আধঘণ্টার মধ্যে নতুন প্রক্টর নিয়োগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে ১৬ জন শিক্ষক একযোগে পদত্যাগ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে তারা পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। গতকাল দুপুরে ১৬ শিক্ষক একযোগে চবির রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। জানতে চাইলে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমেদ বলেন, ১৬ জনের পদত্যাগপত্র পেয়েছি। উনারা ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদত্যাগ করেছেন। এদিকে প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার পদত্যাগের আধঘণ্টা না পেরুতেই নতুন প্রক্টর নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে নতুন প্রক্টর নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন প্রক্টর হলেন- মেরিন সাইন্স ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার। ১২ মার্চ থেকে নিয়ম মোতাবেক প্রদেয় ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাসহ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
জানা গেছে, প্রশাসনিক মোট ১৮টি পদের মধ্য থেকে দু’জন ছাড়া বাকি সবাই পদত্যাগ করেছেন। এদের মধ্যে আছেন- প্রক্টর ড. রবিউল ইসলাম ভূঁইয়া ও ছয় জন সহকারী প্রক্টর এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক ইউনিটের ৯ জন পরিচালক। পদত্যাগী শিক্ষকদের কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
তবে একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য ড. শিরিন আক্তারের সঙ্গে এই শিক্ষকদের বিরোধ চলছিল, যাদের সবাই এই উপাচার্যের সময়কালেই প্রশাসনিক বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পেয়েছেন। উপাচার্যের সিদ্ধান্তে আত্মীয়স্বজনের হস্তক্ষেপ, সিন্ডিকেট সদস্যের প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষকদের দ্বিমত ছিল।
পদত্যাগী শিক্ষকরা মনে করেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে যেসব সমালোচনা ও বিতর্ক তৈরি হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে, এতে উপাচার্যের ঘনিষ্ঠজনদের দায় আছে। কিন্তু প্রশাসনিক পদে থাকায় অযথা তাদের দুর্নামের দায় নিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় ১৬ শিক্ষক প্রশাসনিক পদ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩ , ২৮ ফাল্গুন ১৪২৯, ২০ শবান ১৪৪৪
আধঘণ্টার মধ্যে নতুন প্রক্টর নিয়োগ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে ১৬ জন শিক্ষক একযোগে পদত্যাগ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে তারা পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। গতকাল দুপুরে ১৬ শিক্ষক একযোগে চবির রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। জানতে চাইলে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমেদ বলেন, ১৬ জনের পদত্যাগপত্র পেয়েছি। উনারা ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদত্যাগ করেছেন। এদিকে প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার পদত্যাগের আধঘণ্টা না পেরুতেই নতুন প্রক্টর নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে নতুন প্রক্টর নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন প্রক্টর হলেন- মেরিন সাইন্স ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার। ১২ মার্চ থেকে নিয়ম মোতাবেক প্রদেয় ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাসহ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
জানা গেছে, প্রশাসনিক মোট ১৮টি পদের মধ্য থেকে দু’জন ছাড়া বাকি সবাই পদত্যাগ করেছেন। এদের মধ্যে আছেন- প্রক্টর ড. রবিউল ইসলাম ভূঁইয়া ও ছয় জন সহকারী প্রক্টর এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক ইউনিটের ৯ জন পরিচালক। পদত্যাগী শিক্ষকদের কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
তবে একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য ড. শিরিন আক্তারের সঙ্গে এই শিক্ষকদের বিরোধ চলছিল, যাদের সবাই এই উপাচার্যের সময়কালেই প্রশাসনিক বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পেয়েছেন। উপাচার্যের সিদ্ধান্তে আত্মীয়স্বজনের হস্তক্ষেপ, সিন্ডিকেট সদস্যের প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষকদের দ্বিমত ছিল।
পদত্যাগী শিক্ষকরা মনে করেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে যেসব সমালোচনা ও বিতর্ক তৈরি হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে, এতে উপাচার্যের ঘনিষ্ঠজনদের দায় আছে। কিন্তু প্রশাসনিক পদে থাকায় অযথা তাদের দুর্নামের দায় নিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় ১৬ শিক্ষক প্রশাসনিক পদ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।