বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, অ্যাগ্রো প্রসেসিং এবং ই-কমার্স খাতে চীন বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩’ শীর্ষ সম্মেলনে চীনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এ বিজনেস সামিটের আয়োজন করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের বড় রপ্তানিকারক দেশের একটি। তারা বলছে, তোমাদের দেশে আরও বিনিয়োগ করতে চাই। আমরা বলছি, তোমাদের জন্য সব কিছু ওপেন, তোমরা আসো, দেখো, আমাদের এখানে অনেকগুলো আইটেম আছে, যেখানে বিনিয়োগ করলে তোমাদের জন্য ভালো হবে।’
তিনি বলেন, ‘গত ৪০ বছর ধরে তোমাদের কাছ থেকে আমদানি করছি, এখন আমাদের দেশে বিনিয়োগ করতে পারো। তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, অ্যাগ্রো প্রসেসিং এবং ই-কমার্স খাতে বিনিয়োগ করবে, সেজন্য ব্যবসায়ীদের নিয়ে এসেছে। তারা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলবে। তারপর বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবে।’
এর আগে গতকাল সকালে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন দিনের সামিটে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাত নিয়ে ১৭টি সেমিনার ও তিনটি প্ল্যানারি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলনে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সিইও এবং ২০০ এর বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী, বিশ্বের ১৭টি দেশের ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নিয়েছেন।
এফবিসিসিআই স্বাধীনতার ৫০ বছরে অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অর্জন এবং রপ্তানি ও স্থানীয় ভোক্তা বাজারের পাশাপাশি বিনিয়োগ সক্ষমতা বিদেশিদের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছে। এ প্রসঙ্গে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দেশে বিনিয়োগ আনার সক্ষমতা ছিল না। এখন সেই সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। ওয়ালমার্ট, জারার মতো কোম্পানি কলকাতায় চলে এসেছে। এখন তাদের বাংলাদেশে আসার সময় হয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানির সম্ভাবনার পাশাপাশি লোকাল কনজ্যুমার মার্কেটও বড় হচ্ছে। দেশে এখন ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দৃশ্যমান। আমাদের এসব সক্ষমতা তুলে ধরা দরকার। অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সরকার বিজনেস ফ্যাসিলিটেশনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, সৌদি আরবের বাণিজ্য সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি, ভুটানের বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী কর্ম দর্জি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) উপ-মহাপরিচালক জিয়াংচেন জং। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন।
রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩ , ২৭ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৯ শবান ১৪৪৪
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, অ্যাগ্রো প্রসেসিং এবং ই-কমার্স খাতে চীন বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩’ শীর্ষ সম্মেলনে চীনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এ বিজনেস সামিটের আয়োজন করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের বড় রপ্তানিকারক দেশের একটি। তারা বলছে, তোমাদের দেশে আরও বিনিয়োগ করতে চাই। আমরা বলছি, তোমাদের জন্য সব কিছু ওপেন, তোমরা আসো, দেখো, আমাদের এখানে অনেকগুলো আইটেম আছে, যেখানে বিনিয়োগ করলে তোমাদের জন্য ভালো হবে।’
তিনি বলেন, ‘গত ৪০ বছর ধরে তোমাদের কাছ থেকে আমদানি করছি, এখন আমাদের দেশে বিনিয়োগ করতে পারো। তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, অ্যাগ্রো প্রসেসিং এবং ই-কমার্স খাতে বিনিয়োগ করবে, সেজন্য ব্যবসায়ীদের নিয়ে এসেছে। তারা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলবে। তারপর বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবে।’
এর আগে গতকাল সকালে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন দিনের সামিটে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাত নিয়ে ১৭টি সেমিনার ও তিনটি প্ল্যানারি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলনে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সিইও এবং ২০০ এর বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী, বিশ্বের ১৭টি দেশের ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নিয়েছেন।
এফবিসিসিআই স্বাধীনতার ৫০ বছরে অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অর্জন এবং রপ্তানি ও স্থানীয় ভোক্তা বাজারের পাশাপাশি বিনিয়োগ সক্ষমতা বিদেশিদের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছে। এ প্রসঙ্গে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দেশে বিনিয়োগ আনার সক্ষমতা ছিল না। এখন সেই সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। ওয়ালমার্ট, জারার মতো কোম্পানি কলকাতায় চলে এসেছে। এখন তাদের বাংলাদেশে আসার সময় হয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানির সম্ভাবনার পাশাপাশি লোকাল কনজ্যুমার মার্কেটও বড় হচ্ছে। দেশে এখন ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দৃশ্যমান। আমাদের এসব সক্ষমতা তুলে ধরা দরকার। অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সরকার বিজনেস ফ্যাসিলিটেশনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, সৌদি আরবের বাণিজ্য সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি, ভুটানের বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী কর্ম দর্জি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) উপ-মহাপরিচালক জিয়াংচেন জং। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন।