বাউত উৎসবে মাছ ধরতে মানুষের ঢল

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাউত উৎসবে’ শত শত মানুষের ঢল নেমেছে। গ্রাম বাংলার চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী এ বাউত উৎসবে মেতে উঠেছেন হাজারো সৌখিন মৎস্য শিকারি।গত শনিবার মোহনপুর ত্রিমোহনী এলাকায় বিলসূর্য নদীতে বাউত উৎসব হয়েছে। বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক ব্যক্তি বেলা সাড়ে ১১টায় পলো নিয়ে মাছ ধরতে নেমেছিলেন এজলা এলাকায়। চাকসা এলাকা থেকে বাউত নেমে মাছ ধরা শুরু হয়। নদীর প্রায় আধা কিলোমিটার মাছ ধরা হয়। অনেকেই পলো চাপিয়ে মাছ পেয়েছেন। মোহনপুর গ্রামের হাসান আলী বেশ কয়েকটি বোয়াল মাছ ধরতে পেয়েছেন। প্রতি মাছের ওজন প্রায় দেড় কেজি করে হবে।প্রসঙ্গত, গ্রামবাংলার বড় বড় বিলে আশপাশের গ্রামবাসী এক দিন একত্র হয়ে দলবদ্ধভাবে মাছ শিকারে নামেন। গ্রামের হাট বা বাজারে টিন পিটিয়ে বা শিং ফুকিয়ে এই মাছ শিকারের দিনটির কথা অন্তত চার থেকে পাঁচ দিন আগেই ঘোষণা করা হয়। এ খবরে বিলের পাশের গ্রামগুলোতে দেখা দেয় উৎসবের আমেজ। এরপর পলো, কুচসহ বিভিন্ন প্রকার জাল দিয়ে গ্রামবাসী আনন্দের সঙ্গে ঘোষিত নির্ধারিত দিনে মাছ শিকার করেন। এভাবে দলবেঁধে হইহল্লোড় করে গ্রামের যুবক ও মধ্য বয়সিরাও মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত হয়ে পরেন, মোফাজ্জল নামের একজন মাছ শিকারী বলেন , ‘আমি আমার টিম নিয়ে মাছ ধরতে এসেছি। এই টিমে সকলেই পলো দিয়ে মাছ ধরে। মাছ ধরা শেষে আমরা মাছগুলো সকলের ইচ্ছায় যৌথভাবে ভাগ করে দেই। এভাবেই আমরা অনেক মজা করে মাছ শিকার করি।’ এভাবে মাছ শিকার করাকে স্থানীয়ভাবে ‘বাউত’ উৎসব বলা হয় এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, উপজেলার ত্রিমোহনী এলাকায় বিলসূর্য নদীতে বাউত উৎসব হয়েছে। প্রতিবছর এই উৎসব হয়। শত শত সৌখিন মাছ শিকারি এই সময়ে এ উৎসব পালন করে। এই অঞ্চলের মানুষের এটি একটি অতি পুরোনো উৎসব। বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ মিলিত হয়ে মাছ শিকারের এই উৎসব আজও টিকিয়ে রেখেছেন এই অঞ্চলের মানুষ।

সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩ , ২৮ ফাল্গুন ১৪২৯, ২০ শবান ১৪৪৪

বাউত উৎসবে মাছ ধরতে মানুষের ঢল

প্রতিনিধি, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাউত উৎসবে’ শত শত মানুষের ঢল নেমেছে। গ্রাম বাংলার চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী এ বাউত উৎসবে মেতে উঠেছেন হাজারো সৌখিন মৎস্য শিকারি।গত শনিবার মোহনপুর ত্রিমোহনী এলাকায় বিলসূর্য নদীতে বাউত উৎসব হয়েছে। বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক ব্যক্তি বেলা সাড়ে ১১টায় পলো নিয়ে মাছ ধরতে নেমেছিলেন এজলা এলাকায়। চাকসা এলাকা থেকে বাউত নেমে মাছ ধরা শুরু হয়। নদীর প্রায় আধা কিলোমিটার মাছ ধরা হয়। অনেকেই পলো চাপিয়ে মাছ পেয়েছেন। মোহনপুর গ্রামের হাসান আলী বেশ কয়েকটি বোয়াল মাছ ধরতে পেয়েছেন। প্রতি মাছের ওজন প্রায় দেড় কেজি করে হবে।প্রসঙ্গত, গ্রামবাংলার বড় বড় বিলে আশপাশের গ্রামবাসী এক দিন একত্র হয়ে দলবদ্ধভাবে মাছ শিকারে নামেন। গ্রামের হাট বা বাজারে টিন পিটিয়ে বা শিং ফুকিয়ে এই মাছ শিকারের দিনটির কথা অন্তত চার থেকে পাঁচ দিন আগেই ঘোষণা করা হয়। এ খবরে বিলের পাশের গ্রামগুলোতে দেখা দেয় উৎসবের আমেজ। এরপর পলো, কুচসহ বিভিন্ন প্রকার জাল দিয়ে গ্রামবাসী আনন্দের সঙ্গে ঘোষিত নির্ধারিত দিনে মাছ শিকার করেন। এভাবে দলবেঁধে হইহল্লোড় করে গ্রামের যুবক ও মধ্য বয়সিরাও মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত হয়ে পরেন, মোফাজ্জল নামের একজন মাছ শিকারী বলেন , ‘আমি আমার টিম নিয়ে মাছ ধরতে এসেছি। এই টিমে সকলেই পলো দিয়ে মাছ ধরে। মাছ ধরা শেষে আমরা মাছগুলো সকলের ইচ্ছায় যৌথভাবে ভাগ করে দেই। এভাবেই আমরা অনেক মজা করে মাছ শিকার করি।’ এভাবে মাছ শিকার করাকে স্থানীয়ভাবে ‘বাউত’ উৎসব বলা হয় এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, উপজেলার ত্রিমোহনী এলাকায় বিলসূর্য নদীতে বাউত উৎসব হয়েছে। প্রতিবছর এই উৎসব হয়। শত শত সৌখিন মাছ শিকারি এই সময়ে এ উৎসব পালন করে। এই অঞ্চলের মানুষের এটি একটি অতি পুরোনো উৎসব। বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ মিলিত হয়ে মাছ শিকারের এই উৎসব আজও টিকিয়ে রেখেছেন এই অঞ্চলের মানুষ।