নির্বাচন পরিচালনায় ইসি সম্পূর্ণ স্বাধীন

-প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী সাধারণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য সম্পূর্ণ স্বাধীন।

সফররত যুক্তরাজ্যের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এফসিডিও) প্রতিমন্ত্রী (ইন্দো-প্যাসিফিক) অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

বৈঠকে তারা নির্বাচন, রোহিঙ্গা ইস্যু ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কোভিড-১৯ মহামারী এবং কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

আগামী সাধারণ নির্বাচন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ওয়েস্টমিনস্টার ধরনের গণতন্ত্র অনুসরণ করে। ‘আমাদের মূল লক্ষ্য জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা। ইসি সম্পূর্ণ স্বাধীন। এটি নির্বাচন পরিচালনা করবে,’ তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়।

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, গণমাধ্যম এখানে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে। একসময় দেশে একটি মাত্র টেলিভিশন চ্যানেল ছিল। কিন্তু তার সরকার বেসরকারি খাতে টেলিভিশন চ্যানেলকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এখন ২৪টি প্রাইভেট টিভি চ্যানেল রয়েছে এবং আরও টিভি চ্যানেল পাইপলাইনে রয়েছে, তিনি যোগ করেন।

যুক্তরাজ্যের ইন্দো প্যাসিফিক প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) সদস্য থেকে উত্তোরণের পথে বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের পরবর্তী ধাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান বলেন, তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।

রোহিঙ্গা শিবিরে সাম্প্রতিক অগ্নিকান্ডের ঘটনা সুন্দরভাবে মোকাবিলায় প্রশাসনের প্রশংসাও করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীতে বিপুল সংখ্যক নতুন শিশুর জন্ম হয়, যা বাংলাদেশের ওপর বোঝা আরও তীব্র করছে।

কোভিড-১৯ মহামারী গোটা বিশ্বকে প্রভাবিত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আরও খাদ্য উৎপাদনের ওপর জোর দিয়েছে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়েছে।

অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন উপস্থিত ছিলেন।

image

সফররত যুক্তরাজ্যের এফসিডিও প্রতিমন্ত্রী (ইন্দো-প্যাসিফিক) অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে গেলে তিনি অভ্যর্থনা জানান

আরও খবর
যুক্তরাজ্যের গণতন্ত্রে ‘দুর্বলতা থাকলে’ বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিতে পারে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠালো ইসি
অনির্বাচিত ব্যক্তি ক্ষমতায় এলে জনগণ ক্ষমতাহীন হয়ে পড়ে : কাদের
আওয়ামী লীগ ‘অগ্নিসন্ত্রাস’ করে দায় বিএনপির ওপর চাপিয়েছিল : ফখরুল
ছায়ানটের বসন্ত বন্দনা
প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ : ভর্তিতে সতর্কতা জারি বিএমডিসির
বরগুনায় মেয়ের ভিডিও ভাইরালে মায়ের আত্মহত্যা থানায় মামলা, আসামি গ্রেপ্তার
জড়িতরা বিএনপি-জামায়াতের, মনিটরিং হয় ঢাকা ও লন্ডন থেকে : হাছান মাহমুদ
ঋণের সুদহারে সীমা উঠছে, আসছে ‘রেফারেন্স রেট’ : গভর্নর
পরিকল্পনায় জড়িত মানি প্লান্টের একাধিক কর্মীও
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ সমাবর্তন আজ

সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩ , ২৮ ফাল্গুন ১৪২৯, ২০ শবান ১৪৪৪

নির্বাচন পরিচালনায় ইসি সম্পূর্ণ স্বাধীন

-প্রধানমন্ত্রী

বাসস

image

সফররত যুক্তরাজ্যের এফসিডিও প্রতিমন্ত্রী (ইন্দো-প্যাসিফিক) অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে গেলে তিনি অভ্যর্থনা জানান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী সাধারণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য সম্পূর্ণ স্বাধীন।

সফররত যুক্তরাজ্যের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এফসিডিও) প্রতিমন্ত্রী (ইন্দো-প্যাসিফিক) অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

বৈঠকে তারা নির্বাচন, রোহিঙ্গা ইস্যু ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কোভিড-১৯ মহামারী এবং কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

আগামী সাধারণ নির্বাচন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ওয়েস্টমিনস্টার ধরনের গণতন্ত্র অনুসরণ করে। ‘আমাদের মূল লক্ষ্য জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা। ইসি সম্পূর্ণ স্বাধীন। এটি নির্বাচন পরিচালনা করবে,’ তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়।

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, গণমাধ্যম এখানে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে। একসময় দেশে একটি মাত্র টেলিভিশন চ্যানেল ছিল। কিন্তু তার সরকার বেসরকারি খাতে টেলিভিশন চ্যানেলকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এখন ২৪টি প্রাইভেট টিভি চ্যানেল রয়েছে এবং আরও টিভি চ্যানেল পাইপলাইনে রয়েছে, তিনি যোগ করেন।

যুক্তরাজ্যের ইন্দো প্যাসিফিক প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) সদস্য থেকে উত্তোরণের পথে বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের পরবর্তী ধাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান বলেন, তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।

রোহিঙ্গা শিবিরে সাম্প্রতিক অগ্নিকান্ডের ঘটনা সুন্দরভাবে মোকাবিলায় প্রশাসনের প্রশংসাও করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীতে বিপুল সংখ্যক নতুন শিশুর জন্ম হয়, যা বাংলাদেশের ওপর বোঝা আরও তীব্র করছে।

কোভিড-১৯ মহামারী গোটা বিশ্বকে প্রভাবিত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আরও খাদ্য উৎপাদনের ওপর জোর দিয়েছে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়েছে।

অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন উপস্থিত ছিলেন।