যুক্তরাজ্যের গণতন্ত্রে যদি ‘দুর্বলতা থাকে’, তবে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের রক্তে হচ্ছে গণতন্ত্র, আমাদের রক্তে হচ্ছে ন্যায়পরায়ণতা, আমাদের রক্তের মধ্যে আছে নায্যতা ও মানবাধিকার। আমাদের এগুলো নিয়ে অন্যদের শিক্ষা দেয়ার কোন সুযোগ নেই। আপনারা দেখেন, (যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী) আপনাদের যদি দুর্বলতা থাকে আমাদের থেকে নিতে পারেন।’
গতকাল ঢাকায় সফররত যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভিলিয়ানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের তিনি এই মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে তারা জিজ্ঞাসাও করেননি। আমি বলেছি যে, আমাদের দেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য, একটি স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই এবং এজন্য যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার দরকার, আমরা সেগুলো তৈরি করেছি।’
আমাদের গত ১৪ বছরে অনেক নির্বাচন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সে পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ফটো আইডি তৈরি করেছি, যাতে আগের মতো কারচুপি না হয়।’
একসময় এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার ছিল এবং সেটি বন্ধ করার জন্য আমরা ফটোসহ বায়োমেট্রিক আইডি করেছি বলে তিনি জানান।
আমরা একটি শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন করেছি এবং তাদের অসম্ভব বেশি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তাদের বাজেটও স্বাধীন। এছাড়া নির্বাচনের সময় তারা যা চায় সেটি করতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে যাতে একটি স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা যায় বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী কী মন্তব্য করেছেন জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘তিনি শুনেছেন। তবে তিনি বলেছেন গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকতে পারে।’
সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩ , ২৮ ফাল্গুন ১৪২৯, ২০ শবান ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
যুক্তরাজ্যের গণতন্ত্রে যদি ‘দুর্বলতা থাকে’, তবে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের রক্তে হচ্ছে গণতন্ত্র, আমাদের রক্তে হচ্ছে ন্যায়পরায়ণতা, আমাদের রক্তের মধ্যে আছে নায্যতা ও মানবাধিকার। আমাদের এগুলো নিয়ে অন্যদের শিক্ষা দেয়ার কোন সুযোগ নেই। আপনারা দেখেন, (যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী) আপনাদের যদি দুর্বলতা থাকে আমাদের থেকে নিতে পারেন।’
গতকাল ঢাকায় সফররত যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভিলিয়ানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের তিনি এই মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে তারা জিজ্ঞাসাও করেননি। আমি বলেছি যে, আমাদের দেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য, একটি স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই এবং এজন্য যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার দরকার, আমরা সেগুলো তৈরি করেছি।’
আমাদের গত ১৪ বছরে অনেক নির্বাচন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সে পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ফটো আইডি তৈরি করেছি, যাতে আগের মতো কারচুপি না হয়।’
একসময় এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার ছিল এবং সেটি বন্ধ করার জন্য আমরা ফটোসহ বায়োমেট্রিক আইডি করেছি বলে তিনি জানান।
আমরা একটি শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন করেছি এবং তাদের অসম্ভব বেশি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তাদের বাজেটও স্বাধীন। এছাড়া নির্বাচনের সময় তারা যা চায় সেটি করতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে যাতে একটি স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা যায় বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী কী মন্তব্য করেছেন জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘তিনি শুনেছেন। তবে তিনি বলেছেন গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকতে পারে।’