পোশাক শিল্পের উন্নয়নে ঢাকায় বসছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

বাংলাদেশে টেকসই পোশাক উৎপাদনের সুযোগ ও সম্ভাবনা বিষয়ে আগামী ১৬ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও প্রদর্শনী। সম্মেলনে বিভিন্ন সেশনে আলোচনা করবেন দেশি-বিদেশি ৬০ জনেরও বেশি বক্তা।

এছাড়াও অংশ নেবে ২০টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের আয়োজনে সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের এই চতুর্থ সংস্করণের সম্মেলনে আলোচ্যসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে সার্কুলারিটি, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, ক্লাইমেট অ্যাকশন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে অগ্রযাত্রা ও মানবাধিকার বিষয়ক ডিউ ডিলিজেন্স ইত্যাদি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম ২০২৩-এ পোশাক প্রস্তুতকারক, সরকারি কর্মকর্তা এবং নীতিনির্ধারক, গ্রিন ফাইন্যান্স নিয়ে কাজ করা পেশাদার, মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ, সবুজ উৎপাদন ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ফ্যাশন সাসটেইনেবিলিটি এবং সোর্সিং দল এবং ফ্যাশন সাপ্লাই চেইনে কাজ করা এনজিওদের একই ছাদের নিছে নিয়ে এসেছে। যাতে সবাই কীভাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের যাত্রা আরও টেকসই হয় সেই বিষয়ে দিক নির্দেশনামূলক আলোকপাত করতে পারেন।

পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নের জন্য সম্মেলনে প্যানেল আলোচনা, সেমিনার, সবুজ প্রবৃদ্ধির ওপর প্রদর্শনী এবং অংশীজনদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং এর ব্যবস্থা থাকবে উল্লেখ করে তারা আরও জানিয়েছেন, সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যখন ফ্যাশন শিল্পে সাসটেইনেবিলিটি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সময় এসেছে। যেখানে এক সময় সাসটেইনিবিলিটি ছিল কেবল ঐচ্ছিক চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়, বিগত দুই বছরে তা অবশ্যপালনীয় আইন-কানুনে রূপ নিয়েছে। ফলে সাসটেইনিবিলিটি পারফরমেন্সে উন্নতি করতে ব্যর্থ হলে সম্মুখীন হতে হবে শাস্তির, যার মানে ফ্যাশন ব্র্যন্ডগুলোর জন্য সাপ্লাই চেইনে ডিই ডিলিজেন্স মেনে চলা এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের আয়োজক মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘প্রত্যেক বড় ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর কাছে আলোচনার বিষয় এখন একই, আর সেটি হলো ‘নেট জিরো’ লক্ষ্য পূরণের জন্য আমরা কীভাবে আমাদের কার্বন নিঃসরণ কমাতে পারি।

বছরের পর বছর ধরে ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানোর ব্যাপারে তাদের নিজস্ব খুচরা বিক্রয় কার্যক্রমের ওপর মনোযোগ দিয়ে আসছিল। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায় যে, ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্বন নিঃসরণ হয় ৩ নম্বর স্তরে (টায়ার-৩) অর্থাৎ সাপ্লাই চেইনে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং সাসটেইনিবিলিটি পারফরমেন্সে ভালো করার বিভিন্ন চ্যলেঞ্জগুলো ও পন্থা নিয়ে দিক নির্দেশনামূলক আলোচনা ও মতবিনিময় করার একটি কার্যকর ক্ষেত্র তৈরি করেছে সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম। আর এ কারণেই এ সম্মেলন সবার কাছে এতটা গুরুত্বপূর্ণ। সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম ফ্যাশন এবং টেক্সটাইল শিল্পের সঙ্গে জড়িত সব গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের পাশাপাশি নীতিনির্ধারক এবং ব্যবসায়ীদের একই জায়গা নিয়ে এসেছে; যাতে সবাই মিলে এ শিল্পর সব সমস্যার সমাধান বের করে তা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।’

সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩ , ২৮ ফাল্গুন ১৪২৯, ২০ শবান ১৪৪৪

পোশাক শিল্পের উন্নয়নে ঢাকায় বসছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বাংলাদেশে টেকসই পোশাক উৎপাদনের সুযোগ ও সম্ভাবনা বিষয়ে আগামী ১৬ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও প্রদর্শনী। সম্মেলনে বিভিন্ন সেশনে আলোচনা করবেন দেশি-বিদেশি ৬০ জনেরও বেশি বক্তা।

এছাড়াও অংশ নেবে ২০টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের আয়োজনে সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের এই চতুর্থ সংস্করণের সম্মেলনে আলোচ্যসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে সার্কুলারিটি, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, ক্লাইমেট অ্যাকশন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে অগ্রযাত্রা ও মানবাধিকার বিষয়ক ডিউ ডিলিজেন্স ইত্যাদি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম ২০২৩-এ পোশাক প্রস্তুতকারক, সরকারি কর্মকর্তা এবং নীতিনির্ধারক, গ্রিন ফাইন্যান্স নিয়ে কাজ করা পেশাদার, মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ, সবুজ উৎপাদন ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ফ্যাশন সাসটেইনেবিলিটি এবং সোর্সিং দল এবং ফ্যাশন সাপ্লাই চেইনে কাজ করা এনজিওদের একই ছাদের নিছে নিয়ে এসেছে। যাতে সবাই কীভাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের যাত্রা আরও টেকসই হয় সেই বিষয়ে দিক নির্দেশনামূলক আলোকপাত করতে পারেন।

পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নের জন্য সম্মেলনে প্যানেল আলোচনা, সেমিনার, সবুজ প্রবৃদ্ধির ওপর প্রদর্শনী এবং অংশীজনদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং এর ব্যবস্থা থাকবে উল্লেখ করে তারা আরও জানিয়েছেন, সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যখন ফ্যাশন শিল্পে সাসটেইনেবিলিটি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সময় এসেছে। যেখানে এক সময় সাসটেইনিবিলিটি ছিল কেবল ঐচ্ছিক চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়, বিগত দুই বছরে তা অবশ্যপালনীয় আইন-কানুনে রূপ নিয়েছে। ফলে সাসটেইনিবিলিটি পারফরমেন্সে উন্নতি করতে ব্যর্থ হলে সম্মুখীন হতে হবে শাস্তির, যার মানে ফ্যাশন ব্র্যন্ডগুলোর জন্য সাপ্লাই চেইনে ডিই ডিলিজেন্স মেনে চলা এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের আয়োজক মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘প্রত্যেক বড় ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর কাছে আলোচনার বিষয় এখন একই, আর সেটি হলো ‘নেট জিরো’ লক্ষ্য পূরণের জন্য আমরা কীভাবে আমাদের কার্বন নিঃসরণ কমাতে পারি।

বছরের পর বছর ধরে ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানোর ব্যাপারে তাদের নিজস্ব খুচরা বিক্রয় কার্যক্রমের ওপর মনোযোগ দিয়ে আসছিল। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায় যে, ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্বন নিঃসরণ হয় ৩ নম্বর স্তরে (টায়ার-৩) অর্থাৎ সাপ্লাই চেইনে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং সাসটেইনিবিলিটি পারফরমেন্সে ভালো করার বিভিন্ন চ্যলেঞ্জগুলো ও পন্থা নিয়ে দিক নির্দেশনামূলক আলোচনা ও মতবিনিময় করার একটি কার্যকর ক্ষেত্র তৈরি করেছে সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম। আর এ কারণেই এ সম্মেলন সবার কাছে এতটা গুরুত্বপূর্ণ। সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম ফ্যাশন এবং টেক্সটাইল শিল্পের সঙ্গে জড়িত সব গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের পাশাপাশি নীতিনির্ধারক এবং ব্যবসায়ীদের একই জায়গা নিয়ে এসেছে; যাতে সবাই মিলে এ শিল্পর সব সমস্যার সমাধান বের করে তা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।’