বাজার তদারকি করা হোক

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম এখন মানুষের নাগালের বাইরে। বাজারে গেলে বুঝা যাই দ্রব্যমূল্যের দাম কী রকম পর্যায়ে বাড়ছে দিনের পর দিন। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ বুঝতেও পারছেন না কী কিনবেন বা কী খাবেন। হিমশিম খেতে হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করার সময়। মুরগি ও ডিমের দাম হঠাৎ করে বৃদ্ধির কারণে গরীবরা ক্রয় করতে পারছেন না।

যে মুরগি কেজি ১৩০ কেজি টাকা করে বিক্রি হতো, সে মুরগির দাম এখন ২৫০ টাকা। লেয়ার মুরগি ২৩০-২৫০ টাকা করে বিক্রি হতো, সে মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকার উপরে আর সোনালি মুরগি ৩৬০-৪৭০ টাকা আর দেশি মুরগি ৫৩০-৫৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম বাড়ছে ডিমের দামও। চট্টগ্রামে লেয়ার মুরগির ডিমের দাম ডজন ৩০-৩৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর সুপারশপগুলোতে ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ১০০-১১৫ টাকা।

এভাবে যদি মুরগি ও ডিমের দাম বাড়তে থাকে, তাহলে গরিবরা খাবে কি? গরিবরা মুরগি ও ডিম খাওয়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ অচিরেই দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে যাবে। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনধারণ কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। তাই অচিরেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক, ভোক্তা অধিকার ও সংশ্লিষ্ট সবাইর পক্ষ থেকে তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হোক।

রায়হান উদ্দিন

শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩ , ২৬ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৮ শবান ১৪৪৪

বাজার তদারকি করা হোক

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম এখন মানুষের নাগালের বাইরে। বাজারে গেলে বুঝা যাই দ্রব্যমূল্যের দাম কী রকম পর্যায়ে বাড়ছে দিনের পর দিন। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ বুঝতেও পারছেন না কী কিনবেন বা কী খাবেন। হিমশিম খেতে হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করার সময়। মুরগি ও ডিমের দাম হঠাৎ করে বৃদ্ধির কারণে গরীবরা ক্রয় করতে পারছেন না।

যে মুরগি কেজি ১৩০ কেজি টাকা করে বিক্রি হতো, সে মুরগির দাম এখন ২৫০ টাকা। লেয়ার মুরগি ২৩০-২৫০ টাকা করে বিক্রি হতো, সে মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকার উপরে আর সোনালি মুরগি ৩৬০-৪৭০ টাকা আর দেশি মুরগি ৫৩০-৫৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম বাড়ছে ডিমের দামও। চট্টগ্রামে লেয়ার মুরগির ডিমের দাম ডজন ৩০-৩৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর সুপারশপগুলোতে ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ১০০-১১৫ টাকা।

এভাবে যদি মুরগি ও ডিমের দাম বাড়তে থাকে, তাহলে গরিবরা খাবে কি? গরিবরা মুরগি ও ডিম খাওয়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ অচিরেই দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে যাবে। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনধারণ কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। তাই অচিরেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক, ভোক্তা অধিকার ও সংশ্লিষ্ট সবাইর পক্ষ থেকে তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হোক।

রায়হান উদ্দিন