ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হলো সত্যেন সেন গণসংগীত উৎসব

‘প্রলয় বাজাও গানে, সাহস জাগাও প্রাণে’- স্লোগান নিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শুরু হল বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত একাদশ সত্যেন সেন গণসংগীত উৎসব ও জাতীয় গণসংগীত প্রতিযোগিতা।

গতকাল বিকেলে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসব, উদ্বোধন করেন উদীচীর উপদেষ্টা ও লোকশিল্পী সাইদুর রহমান বয়াতি। তিন দিনব্যাপী উৎসব শেষ হবে কাল।

উদ্বোধনী আনুষ্ঠানে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত এবং সংগঠন সংগীত পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা। উদ্বোধন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে একাদশ উৎসবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একজন ঢাকি এবং ১০ জন ঢুলি মিলে ঢাক ও ঢোলের বাদ্যে চারপাশ মুখরিত করে তোলেন। এসময় নেচে গেয়ে আনন্দে মাতেন উদীচীর শিল্পী-কর্মীরা।

এরপর শুরু হয় আলোচনা পর্ব। উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা পর্বের শুরুতে আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল, উত্তরীয় এবং ক্রেস্ট দিয়ে স্বাগত জানান উদীচীর কেন্দ্রীয় নেতারা। আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন নাট্যজন ম. হামিদ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গণসংগীত শিল্পী কঙ্কন ভট্টাচার্য, গণসংগীত শিল্পী কফিল আহমেদ, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মাহমুদ সেলিম, হাবিবুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।

উৎসবের প্রথম দিন সন্ধ্যায় মঞ্চে একক গান পরিবেশন করেন শিল্পী কঙ্কন ভট্টাচার্য, ফকির সিরাজ, কফিল আহমেদ, তানভীর আলম সজীব, সুরাইয়া পারভীন, আবিদা রহমান সেতু ও শিল্পী আকতার। সম্মিলিত কণ্ঠে গণসংগীত পরিবেশন করেছে ঋষিজ, বহ্নিশিখা, সহজিয়া, ভিন্নধারা ও উদীচীর শিল্পীরা।

গতকাল সকাল ৯টা থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে শুরু হয় জাতীয় পর্যায়ের গণসংগীত প্রতিযোগিতা।

জেলা পর্যায়ের পর যেসব প্রতিযোগী বিভাগীয় পর্যায়ে বিজয়ী হয়েছেন তারা জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ (দলীয়)- এই চারটি বিভাগে প্রতিযোগিতা হয়। একক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে অনুর্ধ্ব-১২ বছর বয়সীরা ‘ক’ বিভাগে, অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সীরা ‘খ’ বিভাগে এবং ১৮ বছরের বেশি বয়সী সব প্রতিযোগী ‘গ’ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

দলীয় প্রতিযোগিতা (‘ঘ’ বিভাগ)-এর ক্ষেত্রে কমপক্ষে পাঁচজন শিল্পীর অংশগ্রহণ বাঞ্ছনীয় ছিল। তিনটি একক বিভাগে মোট ৪৮ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ‘ঘ’ বা দলীয় বিভাগে মোট ১০টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবদুল ওয়াদুদ, মাহমুদ সেলিম, ড. বিশ্বজিৎ রায় এবং শাহীন সরদার।

উৎসবের তৃতীয় ও শেষ দিন আগামীকাল ছায়ানট মিলনায়তনে। ভারত থেকে আগত অতিথি শিল্পী কঙ্কন ভট্টাচার্য, মন্দিরা ভট্টাচার্য্য ও রঞ্জিনী ভট্টাচার্য্যর পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে।

image

গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উদীচীর সত্যেন সেন গণসংগীত উৎসব -সংবাদ

আরও খবর
২৭ ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান
পঞ্চগড়ে আহমদিয়ার ওপর হামলা চালায় প্রশিক্ষিত দল
সিনিয়র সিটিজেনদের চিকিৎসায় ভোগান্তি দেখার কেউ নেই, লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ
যশোরে যুদ্ধদিনের দুঃসাহসিকতার গল্প শোনালেন তিন মুক্তিযোদ্ধা
জীবনধর্মী ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন : প্রধানমন্ত্রী
তত্ত্বাবধায়কের হুঙ্কার দিয়ে লাভ নেই
বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি ‘দেশবিরোধী’
দেশে রিজার্ভ এখন ৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম
নারীরা সর্বক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছে : তথ্যমন্ত্রী
সিদ্দিক বাজারের বিস্ফোরণের ঘটনায় নাশকতার আলামত পাওয়া যায়নি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রমজান উপলক্ষে রংপুরে টিসিবির পণ্য বিক্রয় শুরু
বার্ন ইউনিট ও মর্গের সামনে অপেক্ষায় স্বজনরা
২০৪১ সালের মধ্যে দুর্যোগ সহনশীল বাংলাদেশ হবে -প্রধানমন্ত্রী
ওয়াশিংটন পোস্টের ‘বিজ্ঞাপনে’ খর্ব হয়েছে ইউনূসের ভাবমূর্তি : তথ্যমন্ত্রী
শালুক সাহিত্য পুরস্কার পেলেন তিন দেশের কথাসাহিত্যিক ও কবি
কিডনি রোগীদের সরকারি-বেসরকারিভাবে ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা করতে হবে
খাতা চ্যালেঞ্জ করে নতুন করে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেন ৩১৫ জন
ওসির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা না নিয়ে আলামত নষ্টের চেষ্টার অভিযোগ
৩২ শিল্পীর চারুকলা প্রদর্শনী
রামপুরায় ৫তলা ভবনে আগুন, নিহত ১

শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩ , ২৬ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৮ শবান ১৪৪৪

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হলো সত্যেন সেন গণসংগীত উৎসব

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উদীচীর সত্যেন সেন গণসংগীত উৎসব -সংবাদ

‘প্রলয় বাজাও গানে, সাহস জাগাও প্রাণে’- স্লোগান নিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শুরু হল বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত একাদশ সত্যেন সেন গণসংগীত উৎসব ও জাতীয় গণসংগীত প্রতিযোগিতা।

গতকাল বিকেলে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসব, উদ্বোধন করেন উদীচীর উপদেষ্টা ও লোকশিল্পী সাইদুর রহমান বয়াতি। তিন দিনব্যাপী উৎসব শেষ হবে কাল।

উদ্বোধনী আনুষ্ঠানে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত এবং সংগঠন সংগীত পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা। উদ্বোধন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে একাদশ উৎসবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একজন ঢাকি এবং ১০ জন ঢুলি মিলে ঢাক ও ঢোলের বাদ্যে চারপাশ মুখরিত করে তোলেন। এসময় নেচে গেয়ে আনন্দে মাতেন উদীচীর শিল্পী-কর্মীরা।

এরপর শুরু হয় আলোচনা পর্ব। উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা পর্বের শুরুতে আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল, উত্তরীয় এবং ক্রেস্ট দিয়ে স্বাগত জানান উদীচীর কেন্দ্রীয় নেতারা। আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন নাট্যজন ম. হামিদ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গণসংগীত শিল্পী কঙ্কন ভট্টাচার্য, গণসংগীত শিল্পী কফিল আহমেদ, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মাহমুদ সেলিম, হাবিবুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।

উৎসবের প্রথম দিন সন্ধ্যায় মঞ্চে একক গান পরিবেশন করেন শিল্পী কঙ্কন ভট্টাচার্য, ফকির সিরাজ, কফিল আহমেদ, তানভীর আলম সজীব, সুরাইয়া পারভীন, আবিদা রহমান সেতু ও শিল্পী আকতার। সম্মিলিত কণ্ঠে গণসংগীত পরিবেশন করেছে ঋষিজ, বহ্নিশিখা, সহজিয়া, ভিন্নধারা ও উদীচীর শিল্পীরা।

গতকাল সকাল ৯টা থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে শুরু হয় জাতীয় পর্যায়ের গণসংগীত প্রতিযোগিতা।

জেলা পর্যায়ের পর যেসব প্রতিযোগী বিভাগীয় পর্যায়ে বিজয়ী হয়েছেন তারা জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ (দলীয়)- এই চারটি বিভাগে প্রতিযোগিতা হয়। একক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে অনুর্ধ্ব-১২ বছর বয়সীরা ‘ক’ বিভাগে, অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সীরা ‘খ’ বিভাগে এবং ১৮ বছরের বেশি বয়সী সব প্রতিযোগী ‘গ’ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

দলীয় প্রতিযোগিতা (‘ঘ’ বিভাগ)-এর ক্ষেত্রে কমপক্ষে পাঁচজন শিল্পীর অংশগ্রহণ বাঞ্ছনীয় ছিল। তিনটি একক বিভাগে মোট ৪৮ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ‘ঘ’ বা দলীয় বিভাগে মোট ১০টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবদুল ওয়াদুদ, মাহমুদ সেলিম, ড. বিশ্বজিৎ রায় এবং শাহীন সরদার।

উৎসবের তৃতীয় ও শেষ দিন আগামীকাল ছায়ানট মিলনায়তনে। ভারত থেকে আগত অতিথি শিল্পী কঙ্কন ভট্টাচার্য, মন্দিরা ভট্টাচার্য্য ও রঞ্জিনী ভট্টাচার্য্যর পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে।