নোয়াখালীতে চেয়ারম্যানের অফিসে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট, আহত ৭

নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাৎ উল্যাহ সেলিমের অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় ৭ জন আহত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের পশ্চিম শুল্লুকিয়া গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ উল্যাহ সেলিমের বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সামাজিক একটি বিষয় নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা কবির ও হামজার মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইমতিয়াজ, হামজা, মামুন ও হেঞ্জুসহ একদল লোক চেয়ারম্যানের রড-সিমেন্ট দোকানে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় চেয়ারম্যানের বাবা এনায়েত উল্যাহ চিৎকার করলে তারা দক্ষিণ দিকে চলে যায়। পরে দক্ষিণ দিক থেকে আরও লোকজন একত্রিত হয়ে কয়েকটি ককটেল ফাটিয়ে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে চেয়ারম্যানের অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে তারা পাশের দোকানগুলোতেও হামলা ও ভাঙচুর করে। এ সময় তাদের হামলায় অন্তত ৭ জন আহত হয়।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. রাজু ও চেয়ারম্যানের রড সিমেন্ট দোকানের ম্যানেজার আবু নোমান বলেন, চেয়ারম্যানের সঙ্গে কোন ইসু ছাড়াই অন্য একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ইমতিয়াজের নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ উল্যাহ সেলিমের বাবা এনায়েত উল্যা বলেন, রাত ৯টার দিকে আমি দোকানে সারাদিনে বিক্রির হিসাব করতেছিলাম? এ সময় হঠাৎ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ হয়। মুহূর্তের মধ্যে ইমতিয়াজ নামের একজন সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে স্থানীয় হামজা, মামুন ও হেঞ্জুসহ একদল স্বীকৃত সন্ত্রাসী আমার দোকানে এসে দোকানের সার্টারে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ক্যাস বাক্সে থাকা নগদ ৩ লক্ষাধিক টাকা ও মালামাল লুট করে নেয়। এ সময় তারা আমার ছেলের অফিস ও পাশের দোকানপাট, কয়েকটি মোটরসাইকেলে ভাঙচুর করে। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে জাতির পিতার ছবিও রক্ষা পায়নি। তারা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করে ফ্লোরে ফেলে দেয়। এতে বাধা দিতে গেলে অস্ত্রধারীদের হামলায় ইসমাইল, করিম, রশিদ ও সুলতানসহ ৯ জন আহত হয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে আহতের মধ্যে গুরুত্বর আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাৎ উল্যাহ সেলিম বলেন, আমি ঘটনার সময় এলাকায় ছিলাম না। আমার অনুপস্থিতিতে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে সাবেক চেয়ারম্যানে মিজানুর রহমান নির্দেশে সদর পশ্চিমাঞ্চলের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের একত্রিত করে আমার অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।

রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩ , ২৭ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৯ শবান ১৪৪৪

নোয়াখালীতে চেয়ারম্যানের অফিসে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট, আহত ৭

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাৎ উল্যাহ সেলিমের অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় ৭ জন আহত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের পশ্চিম শুল্লুকিয়া গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ উল্যাহ সেলিমের বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সামাজিক একটি বিষয় নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা কবির ও হামজার মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইমতিয়াজ, হামজা, মামুন ও হেঞ্জুসহ একদল লোক চেয়ারম্যানের রড-সিমেন্ট দোকানে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় চেয়ারম্যানের বাবা এনায়েত উল্যাহ চিৎকার করলে তারা দক্ষিণ দিকে চলে যায়। পরে দক্ষিণ দিক থেকে আরও লোকজন একত্রিত হয়ে কয়েকটি ককটেল ফাটিয়ে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে চেয়ারম্যানের অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে তারা পাশের দোকানগুলোতেও হামলা ও ভাঙচুর করে। এ সময় তাদের হামলায় অন্তত ৭ জন আহত হয়।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. রাজু ও চেয়ারম্যানের রড সিমেন্ট দোকানের ম্যানেজার আবু নোমান বলেন, চেয়ারম্যানের সঙ্গে কোন ইসু ছাড়াই অন্য একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ইমতিয়াজের নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ উল্যাহ সেলিমের বাবা এনায়েত উল্যা বলেন, রাত ৯টার দিকে আমি দোকানে সারাদিনে বিক্রির হিসাব করতেছিলাম? এ সময় হঠাৎ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ হয়। মুহূর্তের মধ্যে ইমতিয়াজ নামের একজন সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে স্থানীয় হামজা, মামুন ও হেঞ্জুসহ একদল স্বীকৃত সন্ত্রাসী আমার দোকানে এসে দোকানের সার্টারে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ক্যাস বাক্সে থাকা নগদ ৩ লক্ষাধিক টাকা ও মালামাল লুট করে নেয়। এ সময় তারা আমার ছেলের অফিস ও পাশের দোকানপাট, কয়েকটি মোটরসাইকেলে ভাঙচুর করে। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে জাতির পিতার ছবিও রক্ষা পায়নি। তারা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করে ফ্লোরে ফেলে দেয়। এতে বাধা দিতে গেলে অস্ত্রধারীদের হামলায় ইসমাইল, করিম, রশিদ ও সুলতানসহ ৯ জন আহত হয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে আহতের মধ্যে গুরুত্বর আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাৎ উল্যাহ সেলিম বলেন, আমি ঘটনার সময় এলাকায় ছিলাম না। আমার অনুপস্থিতিতে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে সাবেক চেয়ারম্যানে মিজানুর রহমান নির্দেশে সদর পশ্চিমাঞ্চলের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের একত্রিত করে আমার অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।