অর্থনৈতিক কূটনীতি বাড়াতে চায় ভারত-অস্ট্রেলিয়া

দুই দেশের বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে চলতি বছরই একটি বিস্তৃত চুক্তি স্বাক্ষর করছে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ।

সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বলেন, ‘বিভিন্ন খাতে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বাড়াতে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে আমাদের। পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন প্রকল্প, সৌরবিদ্যুৎ ও হাইড্রোজেন প্রকল্প নিয়ে চলতি বছরই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের চেষ্টা করব আমরা। এই ব্যাপারটিকে আমরা উভয়ই গুরুত্ব দিচ্ছি এই কারণে যে— জীবাশ্ম জ্বালানি পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ।’ সম্ভাব্য সেই চুক্তিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষার মতো ব্যাপারগুলো যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করা থাকবে বলেও জানান অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন চলতি বছরেই দক্ষিণ ভারতের মালাবার উপকূলে যৌথ সামরিক মহড়া আয়োজনের ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। ‘এই সফরের ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে যতখানি অগ্রগতি হয়েছে, তাকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি।’ গত ৮ মার্চ চার দিনের এক সরকারি ভারতে আসেন অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। সেদিন ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের রাজধানী আহমেদাবাদে এসে পৌঁছান তিনি।

ভারত সফরের আগেই এই সফরকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছিলেন অ্যালবানিজ। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘ভারতে একটি ব্যাবসায়িক প্রতিনিধিদল নিয়ে যাচ্ছি।

এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সফর হবে। সংস্কৃতি, অর্থনীতি নিরাপত্তা অর্থাৎ দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতি এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়ানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।’ গত বছর উভয় দেশ মুক্ত বাণিজ্য সংক্রান্ত একটি চুক্তি করেছিল। সেই চুক্তিটির নাম ইকোনোমিক কো অপারেশন অ্যান্ড ট্রেড এগ্রিমেন্ট।

২০২০ সাল থেকে কৌশলগত অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে সময় ভারত অস্ট্রেলিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ কৌশলগত মৈত্রী নিয়ে দ্বিধা কাটিয়ে উঠে এবং অস্ট্রেলিয়াকে বার্ষিক নৌ মালাবার অনুশীলনে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানায়। এই নৌ অনুশীলন নয়াদিল্লি যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের সাথে পরিচালনা করে। গত ডিসেম্বরে ভারত অস্ট্রেলিয়ান সেনার সাথে প্রথম যৌথ মহড়া করেছে। উভয় দেশই কোয়াড গ্রুপের সদস্য। গ্রুপটি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করতে চায়।

রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩ , ২৭ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৯ শবান ১৪৪৪

অর্থনৈতিক কূটনীতি বাড়াতে চায় ভারত-অস্ট্রেলিয়া

image

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি -এনডিটিভি

দুই দেশের বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে চলতি বছরই একটি বিস্তৃত চুক্তি স্বাক্ষর করছে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ।

সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বলেন, ‘বিভিন্ন খাতে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বাড়াতে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে আমাদের। পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন প্রকল্প, সৌরবিদ্যুৎ ও হাইড্রোজেন প্রকল্প নিয়ে চলতি বছরই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের চেষ্টা করব আমরা। এই ব্যাপারটিকে আমরা উভয়ই গুরুত্ব দিচ্ছি এই কারণে যে— জীবাশ্ম জ্বালানি পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ।’ সম্ভাব্য সেই চুক্তিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষার মতো ব্যাপারগুলো যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করা থাকবে বলেও জানান অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন চলতি বছরেই দক্ষিণ ভারতের মালাবার উপকূলে যৌথ সামরিক মহড়া আয়োজনের ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। ‘এই সফরের ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে যতখানি অগ্রগতি হয়েছে, তাকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি।’ গত ৮ মার্চ চার দিনের এক সরকারি ভারতে আসেন অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। সেদিন ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের রাজধানী আহমেদাবাদে এসে পৌঁছান তিনি।

ভারত সফরের আগেই এই সফরকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছিলেন অ্যালবানিজ। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘ভারতে একটি ব্যাবসায়িক প্রতিনিধিদল নিয়ে যাচ্ছি।

এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সফর হবে। সংস্কৃতি, অর্থনীতি নিরাপত্তা অর্থাৎ দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতি এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়ানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।’ গত বছর উভয় দেশ মুক্ত বাণিজ্য সংক্রান্ত একটি চুক্তি করেছিল। সেই চুক্তিটির নাম ইকোনোমিক কো অপারেশন অ্যান্ড ট্রেড এগ্রিমেন্ট।

২০২০ সাল থেকে কৌশলগত অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে সময় ভারত অস্ট্রেলিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ কৌশলগত মৈত্রী নিয়ে দ্বিধা কাটিয়ে উঠে এবং অস্ট্রেলিয়াকে বার্ষিক নৌ মালাবার অনুশীলনে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানায়। এই নৌ অনুশীলন নয়াদিল্লি যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের সাথে পরিচালনা করে। গত ডিসেম্বরে ভারত অস্ট্রেলিয়ান সেনার সাথে প্রথম যৌথ মহড়া করেছে। উভয় দেশই কোয়াড গ্রুপের সদস্য। গ্রুপটি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করতে চায়।