খুলনা নগরের হৃৎপিন্ড হিসেবে পরিচিত ময়ূর নদের প্রাণ ফেরাতে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে গত ডিসেম্বরে শুরু হয় খনন। প্রত্যাশা ছিল এতে নদের প্রাণ ফিরবে, কমবে খুলনা নগরের জলাবদ্ধতা। তবে নদের বাঁকে বাঁকে দখল আর পদে পদে বাঁধার কারণে ব্যাহত হচ্ছে প্রত্যাশিত সেই খনন।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ জামান বলেন, বর্তমান মেয়রের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অন্যতম ছিল নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ৮২৩ কোটি টাকার ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন হয়। ওই প্রকল্পের আওতায় ময়ূর নদ খনন হচ্ছে।
আশরাফ-উজ জামান বলেন, একবার এ নদ খননের টাকা পানিতে গেছে। এ জন্য দ্বিতীয়বার খননের আগে নদের সীমানা চিহ্নিত করে কাজ শুরু করা উচিত ছিল। সীমানা নির্ধারণ করে সবপক্ষকে নিয়ে সঠিকভাবে কাজ করতে হবে। না হলে এবারও সুফল নিয়ে সংশয় দেখা দেবে।
খুলনার পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চের সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই-খুদা বলেন, ময়ূর নদ খননের নামে শুধু টাকা তছরুফই হচ্ছে। সুফল মিলছে না। একাধিকবার নদের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু আবারও সবকিছু দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
কুদরত ই খুদা আরও বলেন, আমাদের দাবি ছিল নদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সিএস ম্যাপ অনুযায়ী সীমানা উদ্ধার করে পিলার দেওয়া এবং শুধু নগর এলাকায় থাকা নদের অংশ খনন না করে বটিয়াঘাটার আলুতলা থেকে খনন করা। তা না হলে আলুতলার জলকপাট সঠিকভাবে পরিচালনা করা। কিন্তু খুলনা সিটি করপোরেশনের সেদিখে কোনো নজর নেই।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ময়ূর নদের খননকাজ শুরু করতে ২০২২ সালের ৭ জুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমিন অ্যান্ড কোং অ্যান্ড শহীদ এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেয় খুলনা সিটি করপোরেশন। চুক্তিমূল্য ৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। তবে বর্ষার কারণে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৬ মাস পর শুরু হয় কাজ।
প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জানা গেছে, নগরের বয়রা শ্মশান ঘাটের ৮০ মিটার উজান থেকে সাচিবুনিয়া ব্রিজের ১০০ মিটার পূর্ব পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৯১০ মিটার নদ কাটা হবে। গড়ে ২ থেকে ৭ ফুট পর্যন্ত নদ খনন করা হবে। ময়ূর নদ বর্তমানে ৬৬ থেকে ১৪৪ ফুট পর্যন্ত চওড়া রয়েছে। দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী নদের ৮৫ শতাংশ শক্ত মাটি ৫০০ মিটার দূরে এবং ১৫ শতাংশ নরম পেড়িমাটি ৫ কিলোমিটার দূরে রাখার কথা রয়েছে। শক্তমাটির ৭৫ শতাংশ কাটা হবে ভেকু দিয়ে। আর ১০ শতাংশ কাটা হবে শ্রমিক দিয়ে।
সম্প্রতি খনন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নদের বিভিন্ন অংশ বাঁশ ও বালুর বাঁধ দিয়ে দখল করে রাখা হয়েছে। কিছু অংশে নির্মাণ করা হয়েছে স্থাপনা। অনেক জায়গায় খুলনা সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের যৌথজরিপের পর স্থাপনা করা সীমানাখুঁটি তুলে ফেলা হয়েছে। এতে মূল নদের জায়গা ছোট হয়ে গেছে। দখল করা জায়গায় করা যাচ্ছে না খনন।
খননের দ্বিতীয় সেকশনের ত্রিমোহনা এলাকায় পরামর্শক সংস্থার নকশায় নদ রয়েছে ৪২ মিটার প্রশস্ত। ওইঅংশে ৪২ মিটারই খননের কথা বলা হয়েছে। তবে বাস্তবে ওইস্থানে নদ রয়েছে ২৬ মিটার। বাকি ১৬ মিটার জায়গায় বাড়িঘর ও গাছগাছালি। ফলে ২৬ মিটার খনন করেই কাজ শেষ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নদের সীমানা নির্ধারণ না হওয়ায় বাকিঅংশ আর খনন হয়নি। এ অবস্থায় ফের নদের সীমানা জরিপের কাজ শুরু করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন।
এদিকে ময়ূর নদে পেড়ি ও নরমমাটি বেশি থাকায় খননকাজে কাক্সিক্ষত গতি আসছে না। নরমমাটি বেশি থাকায় শশ্মান ঘাটের কাছে একটি সড়ক ধসে পড়েছে। শ্মশানঘাট ব্রিজের এ পাড় থেকে নদের প্রায় এক কিলোমিটার অংশ খনন করা হয়েছে। বাঁধ দিয়ে পানি শুকিয়ে ভেকুর সাহায্যে নদের মাটি কাটা হচ্ছে। এ কারণে খননকাজের পুরোটাই দৃশ্যমান। শুরু থেকে নদের প্রশস্ততা ঠিক থাকলেও ত্রিমোহনা এলাকায় এসে নদ সরু হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ত্রিমোহনার নতুন মসজিদের সামনে পরামর্শক সংস্থার নকশায় নদের প্রশস্ততা ৪২ মিটার উল্লেখ রয়েছে। তবে ২৬ মিটার কাটার পরে দু’পাশে বাড়িঘর পড়েছে। বাকিঅংশ না কেটেই খননকাজ সামনে এগিয়ে গেছে। ত্রিমোহনার সামনে একাধিকস্থানে বাঁশেরবাঁধ দিয়ে নদের জায়গা দখল করে বালু ফেলতে দেখা গেছে। মাহাতাব উদ্দিন সড়কের মাথায়, নদের অর্ধেকটাজুড়ে বাঁশেরবেড়া দিতে দেখা গেছে। ওইঅংশে সিটি করপোরেশনের সীমানা খুঁটি তুলে ফেলা হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান আমিন আহমেদ বলেন, নদের সীমানা যেটুকু ফাঁকা রয়েছে সেইঅংশে নদ খনন হচ্ছে। পাড়জুড়ে অবৈধদখলদার। মানুষের ঘরবাড়ি কাটতে গেলেই তারা তেড়ে আসেন। সিটি করপোরেশন নদের সীমানা চূড়ান্ত এবং স্থাপনা উচ্ছেদ করে বুঝিয়ে না দিলে বাকিঅংশ কাটা কষ্টকর।
খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ময়ূর নদ খননকাজে গাফিলতি বা বাধা সহ্য করা হবে না। নকশা অনুযায়ী নদ খনন করে আমাকে দেখিয়ে দিতে হবে। এরপর বিল পরিশোধ করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, আগে রূপসা নদীর সঙ্গে ময়ূরের সরাসরি সংযোগ থাকলেও এখন ময়ূর বদ্ধ নদ। একসময়ের স্রোতস্বিনী নদটি শ্রী ও গতি হারিয়ে মরা খাল। ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বটিয়াঘাটার আলুতলা জলকপাটের মাধ্যমে এর জোয়ার-ভাটা নিয়ন্ত্রিত হলেও জলকপাট বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে। ফলে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে একটু বৃষ্টি হলেই নগরে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা।
শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩ , ২৬ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৮ শবান ১৪৪৪
জেলা বার্তা পরিবেশক, খুলনা
খুলনা নগরের হৃৎপিন্ড হিসেবে পরিচিত ময়ূর নদের প্রাণ ফেরাতে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে গত ডিসেম্বরে শুরু হয় খনন। প্রত্যাশা ছিল এতে নদের প্রাণ ফিরবে, কমবে খুলনা নগরের জলাবদ্ধতা। তবে নদের বাঁকে বাঁকে দখল আর পদে পদে বাঁধার কারণে ব্যাহত হচ্ছে প্রত্যাশিত সেই খনন।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ জামান বলেন, বর্তমান মেয়রের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অন্যতম ছিল নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ৮২৩ কোটি টাকার ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন হয়। ওই প্রকল্পের আওতায় ময়ূর নদ খনন হচ্ছে।
আশরাফ-উজ জামান বলেন, একবার এ নদ খননের টাকা পানিতে গেছে। এ জন্য দ্বিতীয়বার খননের আগে নদের সীমানা চিহ্নিত করে কাজ শুরু করা উচিত ছিল। সীমানা নির্ধারণ করে সবপক্ষকে নিয়ে সঠিকভাবে কাজ করতে হবে। না হলে এবারও সুফল নিয়ে সংশয় দেখা দেবে।
খুলনার পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চের সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই-খুদা বলেন, ময়ূর নদ খননের নামে শুধু টাকা তছরুফই হচ্ছে। সুফল মিলছে না। একাধিকবার নদের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু আবারও সবকিছু দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
কুদরত ই খুদা আরও বলেন, আমাদের দাবি ছিল নদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সিএস ম্যাপ অনুযায়ী সীমানা উদ্ধার করে পিলার দেওয়া এবং শুধু নগর এলাকায় থাকা নদের অংশ খনন না করে বটিয়াঘাটার আলুতলা থেকে খনন করা। তা না হলে আলুতলার জলকপাট সঠিকভাবে পরিচালনা করা। কিন্তু খুলনা সিটি করপোরেশনের সেদিখে কোনো নজর নেই।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ময়ূর নদের খননকাজ শুরু করতে ২০২২ সালের ৭ জুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমিন অ্যান্ড কোং অ্যান্ড শহীদ এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেয় খুলনা সিটি করপোরেশন। চুক্তিমূল্য ৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। তবে বর্ষার কারণে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৬ মাস পর শুরু হয় কাজ।
প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জানা গেছে, নগরের বয়রা শ্মশান ঘাটের ৮০ মিটার উজান থেকে সাচিবুনিয়া ব্রিজের ১০০ মিটার পূর্ব পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৯১০ মিটার নদ কাটা হবে। গড়ে ২ থেকে ৭ ফুট পর্যন্ত নদ খনন করা হবে। ময়ূর নদ বর্তমানে ৬৬ থেকে ১৪৪ ফুট পর্যন্ত চওড়া রয়েছে। দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী নদের ৮৫ শতাংশ শক্ত মাটি ৫০০ মিটার দূরে এবং ১৫ শতাংশ নরম পেড়িমাটি ৫ কিলোমিটার দূরে রাখার কথা রয়েছে। শক্তমাটির ৭৫ শতাংশ কাটা হবে ভেকু দিয়ে। আর ১০ শতাংশ কাটা হবে শ্রমিক দিয়ে।
সম্প্রতি খনন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নদের বিভিন্ন অংশ বাঁশ ও বালুর বাঁধ দিয়ে দখল করে রাখা হয়েছে। কিছু অংশে নির্মাণ করা হয়েছে স্থাপনা। অনেক জায়গায় খুলনা সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের যৌথজরিপের পর স্থাপনা করা সীমানাখুঁটি তুলে ফেলা হয়েছে। এতে মূল নদের জায়গা ছোট হয়ে গেছে। দখল করা জায়গায় করা যাচ্ছে না খনন।
খননের দ্বিতীয় সেকশনের ত্রিমোহনা এলাকায় পরামর্শক সংস্থার নকশায় নদ রয়েছে ৪২ মিটার প্রশস্ত। ওইঅংশে ৪২ মিটারই খননের কথা বলা হয়েছে। তবে বাস্তবে ওইস্থানে নদ রয়েছে ২৬ মিটার। বাকি ১৬ মিটার জায়গায় বাড়িঘর ও গাছগাছালি। ফলে ২৬ মিটার খনন করেই কাজ শেষ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নদের সীমানা নির্ধারণ না হওয়ায় বাকিঅংশ আর খনন হয়নি। এ অবস্থায় ফের নদের সীমানা জরিপের কাজ শুরু করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন।
এদিকে ময়ূর নদে পেড়ি ও নরমমাটি বেশি থাকায় খননকাজে কাক্সিক্ষত গতি আসছে না। নরমমাটি বেশি থাকায় শশ্মান ঘাটের কাছে একটি সড়ক ধসে পড়েছে। শ্মশানঘাট ব্রিজের এ পাড় থেকে নদের প্রায় এক কিলোমিটার অংশ খনন করা হয়েছে। বাঁধ দিয়ে পানি শুকিয়ে ভেকুর সাহায্যে নদের মাটি কাটা হচ্ছে। এ কারণে খননকাজের পুরোটাই দৃশ্যমান। শুরু থেকে নদের প্রশস্ততা ঠিক থাকলেও ত্রিমোহনা এলাকায় এসে নদ সরু হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ত্রিমোহনার নতুন মসজিদের সামনে পরামর্শক সংস্থার নকশায় নদের প্রশস্ততা ৪২ মিটার উল্লেখ রয়েছে। তবে ২৬ মিটার কাটার পরে দু’পাশে বাড়িঘর পড়েছে। বাকিঅংশ না কেটেই খননকাজ সামনে এগিয়ে গেছে। ত্রিমোহনার সামনে একাধিকস্থানে বাঁশেরবাঁধ দিয়ে নদের জায়গা দখল করে বালু ফেলতে দেখা গেছে। মাহাতাব উদ্দিন সড়কের মাথায়, নদের অর্ধেকটাজুড়ে বাঁশেরবেড়া দিতে দেখা গেছে। ওইঅংশে সিটি করপোরেশনের সীমানা খুঁটি তুলে ফেলা হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান আমিন আহমেদ বলেন, নদের সীমানা যেটুকু ফাঁকা রয়েছে সেইঅংশে নদ খনন হচ্ছে। পাড়জুড়ে অবৈধদখলদার। মানুষের ঘরবাড়ি কাটতে গেলেই তারা তেড়ে আসেন। সিটি করপোরেশন নদের সীমানা চূড়ান্ত এবং স্থাপনা উচ্ছেদ করে বুঝিয়ে না দিলে বাকিঅংশ কাটা কষ্টকর।
খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ময়ূর নদ খননকাজে গাফিলতি বা বাধা সহ্য করা হবে না। নকশা অনুযায়ী নদ খনন করে আমাকে দেখিয়ে দিতে হবে। এরপর বিল পরিশোধ করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, আগে রূপসা নদীর সঙ্গে ময়ূরের সরাসরি সংযোগ থাকলেও এখন ময়ূর বদ্ধ নদ। একসময়ের স্রোতস্বিনী নদটি শ্রী ও গতি হারিয়ে মরা খাল। ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বটিয়াঘাটার আলুতলা জলকপাটের মাধ্যমে এর জোয়ার-ভাটা নিয়ন্ত্রিত হলেও জলকপাট বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে। ফলে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে একটু বৃষ্টি হলেই নগরে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা।