দাম কমানোর আলোচনার মধ্যেই আদানির বিদ্যুৎ এলো বাংলাদেশে

ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় স্থাপিত ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটে সঞ্চালন লাইন দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ভারতীয় এই কোম্পানির বিদ্যুৎ বাংলাদেশের গ্রিডে যুক্ত হয় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন।

শুরুতে ২৫ মেগাওয়াট, রাত ৯টায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হয় গ্রিডে। পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ বাড়বে। আদানি পাওয়ারের গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ইউনিট চালু হলে বিদ্যুৎ আসবে মোট দেড় হাজার মেগাওয়াট।

কয়লা ও বিদ্যুতের দাম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে আদানির গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু হলো।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিক্রির জন্য ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় নিজস্ব অর্থায়নে ১৬০০ মেগাওয়াটের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয় আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার। ২০১৭ সালে আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ২৫ বছর মেয়াদী বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করে।

তবে আদানি কয়লার দাম অনেক বেশি ধরছে, ফলে বিদ্যুতের দামও বেশি পড়বে; যা বাংলাদেশের জন্য ক্ষতির হবে; আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং নজরদারী সংস্থার এমন প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর ভারতের লোকসভা এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদেও চুক্তি নিয়ে সমালোচনা হয়।

ভারতের আলোচিত শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপ ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বাংলাদেশের সঙ্গে আদানির বিদ্যুৎ ব্যবসা নিয়ে ভারতের লোকসভায় প্রশ্ন তোলে বিরোধীদল কংগ্রেস। দলটি নেতা রাহুল গান্ধী দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করেন লোকসভায়। কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদি চাপ প্রয়োগ করে আদানিকে বাংলাদেশে ব্যবসা পাইয়ে দিয়েছেন।

বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ি, চীন-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে নির্মিত পটুয়াখালীর পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতি টন কয়লার দাম পড়ছে ২৪৫ মার্কিন ডলার। প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াট/ঘণ্টা) বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়ছে ১৩-১৪ টাকা।

গোড্ডায় আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত পায়রার চেয়ে নি¤œমানের কয়লার দাম চাওয়া হচ্ছে ৩৪৭ মার্কিন ডলার, যা পরিবহন খরচসহ পড়বে প্রায় ৪০০ ডলার। পিডিবি এই দাম দিলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ আমদানীতে খরচ দাঁড়াবে ২২-২৪ টাকা।

পিডিবির সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের মত ডিসকাউন্ট ফ্যাক্টর বিবেচানয় নিলে আদানির কয়লার দাম ২১৫ ডলারে নেমে আসবে। তখন সঞ্চালন খরচসহ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১৬-১৭ টাকা হবে। বিশ্ববাজারে কয়লার দাম কমে আসলে বিদ্যুতের দামও কমবে। বাংলাদেশ সরকার গঠিত কমিটি আদানির সঙ্গে ফলপ্রসু আলোচনার মাধ্যমে কয়লার দাম কমাতে পারবে বলে দাবি ওই সূত্রের।

তবে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি জানায়। তাদের অভিযোগ, এই চুক্তিতে বাংলাদেশে স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি। আদানি বিজেপি সরকারের কাছ থেকে কর মৌকুফ সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশকে তা জানায়নি। বরং ওইসব করযুক্ত করে বিদ্যুতের দাম বেশি ধরছে। বিরোধী দলগুলো বলছে, আওয়ামী লীগ ভারত সরকারকে খুশি রাখার জন্য দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে আদানিকে কাজ দিয়েছে।

এদিকে, আদানি পাওয়ারের সঙ্গে পিডিবির চুক্তিকে অসম, অস্বচ্ছ ও বৈষম্যমূলক বলে দাবি করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলে, এই চুক্তির মাধ্যমে দেশের বিদ্যুৎ খাত কোম্পানিটির হাতে জিম্মি হয়ে পড়তে পারে।

কয়লা ও বিদ্যুতের দাম নিয়ে সমালোচনার মধ্যে ভারতের বেসরকারি শিল্পগোষ্ঠী আদানির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কয়েক দফা বৈঠক হয়। কয়লার দাম কমিয়ে ধরার মাধ্যমে বিদ্যুতের দাম কমানোর চাপ দেয় বাংলাদেশ। এরপর, এ বিষয়ে নতুন কোন সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না, তা কোন পক্ষই জানায়নি।

এখন বিদ্যুৎ আসা শুরুর হলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর আর্থিক প্রতিবেদন দেখে বাংলাদেশের কতটা লাভ-ক্ষতি হলো তা বোঝা যাবে বলে মনে করছেন জ্বালানি খাতের বিশ্লেষকরা।

বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পাশপাশি ঝাড়খন্ড থেকে বিদ্যুৎ বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য মোট ২৪৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে ভারতে ১০৮ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ১৩৬ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন রয়েছে।

আদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন সক্ষমতা এক হাজার পাঁচশ মেগাওয়াট। তবে আপাতত এর প্রথম ইউনিট ৭৫০ মেগাওয়াট চালু হতে যাচ্ছে। কেন্দ্রটির সমান ক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট আসতে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে।

image
আরও খবর
বিস্ফোরণ ঘটে ভবনের বেসমেন্টে অবৈধ গ্যাস সংযোগের লিকেজ থেকে
শান্তর ঝড়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারালো টাইগাররা
প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও কালো পতাকা
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ৯ ব্যক্তি ও ১ প্রতিষ্ঠান
বিস্ফোরণে দগ্ধ ও আহতরা কাতরাচ্ছেন হাসপাতালে
বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু, সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩
উত্তরায় সোয়া ১১ কোটি টাকা লুট ৯ ঘণ্টা পর ৯ কোটি উদ্ধার
বড় কোন দুর্যোগে নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার কাজের দুর্বলতা কেন?
ধসেপড়া ভবনে তল্লাশি কার্যক্রম বন্ধ
রমজান ঘিরে বাড়ছে দ্রব্যমূল্য, দিশেহারা মানুষ
সড়কের এক পাশ দিয়ে চলছে যাওয়া আসা, ভোগান্তিতে মানুষ
খালেদা জিয়া রাজনীতি ও নির্বাচন করতে পারবে কিনা বলবে আদালত : কাদের
উদ্ধার হওয়া টাকার অঙ্ক নিয়ে বিভ্রান্তি
আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বার্থে সংবিধান বারবার কাটাছেঁড়া করেছে : ফখরুল
ভারত থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল আসবে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে

শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩ , ২৬ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৮ শবান ১৪৪৪

দাম কমানোর আলোচনার মধ্যেই আদানির বিদ্যুৎ এলো বাংলাদেশে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় স্থাপিত ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটে সঞ্চালন লাইন দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ভারতীয় এই কোম্পানির বিদ্যুৎ বাংলাদেশের গ্রিডে যুক্ত হয় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন।

শুরুতে ২৫ মেগাওয়াট, রাত ৯টায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হয় গ্রিডে। পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ বাড়বে। আদানি পাওয়ারের গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ইউনিট চালু হলে বিদ্যুৎ আসবে মোট দেড় হাজার মেগাওয়াট।

কয়লা ও বিদ্যুতের দাম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে আদানির গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু হলো।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিক্রির জন্য ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় নিজস্ব অর্থায়নে ১৬০০ মেগাওয়াটের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয় আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার। ২০১৭ সালে আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ২৫ বছর মেয়াদী বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করে।

তবে আদানি কয়লার দাম অনেক বেশি ধরছে, ফলে বিদ্যুতের দামও বেশি পড়বে; যা বাংলাদেশের জন্য ক্ষতির হবে; আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং নজরদারী সংস্থার এমন প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর ভারতের লোকসভা এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদেও চুক্তি নিয়ে সমালোচনা হয়।

ভারতের আলোচিত শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপ ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বাংলাদেশের সঙ্গে আদানির বিদ্যুৎ ব্যবসা নিয়ে ভারতের লোকসভায় প্রশ্ন তোলে বিরোধীদল কংগ্রেস। দলটি নেতা রাহুল গান্ধী দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করেন লোকসভায়। কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদি চাপ প্রয়োগ করে আদানিকে বাংলাদেশে ব্যবসা পাইয়ে দিয়েছেন।

বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ি, চীন-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে নির্মিত পটুয়াখালীর পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতি টন কয়লার দাম পড়ছে ২৪৫ মার্কিন ডলার। প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াট/ঘণ্টা) বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়ছে ১৩-১৪ টাকা।

গোড্ডায় আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত পায়রার চেয়ে নি¤œমানের কয়লার দাম চাওয়া হচ্ছে ৩৪৭ মার্কিন ডলার, যা পরিবহন খরচসহ পড়বে প্রায় ৪০০ ডলার। পিডিবি এই দাম দিলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ আমদানীতে খরচ দাঁড়াবে ২২-২৪ টাকা।

পিডিবির সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের মত ডিসকাউন্ট ফ্যাক্টর বিবেচানয় নিলে আদানির কয়লার দাম ২১৫ ডলারে নেমে আসবে। তখন সঞ্চালন খরচসহ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১৬-১৭ টাকা হবে। বিশ্ববাজারে কয়লার দাম কমে আসলে বিদ্যুতের দামও কমবে। বাংলাদেশ সরকার গঠিত কমিটি আদানির সঙ্গে ফলপ্রসু আলোচনার মাধ্যমে কয়লার দাম কমাতে পারবে বলে দাবি ওই সূত্রের।

তবে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি জানায়। তাদের অভিযোগ, এই চুক্তিতে বাংলাদেশে স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি। আদানি বিজেপি সরকারের কাছ থেকে কর মৌকুফ সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশকে তা জানায়নি। বরং ওইসব করযুক্ত করে বিদ্যুতের দাম বেশি ধরছে। বিরোধী দলগুলো বলছে, আওয়ামী লীগ ভারত সরকারকে খুশি রাখার জন্য দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে আদানিকে কাজ দিয়েছে।

এদিকে, আদানি পাওয়ারের সঙ্গে পিডিবির চুক্তিকে অসম, অস্বচ্ছ ও বৈষম্যমূলক বলে দাবি করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলে, এই চুক্তির মাধ্যমে দেশের বিদ্যুৎ খাত কোম্পানিটির হাতে জিম্মি হয়ে পড়তে পারে।

কয়লা ও বিদ্যুতের দাম নিয়ে সমালোচনার মধ্যে ভারতের বেসরকারি শিল্পগোষ্ঠী আদানির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কয়েক দফা বৈঠক হয়। কয়লার দাম কমিয়ে ধরার মাধ্যমে বিদ্যুতের দাম কমানোর চাপ দেয় বাংলাদেশ। এরপর, এ বিষয়ে নতুন কোন সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না, তা কোন পক্ষই জানায়নি।

এখন বিদ্যুৎ আসা শুরুর হলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর আর্থিক প্রতিবেদন দেখে বাংলাদেশের কতটা লাভ-ক্ষতি হলো তা বোঝা যাবে বলে মনে করছেন জ্বালানি খাতের বিশ্লেষকরা।

বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পাশপাশি ঝাড়খন্ড থেকে বিদ্যুৎ বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য মোট ২৪৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে ভারতে ১০৮ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ১৩৬ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন রয়েছে।

আদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন সক্ষমতা এক হাজার পাঁচশ মেগাওয়াট। তবে আপাতত এর প্রথম ইউনিট ৭৫০ মেগাওয়াট চালু হতে যাচ্ছে। কেন্দ্রটির সমান ক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট আসতে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে।