জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শুরু হয় বেলা সাড়ে ১১টায়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

সভাশেষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

তিনি বলেন, ‘প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১২ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ৩ হাজার ৯৮ কোটি টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৮ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা এবং সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ১৫৬ কোটি টাকা।’

অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো- বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ট্রান্সমিশন-গ্রিড সম্প্রসারণ (১ম সংশোধিত)’, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রমোশন জেন্ডার রেসপন্সিভ ইন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টিভিইটি সিস্টেম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘কাস্টমস আধুনিকায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন’, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (ইউআরপি) : প্রজেক্ট কো অর্ডিনেশন অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট (পিসিএমইউ) (৩য় সংশোধিত)’।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প যথাক্রমে, ‘দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন (এসসিআরডি)’, ‘ময়মনসিংহ জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’, ‘অভিযোজন বৃদ্ধি ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকল্পে টেকসই অবকাঠামো (রিভার)’। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন ও নদী তীর সংরক্ষণ’।

এছাড়া চারটি প্রকল্প ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন (১ম সংশোধিত)’, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিপ মডেল টেস্টিং সেন্টার স্থাপন (টোয়িং ট্যাংক) (১ম সংশোধিত)’, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘গোপালগঞ্জ এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের তৃতীয় শাখা কারখানা স্থাপন (২য় সংশোধিত)’, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ‘খুলনা হতে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’।