আগামী বুধবার ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ (ডিপিএল) শুরু হবে। এই উপলক্ষে গতকাল বিকেলে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ট্রফি উন্মোচন হয়ে গেছে। ক্লাবগুলোর অধিনায়কসহ সিসিডিএমের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শেরেবাংলায় জার্সি উন্মোচন হলেও উপস্থিত ছিলেন না মোহামেডানের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার বদলে ছিলেন এনামুল হক জুনিয়র। সাকিব রাজধানীর একটি হোটেলে মোহামেডানের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ইংল্যান্ড সিরিজের পর ১৮ মার্চ থেকে ঘরের মাটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে সাকিবরা। এই সিরিজের পরপরই ইংল্যান্ড সফরে যাবে ওয়ানডে দল। সেখানে আইরিশদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৩১ মার্চ থেকে শুরু হবে আইপিএল। যেখানে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলার কথা সাকিবের। এমন অবস্থায় মোহামেডানের হয়ে এই মৌসুমে খেলাও তার জন্য প্রায় অসম্ভব।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে মোহামেডানের দল পরিচিতি অনুষ্ঠান হয়। সেখানে সাকিব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা ও আইপিএলে দায়বদ্ধতার মাঝেই মোহামেডানের হয়ে খেলতে চান তিনি, ‘ইচ্ছা আছে সবগুলো খেলার, বাকিটা দেখা যাক। আমি যেটা বললাম চেষ্টা থাকবে সবগুলো ম্যাচ খেলার। জাতীয় দলে ও আইপিএলের একটা দায়বদ্ধতা আছে, কিন্তু এর মাঝেই চেষ্টা করবো যথা সম্ভব টিমের সঙ্গে থাকার এবং ম্যাচগুলো খেলোর।’

গত আসরে প্রিমিয়ার লীগ চলাকালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিল বাংলাদেশ দল। সেবার প্রথমবারের মতো প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ওয়ানডে জেতে বাংলাদেশ। দেশে ফেরার পর সাকিব মোহামেডানের জার্সিতে খেলার সুযোগ পাননি। কেননা ততক্ষণে মোহামেডান সুপার লীগ থেকে ছিটকে গেছে। কেন মোহামেডান আগেভাগে বিদায় নিলো, সেটার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সাকিব, ‘দেশের হয়ে ভালো কিছুর জন্যই (দক্ষিণ আফ্রিকায় জয়) মোহামেডান সুপার লীগে যেতে পারেনি। কারণ আমরা অনেকগুলো খেলোয়াড় ছিলাম যারা খেলতে পারিনি, সার্ভিস দিতে পারিনি। জাতীয় দলের দায়বদ্ধতার কারণে আমরা দিতে পারিনি। আশা করি আমরা এবার দল হয়ে খেলতে পারবো, ওরকম একটা ফল আনতে পারবো যেটা মোহামেডান অনেক দিন ধরে চাচ্ছে।’

পরিচিত অনুষ্ঠানে সব ক্রিকেটার উপস্থিত ছিলেন না। সাকিবের সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ, রনি তালুকদার, আবু জায়েদ রাহী ও খালেদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। গত আসরের মতো এবারও শক্তিশালী দল গঠন করেছে মোহামেডান। সাকিব আশা করছেন দল হিসেবে খেলতে পারলে মোহামেডানকে কাক্সিক্ষত শিরোপা উপহার দেয়ার সম্ভব হবে, ‘এটা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা দল হিসেবে যেন খেলতে পারি। একটা ভালো ম্যাচ খেলতে পারলাম, আরেকটা পারলাম না। এটা খুব একটা ভালো দিক না। যেহেতু সবাই পেশাদার খেলোয়াড় সবাই যার যার জায়গা থেকে দলের জন্য যথাসম্ভব অবদান রাখার চেষ্টা করতে পারলে আমরা প্রত্যাশা মতো ফল পাবো।’

গতবারের মতো এবারও মোহামেডানের নেতৃত্বে থাকবেন সাকিব। যদিও তার অনুপস্থিতিতে দল সামলাতে দেখা যাবে অন্য কাউকে। তারপরও অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেয়ায় মোহামেডানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাকিব, ‘প্রথমত ধন্যবাদ জানাই মোহামেডান ক্লাবকে আমাকে এতবড় একটা দায়িত্ব দিয়েছে। মোহামেডানের মতো একটা ক্লাবের অধিনায়কত্ব করা অনেক বড় সম্মানের। আমি চেষ্টা করবো সম্মানটা ধরে রাখার। গত বছর আমি যে টিমে খেলেছিলাম আমাদের আকাক্সক্ষা ছিল আমরা যেন চ্যাম্পিয়ন হতে পারি। ইনশাআল্লাহ একইভাবে আমরা চেষ্টা করবো যে এ বছর মোহামেডান যেন ভিন্ন একটা ফল করে এবং আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারি।’