙ্গে গেছে। এতে যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা। সিদ্ধিরগঞ্জ রেবতী মোহন পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার দুটি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য আবেদন করলেও সরানো হয়নি ট্রান্সফরমার দুটি। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয়রা।
জানা যায়, ডিপিডিসির সিদ্ধিরগঞ্জ বিভাগের এনওসিএসর আওতাধীন মনোয়ার জুট মিল ফিডারের অধীনে দুটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার (এল-২১ ও এল-২৩) রয়েছে। যা সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকায় প্রধান সড়কের পাশে সিদ্ধিরগঞ্জ রেবতী মোহন পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের তিনটি বৈদ্যুতিক খুটির ওপর স্থাপিত। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী ছাড়াও কয়েক হাজার লোক বাজারে যাতায়াত করছে। তিনটি বৈদ্যুতিক খুঁটির মধ্যে একটি লোহার খুটি মরিচা ধরে অর্ধেক ভেঙ্গে গেছে।
এতে যে কোন সময় খুটি ভেঙ্গে গিয়ে ট্রান্সফর্মারটি মাটিতে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটনার আশঙ্কা করছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা। দোকানদার আনোয়ার হোসেন জানান, প্রায় সময় ট্রান্সফর্মার থেকে আগুনের স্পার্ক পড়তে দেখা যায়। এতে যে কোন সময় বিপদ ঘটতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা সোহরাব হোসেন জানান, যে স্থানে ট্রান্সফর্মার স্থাপন করা হয়েছে সে স্থান শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য লোকজন চলাচল করে। তাই জরুরি ভিত্তিতে ট্রান্সফর্মার দুটি অন্যত্র স্থানান্তর করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ মো. নুর ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দেয়াল ঘেঁসে স্থাপন করা দু’টি ট্রান্সফর্মারের তিনটি খুঁটির মধ্যে একটি লোহার খুঁটিতে অর্ধেক ভেঙ্গে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া শ্রেণী কার্যক্রমের সময় উক্ত ট্রান্সফর্মার থেকে আসা শব্দে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আতঙ্কের মধ্যে ক্লাশ করছে। তিনি আরও জানান, ট্রান্সফর্মার দু’টি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য ডিপিডিসির এনওসিএসর সিদ্ধিরগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করা হলেও তা সরানো হয়নি। এ বিষয়ে জানতে ডিপিডিসির এনওসিএসর সিদ্ধিরগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলামের মুঠো ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে একই অফিসের সহকারী প্রকৌশলী আকরাম হোসেন জানান, এ বিষয়ে আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩ , ২৬ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৮ শবান ১৪৪৪
প্রতিনিধি, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
সিদ্ধিরগঞ্জে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে দুটি ট্রান্সফর্মার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ট্রান্সফর্মার বহনকারী তিনটি বৈদ্যুতিক খুঁটির মধ্যে একটি লোহার খুঁটির অর্ধেক ভেঙ্গে গেছে। এতে যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা। সিদ্ধিরগঞ্জ রেবতী মোহন পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার দুটি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য আবেদন করলেও সরানো হয়নি ট্রান্সফরমার দুটি। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয়রা।
জানা যায়, ডিপিডিসির সিদ্ধিরগঞ্জ বিভাগের এনওসিএসর আওতাধীন মনোয়ার জুট মিল ফিডারের অধীনে দুটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার (এল-২১ ও এল-২৩) রয়েছে। যা সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকায় প্রধান সড়কের পাশে সিদ্ধিরগঞ্জ রেবতী মোহন পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের তিনটি বৈদ্যুতিক খুটির ওপর স্থাপিত। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী ছাড়াও কয়েক হাজার লোক বাজারে যাতায়াত করছে। তিনটি বৈদ্যুতিক খুঁটির মধ্যে একটি লোহার খুটি মরিচা ধরে অর্ধেক ভেঙ্গে গেছে।
এতে যে কোন সময় খুটি ভেঙ্গে গিয়ে ট্রান্সফর্মারটি মাটিতে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটনার আশঙ্কা করছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা। দোকানদার আনোয়ার হোসেন জানান, প্রায় সময় ট্রান্সফর্মার থেকে আগুনের স্পার্ক পড়তে দেখা যায়। এতে যে কোন সময় বিপদ ঘটতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা সোহরাব হোসেন জানান, যে স্থানে ট্রান্সফর্মার স্থাপন করা হয়েছে সে স্থান শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য লোকজন চলাচল করে। তাই জরুরি ভিত্তিতে ট্রান্সফর্মার দুটি অন্যত্র স্থানান্তর করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ মো. নুর ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দেয়াল ঘেঁসে স্থাপন করা দু’টি ট্রান্সফর্মারের তিনটি খুঁটির মধ্যে একটি লোহার খুঁটিতে অর্ধেক ভেঙ্গে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া শ্রেণী কার্যক্রমের সময় উক্ত ট্রান্সফর্মার থেকে আসা শব্দে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আতঙ্কের মধ্যে ক্লাশ করছে। তিনি আরও জানান, ট্রান্সফর্মার দু’টি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য ডিপিডিসির এনওসিএসর সিদ্ধিরগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করা হলেও তা সরানো হয়নি। এ বিষয়ে জানতে ডিপিডিসির এনওসিএসর সিদ্ধিরগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলামের মুঠো ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে একই অফিসের সহকারী প্রকৌশলী আকরাম হোসেন জানান, এ বিষয়ে আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।