কলাপাড়ায় নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে পাখার কর্মীদের নির্যাতনের অভিযোগ

আগামী ১৬ মার্চ ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন। নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর পক্ষে বহিরাগতদের মোটরসাইকেল মহড়া, হুমকি এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীর টর্চার সেলে নিয়ে প্রতিপক্ষের কর্মীদৈর নির্যাতনের অভিযোগে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। এমনকি এ ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে প্রার্থীরা । গত শুক্রবার হাত পাখা প্রার্থীর কর্মী বদরুল পাহোলানকে টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেও পুলিশ হাতপাখার ছয় কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এমনকি এ ঘটনায় দুই পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ নৌকার প্রার্থীর মামলা রেকর্ড করলেও হাত পাখার প্রার্থীর অভিযোগ আমলে নেয়নি।

হাত পাখা প্রার্থী মেজবা উদ্দিন খানের অভিযোগ, শুক্রবারের ঘটনায় পুলিশ তার ছয় কর্মী বেল্লাল হোসেন, মুসফিকুর রহমান, নেছার উদ্দিন চেীাকদার, রফিকুল ইসলাম, মালেক মোল্লা ও মালেক চৌকিদারকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে বেল্লাল হোসেন, মুসফিকুর রহমানকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় গ্রেফতার করে। তার অভিযোগ নৌকার প্রাথীর ভাই সাবেক কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাজী রুবেলের নেতৃত্বে সেলিম, সোহাগ ফকির, ছত্তার হাওলাদার, জিদান খান, জসিম মৃধা, সফেজ উদ্দিন মৃধা, শাহজাহান মিয়া, রিয়াজ হাওলাদারসহ শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালালেও পুলিশ তাদের কাউকে গ্রেফতার করেনি। এছাড়া পটুয়াখালী থেকে বহিরাগত সন্ত্রাসী জড়ো করে গোটা নির্বাচনী এলাকায় দিনে ও রাতে পাখার কর্মী ও ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ ঘটনায় থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও পুলিশ নীরব রয়েছে।

বরং তার কর্মীদের গ্রেফতার করছে। এতে ভোটাররা সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছে।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থীর কাজী হেমায়েত উদ্দিন হিরন শনিবার দুপুরে সংবাদ সন্মেলনে বলেন, তার ছয় কর্মীকে পাখার কর্মীরা পিটিয়ে আহত করেছে। তাদের মধ্যে জালালের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পাখা প্রতিকের প্রার্থীর করা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসীম জানান, থানায় দুই পক্ষ অভিযোগ দায়ের করলেও নৌকার প্রার্থীর অভিযোগটি রেকর্ড হয়েছে। কারন তাদের কিছু কর্মী জখম হয়েছে এবং হাসপাতালে রয়েছে। পাখা প্রতিকের প্রার্থী যে অভিযোগ দিয়েছে সেটি তদন্তাধীণ রয়েছে। তারা শুধু মামলার এজাহারভূক্ত আসামীদেরই গ্রেফতার করছেন বলে জানান।

রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩ , ২৭ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৯ শবান ১৪৪৪

কলাপাড়ায় নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে পাখার কর্মীদের নির্যাতনের অভিযোগ

প্রতিনিধি, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

আগামী ১৬ মার্চ ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন। নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর পক্ষে বহিরাগতদের মোটরসাইকেল মহড়া, হুমকি এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীর টর্চার সেলে নিয়ে প্রতিপক্ষের কর্মীদৈর নির্যাতনের অভিযোগে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। এমনকি এ ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে প্রার্থীরা । গত শুক্রবার হাত পাখা প্রার্থীর কর্মী বদরুল পাহোলানকে টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেও পুলিশ হাতপাখার ছয় কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এমনকি এ ঘটনায় দুই পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ নৌকার প্রার্থীর মামলা রেকর্ড করলেও হাত পাখার প্রার্থীর অভিযোগ আমলে নেয়নি।

হাত পাখা প্রার্থী মেজবা উদ্দিন খানের অভিযোগ, শুক্রবারের ঘটনায় পুলিশ তার ছয় কর্মী বেল্লাল হোসেন, মুসফিকুর রহমান, নেছার উদ্দিন চেীাকদার, রফিকুল ইসলাম, মালেক মোল্লা ও মালেক চৌকিদারকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে বেল্লাল হোসেন, মুসফিকুর রহমানকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় গ্রেফতার করে। তার অভিযোগ নৌকার প্রাথীর ভাই সাবেক কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাজী রুবেলের নেতৃত্বে সেলিম, সোহাগ ফকির, ছত্তার হাওলাদার, জিদান খান, জসিম মৃধা, সফেজ উদ্দিন মৃধা, শাহজাহান মিয়া, রিয়াজ হাওলাদারসহ শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালালেও পুলিশ তাদের কাউকে গ্রেফতার করেনি। এছাড়া পটুয়াখালী থেকে বহিরাগত সন্ত্রাসী জড়ো করে গোটা নির্বাচনী এলাকায় দিনে ও রাতে পাখার কর্মী ও ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ ঘটনায় থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও পুলিশ নীরব রয়েছে।

বরং তার কর্মীদের গ্রেফতার করছে। এতে ভোটাররা সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছে।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থীর কাজী হেমায়েত উদ্দিন হিরন শনিবার দুপুরে সংবাদ সন্মেলনে বলেন, তার ছয় কর্মীকে পাখার কর্মীরা পিটিয়ে আহত করেছে। তাদের মধ্যে জালালের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পাখা প্রতিকের প্রার্থীর করা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসীম জানান, থানায় দুই পক্ষ অভিযোগ দায়ের করলেও নৌকার প্রার্থীর অভিযোগটি রেকর্ড হয়েছে। কারন তাদের কিছু কর্মী জখম হয়েছে এবং হাসপাতালে রয়েছে। পাখা প্রতিকের প্রার্থী যে অভিযোগ দিয়েছে সেটি তদন্তাধীণ রয়েছে। তারা শুধু মামলার এজাহারভূক্ত আসামীদেরই গ্রেফতার করছেন বলে জানান।