প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। আমাদের নতুন লক্ষ্য ‘২০৪১ সালে আমাদের জনগোষ্ঠী স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। আমাদের গ্রাম, কৃষি সবকিছু হবে স্মার্ট। আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে, দেশের উন্নয়ন। আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২১০০ সালের মধ্য ডেল্টা প্ল্যান করে এই ভূখন্ড আরও উন্নত করবো।’
আওয়ামী লীগ দেশকে ধ্বংস করেছে বলে মিথ্যাচার ছড়ানোর জন্য বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিথ্যা বলা, দুর্নীতি ও লুটপাট করা তাদের অভ্যাস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বিকেলে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুনি, বিএনপির কোন এক নেতা আছে সারাদিন মাইক লাগিয়ে বসে থাকেন। বাংলাদেশটাকে নাকি আমরা ধ্বংস করে দিয়েছি।’
তিনি ময়মনসিংহবাসীর উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ময়মনসিংহে এক যোগে ১০৩টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন কি বাংলাদেশ ধ্বংসের নমুনা?
এর আগে সার্কিট হাউজ মাঠ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে ১০৩টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। এরমধ্যে প্রায় ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ সমাপ্ত ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং প্রায় ২ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী এসব উন্নয়ন প্রকল্পকে স্বাধীনতার মাসে ময়মনসিংহবাসীর জন্য উপহার হিসেবে উল্লেখ করে বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে বলেও জানান।
গতকালকে উদ্বোধন হওয়া ৭৩টি প্রকল্প এবং ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা ১০৩টি প্রকল্প কি ধ্বংসের নমুনা না তাদের কাজের ময়মনসিংহবাসীর কাছে সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
‘মিথ্যা বলাটাই তাদের পেশা’ এমন অভিমত ব্যক্ত করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এতিমের অর্থ আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আর তার ছেলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। যেখানে তারেক ও এবং কোকোর দুর্নীতি আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে বেরিয়েছে। এখন দেশ থেকে ভেগে (পলাতক) আছে আর তার সরকারের করে দেয়া ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে দূরে বসে রাজনীতিও করে। তার সরকারের দেয়া বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ‘তারা কিছুই করেন নাই’ বলে অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আসলে লুটপাট, চুরি, দুর্নীতি এটাই তাদের স্বভাব। লুটপাট, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাংলা ভাই এবং বাংলাদেশকে পাঁচ পাঁচবার দুর্নীতি চ্যাম্পিয়ন করা এবং আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দেয় তারা।
তার সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ায় আর বিএনপি ক্ষমতায় এসে তা কমিয়ে ফেলে, সাক্ষরতার হার কমিয়ে ফেলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে তার সরকার ১৬শ’ মেগাওয়াট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে ৪ হাজার ৩শ’ মেগাওয়াট করেছিল। সাক্ষরতার হারকে ৬৫ ভাগে উন্নীত করেছিল যা পরবর্তী বিএনপি জামায়াত সরকার না বাড়িয়ে উল্টো কমিয়ে ফেলে। আজকে সেখান থেকে তার সরকার দেশকে টেনে তুলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং সাক্ষরতার হারও ৭৫ দশমিক ২ ভাগে উন্নীত করেছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাসে চুরি ও দুর্নীতি এবং সাক্ষরতার হার কমানোর পেছনে বিএনপি নেতৃত্বের শিক্ষাগত যোগ্যতাকে দায়ী করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ছিল ম্যাট্রিক পাস, খালেদা জিয়া ম্যাট্রিক ফেল, আর তাদের ছেলে কয়েক স্কুল থেকে বহিস্কৃত হয়ে কোন এক অখ্যাত জায়গা থেকে একটি সার্টিফিকেট জোগাড় করেছে বলে শোনা যায়। কিন্তু কি পাস করেছে তা কেউ বলতে পারে না। তবে বোমা মারা, গ্রেনেড হামলা, লুটপাট, মানি লন্ডারিং, টাকা চুরি, দুর্নীতি, এতিমের অর্থ আত্মসাতে তারা সিদ্ধহস্ত। সেজন্য বাংলাদেশের মানুষ লেখাপড়া শিখে উন্নত হবে এটা তারা চায় না।
তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছি বলে আজ বিনা পয়সায় করোনা ভ্যাকসিন দিয়েছি। অনেক ধনী দেশ তা দিতে পারেনি। আমরা চাই আমাদেরে দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক। আমরা প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে আলোকিত করেছি। আর সেই আলোয় বসে বিএনপি আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন শতভাগ ডিজিটাল বাংলাদেশ। সবার হাতে হাতে এখন মোবাইল ফোন। কে দিয়েছে এই মোবাইল ফোন? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এই মোবাইল ফোন দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন ওয়াই-ফাই এসেছে। এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। আমরা নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। ২০৪১ সালে আমাদের জনগোষ্ঠী স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। আমাদের গ্রাম, কৃষি সবকিছু হবে স্মার্ট। আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের উন্নয়ন করা। আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২১০০ সালের মধ্য ডেল্টা প্ল্যান করে এই ভূখন্ড আরও উন্নত করবো। তিনি আরও বলেন, আপনারা অনেক কষ্ট করে এই সভায় এসেছেন। আপনারা এই সভাকে সাফল্যমন্ডিত করেছেন। আপনাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, রিক্ত আমি নিঃস্ব আমি দেবার কিছু নাই আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই। এর আগে হেলিকপ্টারযোগে ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
বিকেলে ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলমের সভাপতিত্বে জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক এমপি, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এমপি, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম এমপি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, ফজলে রাব্বী নাদেল, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আদমদ হোসেন, নাদেল, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি।
ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় গতকাল দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটে জনসভা মঞ্চে আসেন প্রধানমন্ত্রী। ৩টায় প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন। আসন গ্রহণের পর গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি, সংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করেন। একই সঙ্গে নৌকা প্রতীকের রেপ্লিকা প্রদান করা হয়। পরে কোরআন তিলাওয়াতের ও জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩ , ২৭ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৯ শবান ১৪৪৪
শরীফুজ্জামান টিটু, ময়মনসিংহ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। আমাদের নতুন লক্ষ্য ‘২০৪১ সালে আমাদের জনগোষ্ঠী স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। আমাদের গ্রাম, কৃষি সবকিছু হবে স্মার্ট। আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে, দেশের উন্নয়ন। আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২১০০ সালের মধ্য ডেল্টা প্ল্যান করে এই ভূখন্ড আরও উন্নত করবো।’
আওয়ামী লীগ দেশকে ধ্বংস করেছে বলে মিথ্যাচার ছড়ানোর জন্য বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিথ্যা বলা, দুর্নীতি ও লুটপাট করা তাদের অভ্যাস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বিকেলে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুনি, বিএনপির কোন এক নেতা আছে সারাদিন মাইক লাগিয়ে বসে থাকেন। বাংলাদেশটাকে নাকি আমরা ধ্বংস করে দিয়েছি।’
তিনি ময়মনসিংহবাসীর উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ময়মনসিংহে এক যোগে ১০৩টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন কি বাংলাদেশ ধ্বংসের নমুনা?
এর আগে সার্কিট হাউজ মাঠ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে ১০৩টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। এরমধ্যে প্রায় ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ সমাপ্ত ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং প্রায় ২ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী এসব উন্নয়ন প্রকল্পকে স্বাধীনতার মাসে ময়মনসিংহবাসীর জন্য উপহার হিসেবে উল্লেখ করে বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে বলেও জানান।
গতকালকে উদ্বোধন হওয়া ৭৩টি প্রকল্প এবং ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা ১০৩টি প্রকল্প কি ধ্বংসের নমুনা না তাদের কাজের ময়মনসিংহবাসীর কাছে সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
‘মিথ্যা বলাটাই তাদের পেশা’ এমন অভিমত ব্যক্ত করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এতিমের অর্থ আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আর তার ছেলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। যেখানে তারেক ও এবং কোকোর দুর্নীতি আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে বেরিয়েছে। এখন দেশ থেকে ভেগে (পলাতক) আছে আর তার সরকারের করে দেয়া ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে দূরে বসে রাজনীতিও করে। তার সরকারের দেয়া বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ‘তারা কিছুই করেন নাই’ বলে অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আসলে লুটপাট, চুরি, দুর্নীতি এটাই তাদের স্বভাব। লুটপাট, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাংলা ভাই এবং বাংলাদেশকে পাঁচ পাঁচবার দুর্নীতি চ্যাম্পিয়ন করা এবং আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দেয় তারা।
তার সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ায় আর বিএনপি ক্ষমতায় এসে তা কমিয়ে ফেলে, সাক্ষরতার হার কমিয়ে ফেলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে তার সরকার ১৬শ’ মেগাওয়াট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে ৪ হাজার ৩শ’ মেগাওয়াট করেছিল। সাক্ষরতার হারকে ৬৫ ভাগে উন্নীত করেছিল যা পরবর্তী বিএনপি জামায়াত সরকার না বাড়িয়ে উল্টো কমিয়ে ফেলে। আজকে সেখান থেকে তার সরকার দেশকে টেনে তুলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং সাক্ষরতার হারও ৭৫ দশমিক ২ ভাগে উন্নীত করেছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাসে চুরি ও দুর্নীতি এবং সাক্ষরতার হার কমানোর পেছনে বিএনপি নেতৃত্বের শিক্ষাগত যোগ্যতাকে দায়ী করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ছিল ম্যাট্রিক পাস, খালেদা জিয়া ম্যাট্রিক ফেল, আর তাদের ছেলে কয়েক স্কুল থেকে বহিস্কৃত হয়ে কোন এক অখ্যাত জায়গা থেকে একটি সার্টিফিকেট জোগাড় করেছে বলে শোনা যায়। কিন্তু কি পাস করেছে তা কেউ বলতে পারে না। তবে বোমা মারা, গ্রেনেড হামলা, লুটপাট, মানি লন্ডারিং, টাকা চুরি, দুর্নীতি, এতিমের অর্থ আত্মসাতে তারা সিদ্ধহস্ত। সেজন্য বাংলাদেশের মানুষ লেখাপড়া শিখে উন্নত হবে এটা তারা চায় না।
তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছি বলে আজ বিনা পয়সায় করোনা ভ্যাকসিন দিয়েছি। অনেক ধনী দেশ তা দিতে পারেনি। আমরা চাই আমাদেরে দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক। আমরা প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে আলোকিত করেছি। আর সেই আলোয় বসে বিএনপি আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন শতভাগ ডিজিটাল বাংলাদেশ। সবার হাতে হাতে এখন মোবাইল ফোন। কে দিয়েছে এই মোবাইল ফোন? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এই মোবাইল ফোন দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন ওয়াই-ফাই এসেছে। এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। আমরা নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। ২০৪১ সালে আমাদের জনগোষ্ঠী স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। আমাদের গ্রাম, কৃষি সবকিছু হবে স্মার্ট। আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের উন্নয়ন করা। আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২১০০ সালের মধ্য ডেল্টা প্ল্যান করে এই ভূখন্ড আরও উন্নত করবো। তিনি আরও বলেন, আপনারা অনেক কষ্ট করে এই সভায় এসেছেন। আপনারা এই সভাকে সাফল্যমন্ডিত করেছেন। আপনাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, রিক্ত আমি নিঃস্ব আমি দেবার কিছু নাই আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই। এর আগে হেলিকপ্টারযোগে ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
বিকেলে ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলমের সভাপতিত্বে জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক এমপি, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এমপি, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম এমপি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, ফজলে রাব্বী নাদেল, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আদমদ হোসেন, নাদেল, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি।
ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় গতকাল দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটে জনসভা মঞ্চে আসেন প্রধানমন্ত্রী। ৩টায় প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন। আসন গ্রহণের পর গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি, সংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করেন। একই সঙ্গে নৌকা প্রতীকের রেপ্লিকা প্রদান করা হয়। পরে কোরআন তিলাওয়াতের ও জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।