ফরিদপুরের সালথায় সরকারি জায়গা দখল করে পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উচ্ছেদের নোটিশ দেয়ার পরও মানা হচ্ছে না নির্দেশনা। সরেজমিনে দেখা যায়, রিদপুরের সালথায় সরকারি জায়গা দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের হাবেলী গট্টি গ্রামের মৃত গিয়াসউদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে মো. আলহাজের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখল করে রড সিমেন্টের তৈরি ঘর নির্মাণের অভিযোগ করেছে ঝুনাখালি গ্রামের ভুক্তভোগীরা।
উপজেলার ১০৯ হাবেলী গট্টি মৌজার ১নং খতিয়ানের ২০২ বিএস দাগে ১১ শতাংশ হালট শ্রেণীভুক্ত জমির ওপর অবৈধভাবে জায়গা দখল করে এই ঘর নির্মাণ করছেন আলহাজ। এর ফলে এই হালট দিয়ে চলাচলকারী ব্যক্তিরা ২৫ জন এলাকাবাসী স্বাক্ষরিত একটি পত্র সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দাখিল করা হয়েছে।
দেখা গেছে, এলাকার শতাধিক পরিবারের লোকজন এই হালট দিয়ে চলাচল করে থাকে। এই হালট দিয়ে তাদের উৎপাদিত ধান, পাট, পিয়াজসহ অন্য ফসল ভ্যান গাড়িতে করে আনা নেয়া করা হয়ে থাকে। হালটটির জায়গা দখল করার কারণে হালটটি সরু হয়ে যাওয়ায় এলাকার কৃষকেরা তাদের কৃষি পন্য আনা নেয়া করতে পারছেনা বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা কালু খাঁ বলেন, এই জমি তিন বার মেপে গিয়েছেন এসিল্যান্ড সাহেব। তারপর ও অবৈধ দখলকারি জমির মালিকরা কোন কথা না শুনে পাকা ঘর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে।
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা হালটের পাশের জমির মালিক জয়নাল আবেদিন অভিযোগ করে বলেন, তিন বার মাপের সময় এসিল্যান্ড সাহেব আমাদেরকে কোন নোটিশ না দিয়ে না জানিয়ে জমি মেপে এক ফুট আমাদের জমির মধ্যে ঢুকিয়ে পাকা ঘর রক্ষা করে দিয়ে যান। কারণ জানতে চাইলে জয়নাল আবেদনি বলেন, ওই জমির মালিক পয়সাওলা ও প্রভাবশালী, তারা এসিল্যান্ড সাহেবকে ম্যানেজে করে তিন বার মেপে পাকা ঘরকে রক্ষা করেছে।
এ ব্যাপারে সালথার এসিল্যান্ড মো. সালাউদ্দিন আইয়ূবীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলনে, সরকারি জমি যতটুকু দখল হয়েছে, পরবর্তী উচ্ছেদ অভিযানে দখলমুক্ত করা হবে জমিটি। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩ , ২৬ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৮ শবান ১৪৪৪
প্রতিনিধি, ফরিদপুর
ফরিদপুরের সালথায় সরকারি জায়গা দখল করে পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উচ্ছেদের নোটিশ দেয়ার পরও মানা হচ্ছে না নির্দেশনা। সরেজমিনে দেখা যায়, রিদপুরের সালথায় সরকারি জায়গা দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের হাবেলী গট্টি গ্রামের মৃত গিয়াসউদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে মো. আলহাজের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখল করে রড সিমেন্টের তৈরি ঘর নির্মাণের অভিযোগ করেছে ঝুনাখালি গ্রামের ভুক্তভোগীরা।
উপজেলার ১০৯ হাবেলী গট্টি মৌজার ১নং খতিয়ানের ২০২ বিএস দাগে ১১ শতাংশ হালট শ্রেণীভুক্ত জমির ওপর অবৈধভাবে জায়গা দখল করে এই ঘর নির্মাণ করছেন আলহাজ। এর ফলে এই হালট দিয়ে চলাচলকারী ব্যক্তিরা ২৫ জন এলাকাবাসী স্বাক্ষরিত একটি পত্র সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দাখিল করা হয়েছে।
দেখা গেছে, এলাকার শতাধিক পরিবারের লোকজন এই হালট দিয়ে চলাচল করে থাকে। এই হালট দিয়ে তাদের উৎপাদিত ধান, পাট, পিয়াজসহ অন্য ফসল ভ্যান গাড়িতে করে আনা নেয়া করা হয়ে থাকে। হালটটির জায়গা দখল করার কারণে হালটটি সরু হয়ে যাওয়ায় এলাকার কৃষকেরা তাদের কৃষি পন্য আনা নেয়া করতে পারছেনা বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা কালু খাঁ বলেন, এই জমি তিন বার মেপে গিয়েছেন এসিল্যান্ড সাহেব। তারপর ও অবৈধ দখলকারি জমির মালিকরা কোন কথা না শুনে পাকা ঘর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে।
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা হালটের পাশের জমির মালিক জয়নাল আবেদিন অভিযোগ করে বলেন, তিন বার মাপের সময় এসিল্যান্ড সাহেব আমাদেরকে কোন নোটিশ না দিয়ে না জানিয়ে জমি মেপে এক ফুট আমাদের জমির মধ্যে ঢুকিয়ে পাকা ঘর রক্ষা করে দিয়ে যান। কারণ জানতে চাইলে জয়নাল আবেদনি বলেন, ওই জমির মালিক পয়সাওলা ও প্রভাবশালী, তারা এসিল্যান্ড সাহেবকে ম্যানেজে করে তিন বার মেপে পাকা ঘরকে রক্ষা করেছে।
এ ব্যাপারে সালথার এসিল্যান্ড মো. সালাউদ্দিন আইয়ূবীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলনে, সরকারি জমি যতটুকু দখল হয়েছে, পরবর্তী উচ্ছেদ অভিযানে দখলমুক্ত করা হবে জমিটি। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।