পানি সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নিন
দেশে প্রতিনিয়ত ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকাসহ বরেন্দ্র এলাকাগুলোতে আশঙ্কাজনক হারে পানির স্তর নামছে। এদিকে নিরাপদ পানি স্যানিটেশনের অভাবে বাড়ছে পানিবাহিত নানা রোগ, ৭ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি এবং সাড়ে সাত কোটি মানুষ স্যানিটেশন বঞ্চিত। এ অবস্থায় আগামী ভবিষৎ নিয়ে শংকা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সবার জন্য নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে হলে আমাদের ভাবতে হবে সবার জন্য পানি আছে কিনা। আছে ৯৭ ভাগ লবণ পানি, ৩ ভাগ বরফ ও ১ ভাগের কম পানযোগ্য পানি।
খাবার পানির চাহিদা প্রচুর বাড়ছে কিন্তু পরিমাণ বাড়ছে না। ব্যবহার যোগ্য পানির পরিমাণ কমে আসছে। ঢাকায় যেখানে ৫০ বছর আগে ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার ২ থেকে ৩ মিটারের মধ্যে ছিল, বর্তমানে সেখানে ৮৬ মিটারে নেমে গেছে। এটা আমাদের জন্য খুবই অ্যালার্মিং।
এমজিডি অর্জন করতে হলে একটি জেলাকে নিয়ে ভাবলে হবে না। ঢাকায় পানির লেয়ার যেভাবে নীচে নেমে যাচ্ছে, একসময় এখান থেকে পানি তোলা কঠিন হয়ে যাবে। ঢাকার মতো একই সংকট দেশের অন্যান্য এলাকায়ও। এ সংকটকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে আগামী দিনের জন্য দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা অপরিহার্য বলে আমরা মনে করি।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
সিটি করপোরেশন সৌন্দর্যবর্ধনে পদক্ষেপ নিন
বাংলাদেশের সিটি করপোরেশনগুলোকে প্রধান শহর হিসেবে ধরা হয়। ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। এই ঢাকাকে উওর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আমাদের রাজধানীর এই দুই সিটি করপোরেশনকে দেশের প্রাণকেন্দ্র ধরা হয়। দেশের সবচেয়ে উন্নত সুযোগ সুবিধা ও সুন্দর জায়গা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি।
ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন পরিবেশ দূষণে সবার চেয়ে এগিয়ে। দূষিত শহরের তালিকায় সব সময় প্রথম সারিতে অবস্থান ঢাকার। শহরের পরিবেশ সুন্দর করার সব উদ্যোগ যেনো বিফলে যাচ্ছে। বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে রাস্তায় পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাস্টবিন নেই। যার ফলে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে এবং এতে পরিবেশ ও শহর অপরিচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে আমাদের সবাইর সচেতন হতে হবে। আমার দেশ, আমার দায়িত্ব। নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হয়ে সবাইকে সচেতন করতে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন প্রদক্ষেপ নিতে হবে। বসবাসযোগ্য শহর হিসেবে ঢাকার অবস্থান আসুক-এমনটাই প্রত্যাশা প্রতিটি নাগরিকদের।
ইসরাফিল আলম রাফিল
চবিতে সমাবর্তন চাই
আয়তনে বড় বিদ্যাপীঠ হিসেবে ধরা হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রানী হিসেবে পরিচিত। অসংখ্য সবুজ পাহাড়ে ভরপুর ২১০০ একরের এই বিদ্যাপীঠটি ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় স্থাপিত হয়। বর্তমানে এ বিদ্যাপীঠটিতে প্রায় ৩০ হাজারের মতো শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন গ্র্যাজুয়েশন শেষে কালো গাউন গায়ে জড়িয়ে সমাবর্তনে অংশ নেয়ার। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাতান্নতে পা রাখলেও মাত্র ৪ বার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নিয়ে গ্র্যাজুয়েটদের মনে বিষাদের অন্ত নেই।
চবি প্রতিষ্ঠার ২৮ বছর পর ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ সমাবর্তনটি অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি। ২০১৩ সালের পর যে সবাই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করেছেন, তাদের কেউ পাননি কাক্সিক্ষত সমাবর্তন। এ নিয়ে যেন আক্ষেপের শেষ নেই শিক্ষার্থীদের। দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে প্রায় ২ বছরে একবার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে প্রায় ৬ বছরে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১০ বছরে একবার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ১৪ বছরে একবার সমাবর্তন হচ্ছে, যা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই হতাশাজনক।
এই হতাশার প্রহরের সমাপ্তি ঘটিয়ে শিক্ষার্থীদের মনের অভিলাষকে মধুময় করার দাবি রইল কর্তৃপক্ষের কাছে। স্বপ্নদর্শীদের প্রাপ্তি তাদেরকে দেয়া হোক। কাক্সিক্ষত সমাবর্তনের আলোকিত অধ্যায়ে ছেয়ে যাক নতুন একটি শুভ মুহূর্ত। আমরা আশা করব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে সমাবর্তন আয়োজনে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
শর্ত খীসা
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩ , ২৬ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৮ শবান ১৪৪৪
পানি সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নিন
দেশে প্রতিনিয়ত ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকাসহ বরেন্দ্র এলাকাগুলোতে আশঙ্কাজনক হারে পানির স্তর নামছে। এদিকে নিরাপদ পানি স্যানিটেশনের অভাবে বাড়ছে পানিবাহিত নানা রোগ, ৭ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি এবং সাড়ে সাত কোটি মানুষ স্যানিটেশন বঞ্চিত। এ অবস্থায় আগামী ভবিষৎ নিয়ে শংকা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সবার জন্য নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে হলে আমাদের ভাবতে হবে সবার জন্য পানি আছে কিনা। আছে ৯৭ ভাগ লবণ পানি, ৩ ভাগ বরফ ও ১ ভাগের কম পানযোগ্য পানি।
খাবার পানির চাহিদা প্রচুর বাড়ছে কিন্তু পরিমাণ বাড়ছে না। ব্যবহার যোগ্য পানির পরিমাণ কমে আসছে। ঢাকায় যেখানে ৫০ বছর আগে ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার ২ থেকে ৩ মিটারের মধ্যে ছিল, বর্তমানে সেখানে ৮৬ মিটারে নেমে গেছে। এটা আমাদের জন্য খুবই অ্যালার্মিং।
এমজিডি অর্জন করতে হলে একটি জেলাকে নিয়ে ভাবলে হবে না। ঢাকায় পানির লেয়ার যেভাবে নীচে নেমে যাচ্ছে, একসময় এখান থেকে পানি তোলা কঠিন হয়ে যাবে। ঢাকার মতো একই সংকট দেশের অন্যান্য এলাকায়ও। এ সংকটকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে আগামী দিনের জন্য দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা অপরিহার্য বলে আমরা মনে করি।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
সিটি করপোরেশন সৌন্দর্যবর্ধনে পদক্ষেপ নিন
বাংলাদেশের সিটি করপোরেশনগুলোকে প্রধান শহর হিসেবে ধরা হয়। ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। এই ঢাকাকে উওর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আমাদের রাজধানীর এই দুই সিটি করপোরেশনকে দেশের প্রাণকেন্দ্র ধরা হয়। দেশের সবচেয়ে উন্নত সুযোগ সুবিধা ও সুন্দর জায়গা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি।
ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন পরিবেশ দূষণে সবার চেয়ে এগিয়ে। দূষিত শহরের তালিকায় সব সময় প্রথম সারিতে অবস্থান ঢাকার। শহরের পরিবেশ সুন্দর করার সব উদ্যোগ যেনো বিফলে যাচ্ছে। বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে রাস্তায় পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাস্টবিন নেই। যার ফলে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে এবং এতে পরিবেশ ও শহর অপরিচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে আমাদের সবাইর সচেতন হতে হবে। আমার দেশ, আমার দায়িত্ব। নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হয়ে সবাইকে সচেতন করতে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন প্রদক্ষেপ নিতে হবে। বসবাসযোগ্য শহর হিসেবে ঢাকার অবস্থান আসুক-এমনটাই প্রত্যাশা প্রতিটি নাগরিকদের।
ইসরাফিল আলম রাফিল
চবিতে সমাবর্তন চাই
আয়তনে বড় বিদ্যাপীঠ হিসেবে ধরা হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রানী হিসেবে পরিচিত। অসংখ্য সবুজ পাহাড়ে ভরপুর ২১০০ একরের এই বিদ্যাপীঠটি ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় স্থাপিত হয়। বর্তমানে এ বিদ্যাপীঠটিতে প্রায় ৩০ হাজারের মতো শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন গ্র্যাজুয়েশন শেষে কালো গাউন গায়ে জড়িয়ে সমাবর্তনে অংশ নেয়ার। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাতান্নতে পা রাখলেও মাত্র ৪ বার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নিয়ে গ্র্যাজুয়েটদের মনে বিষাদের অন্ত নেই।
চবি প্রতিষ্ঠার ২৮ বছর পর ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ সমাবর্তনটি অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি। ২০১৩ সালের পর যে সবাই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করেছেন, তাদের কেউ পাননি কাক্সিক্ষত সমাবর্তন। এ নিয়ে যেন আক্ষেপের শেষ নেই শিক্ষার্থীদের। দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে প্রায় ২ বছরে একবার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে প্রায় ৬ বছরে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১০ বছরে একবার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ১৪ বছরে একবার সমাবর্তন হচ্ছে, যা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই হতাশাজনক।
এই হতাশার প্রহরের সমাপ্তি ঘটিয়ে শিক্ষার্থীদের মনের অভিলাষকে মধুময় করার দাবি রইল কর্তৃপক্ষের কাছে। স্বপ্নদর্শীদের প্রাপ্তি তাদেরকে দেয়া হোক। কাক্সিক্ষত সমাবর্তনের আলোকিত অধ্যায়ে ছেয়ে যাক নতুন একটি শুভ মুহূর্ত। আমরা আশা করব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে সমাবর্তন আয়োজনে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
শর্ত খীসা
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়