অন্য ব্যানারে পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা পরিচালিত হলেও জড়িতদের বেশিরভাগই মূলত বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এ হামলা ১৩-১৫ সালের আগুন সন্ত্রাসেরমতই ঢাকা ও লন্ডন থেকে মনিটরিং করা হয়ে বলে জানান তিনি। গতকাল দুপুরে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাঁশের কেল্লা ফেইসবুক পেজ, সাবেক সাংসদ রুমিন ফারহানা, বিএনপির সাবেক এমপি হারুন অর রশীদের ফেইসবুক পেজ থেকে উস্কানি ছড়ানো হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি, যে বা যারাই এর সঙ্গে যুক্ত থাকুক না কেন, কোন দল বা কোন রং সেটি না দেখে ব্যবস্থা নিতে এবং সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘পঞ্চগড়ে গন্ডগোল লাগিয়ে সারাদেশে একটা গন্ডগোল লাগানোর চেষ্টা ছিল তাদের।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে ড. হাছান বলেন, ‘এই জঘন্য হামলা পরিচালনা করার আগে থেকেই কিন্তু উস্কানি ছড়ানো হয়েছে। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে যেভাবে সরকারি স্থাপনায় আক্রমণ পরিচালনা করা হয়েছিল ঠিক একই কায়দায় আহমদিয়া জামাতের মাহফিলকে কেন্দ্র করে আগে থেকে উস্কানি ছড়ানো হয়েছে। উস্কানি ছড়িয়ে সংগঠিত করে তারপর এই হামলা পরিচালনা করা হয়েছে অর্থাৎ যারা সারা বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তাদের সেই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই হামলা পরিচালনা করা হয়েছে।’
গতকাল দুপুরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে একটি দল পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ফুলতলা আহমদনগরে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শনে যান। বোদা’র সংসদ সদস্য রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, পঞ্চগড় জেলা সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত, জেলার ডিসি মো. জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘বাঁশের কেল্লা’ কারা পরিচালনা করে আপনারা জানেন। সেই বাঁশের কেল্লা প্লেজ থেকে এবং কাদিয়ানিদের বিরুদ্ধে ‘ঐক্যপরিষদের পক্ষ থেকে রুমিন ফারহানা, বিএনপির সাবেক এমপি হারুন অর রশীদের ফেইসবুক পেজ থেকে উস্কানি ছড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে এখানকার যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তার মোটরসাইকেল করে উস্কানি ছড়িয়েছে, শিবিরের তেঁতুলিয়ার সভাপতি সেও উস্কানি ছড়িয়েছে এবং এখানে যারা যুক্ত ছিল তাদের বেশিরভাগই বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মী। তারা ব্যবহার করেছে অন্য ব্যানার, কিন্তু মূলত তারা বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মী।’
ক্ষতিগ্রস্তদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতা হাছান বলেন, ‘এখানে ধাক্কামারা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাদের মোরশেদ মিয়ার ঘর এবং গরুসহ সবকিছু জ্বালিয়ে দিয়েছে। এখানকার পৌর যুবলীগের সহসভাপতি শাহিন আলমের বাড়িঘরে হামলা পরিচালনা করা হয়েছে, সব জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। সন্ত্রাসীরা পুলিশ বক্সে হামলা পরিচালনা করেছে। সেখানে থাকা বয়স্ক পুলিশ কনস্টেবল কোন রকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। তারা ডিসি, এসপি অফিসেও হামলা পরিচালনার চেষ্টা করেছে, র্যাবের গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সের ওপর, শহরে দোকানপাটের ওপর, গণমাধ্যমের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে। আমাদের দলের অনেক নেতার ঘরবাড়িও তারা জ্বালিয়ে দিয়েছে। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে যেভাবে নৈরাজ্য করেছিল সেইভাবে করেছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ধর্মের নামে এভাবে কারো ওপর হামলা পরিচালনা করা ইসলাম কোনদিন অনুমোদন করে না। রাসুল (সা.) এভাবে মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার জন্য কখনো বলেন নাই। এভাবে ইসলামের নামে যারা মানুষের ওপর হামলা পরিচলনা করে তারা ইসলামেরও শত্রু। তারা ইসলামের গায়ে কালিমা লেপন করছে। এই শত্রুদের প্রতিহত করার জন্য আমি দেশবাসীকে আহ্বান জানাই এবং তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধান করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে পঞ্চগড় শহরে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে আয়োজিত দলের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন আওয়ামী লীগের রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
এ দিন দুপুরে চট্টগ্রামে নিজ নির্বাচনী আসন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের উপকারভোগী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে পঞ্চগড় সফররত অবস্থায় ভার্চুয়াল উপায়ে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এখন ভাতা পাচ্ছে। এর বাইরেও ভিজিডি, ভিজিএফ, ফ্যামিলি কার্ডসহ নানা সুবিধা পাচ্ছে মানুষ। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার নৌকা মার্কার সরকার এসব ভাতা চালু করেছে। যা আগের কোন সরকার করে দেখাতে পারেনি। সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করার লক্ষ্যেই আওয়ামী লীগ সরকার নানা ধরনের ভাতা চালু করেছে।’
কোদালা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম তালুকদার। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা যুবলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি খালেদ মাহমুদ। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন এবং ইউপি সদস্যরা সমাবেশে যোগ দেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে প্রথম বয়স্ক ও বিধবা ভাতা প্রচলন করেছিলেন। বিএনপি এসে তা আর বাড়ায়নি বরং অনেক ক্ষেত্রে চরম অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ভাতার পরিমাণ ও সংখ্যাও বাড়িয়েছে। শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় না আসলে এ সব ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে।’
ড. হাছান বলেন, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সবার জন্য আমাদের সরকার কাজ করেছে। রাঙ্গুনিয়াতেও হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। ১৪ বছর ধরে সবার জন্য আমার দরজা খোলা, আশা করি আমার জন্যও আপনারা দরজা খোলা রাখবেন ও আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন।
সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩ , ২৮ ফাল্গুন ১৪২৯, ২০ শবান ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
অন্য ব্যানারে পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা পরিচালিত হলেও জড়িতদের বেশিরভাগই মূলত বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এ হামলা ১৩-১৫ সালের আগুন সন্ত্রাসেরমতই ঢাকা ও লন্ডন থেকে মনিটরিং করা হয়ে বলে জানান তিনি। গতকাল দুপুরে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাঁশের কেল্লা ফেইসবুক পেজ, সাবেক সাংসদ রুমিন ফারহানা, বিএনপির সাবেক এমপি হারুন অর রশীদের ফেইসবুক পেজ থেকে উস্কানি ছড়ানো হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি, যে বা যারাই এর সঙ্গে যুক্ত থাকুক না কেন, কোন দল বা কোন রং সেটি না দেখে ব্যবস্থা নিতে এবং সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘পঞ্চগড়ে গন্ডগোল লাগিয়ে সারাদেশে একটা গন্ডগোল লাগানোর চেষ্টা ছিল তাদের।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে ড. হাছান বলেন, ‘এই জঘন্য হামলা পরিচালনা করার আগে থেকেই কিন্তু উস্কানি ছড়ানো হয়েছে। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে যেভাবে সরকারি স্থাপনায় আক্রমণ পরিচালনা করা হয়েছিল ঠিক একই কায়দায় আহমদিয়া জামাতের মাহফিলকে কেন্দ্র করে আগে থেকে উস্কানি ছড়ানো হয়েছে। উস্কানি ছড়িয়ে সংগঠিত করে তারপর এই হামলা পরিচালনা করা হয়েছে অর্থাৎ যারা সারা বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তাদের সেই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই হামলা পরিচালনা করা হয়েছে।’
গতকাল দুপুরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে একটি দল পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ফুলতলা আহমদনগরে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শনে যান। বোদা’র সংসদ সদস্য রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, পঞ্চগড় জেলা সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত, জেলার ডিসি মো. জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘বাঁশের কেল্লা’ কারা পরিচালনা করে আপনারা জানেন। সেই বাঁশের কেল্লা প্লেজ থেকে এবং কাদিয়ানিদের বিরুদ্ধে ‘ঐক্যপরিষদের পক্ষ থেকে রুমিন ফারহানা, বিএনপির সাবেক এমপি হারুন অর রশীদের ফেইসবুক পেজ থেকে উস্কানি ছড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে এখানকার যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তার মোটরসাইকেল করে উস্কানি ছড়িয়েছে, শিবিরের তেঁতুলিয়ার সভাপতি সেও উস্কানি ছড়িয়েছে এবং এখানে যারা যুক্ত ছিল তাদের বেশিরভাগই বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মী। তারা ব্যবহার করেছে অন্য ব্যানার, কিন্তু মূলত তারা বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মী।’
ক্ষতিগ্রস্তদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতা হাছান বলেন, ‘এখানে ধাক্কামারা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাদের মোরশেদ মিয়ার ঘর এবং গরুসহ সবকিছু জ্বালিয়ে দিয়েছে। এখানকার পৌর যুবলীগের সহসভাপতি শাহিন আলমের বাড়িঘরে হামলা পরিচালনা করা হয়েছে, সব জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। সন্ত্রাসীরা পুলিশ বক্সে হামলা পরিচালনা করেছে। সেখানে থাকা বয়স্ক পুলিশ কনস্টেবল কোন রকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। তারা ডিসি, এসপি অফিসেও হামলা পরিচালনার চেষ্টা করেছে, র্যাবের গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সের ওপর, শহরে দোকানপাটের ওপর, গণমাধ্যমের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে। আমাদের দলের অনেক নেতার ঘরবাড়িও তারা জ্বালিয়ে দিয়েছে। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে যেভাবে নৈরাজ্য করেছিল সেইভাবে করেছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ধর্মের নামে এভাবে কারো ওপর হামলা পরিচালনা করা ইসলাম কোনদিন অনুমোদন করে না। রাসুল (সা.) এভাবে মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার জন্য কখনো বলেন নাই। এভাবে ইসলামের নামে যারা মানুষের ওপর হামলা পরিচলনা করে তারা ইসলামেরও শত্রু। তারা ইসলামের গায়ে কালিমা লেপন করছে। এই শত্রুদের প্রতিহত করার জন্য আমি দেশবাসীকে আহ্বান জানাই এবং তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধান করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে পঞ্চগড় শহরে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে আয়োজিত দলের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন আওয়ামী লীগের রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
এ দিন দুপুরে চট্টগ্রামে নিজ নির্বাচনী আসন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের উপকারভোগী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে পঞ্চগড় সফররত অবস্থায় ভার্চুয়াল উপায়ে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এখন ভাতা পাচ্ছে। এর বাইরেও ভিজিডি, ভিজিএফ, ফ্যামিলি কার্ডসহ নানা সুবিধা পাচ্ছে মানুষ। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার নৌকা মার্কার সরকার এসব ভাতা চালু করেছে। যা আগের কোন সরকার করে দেখাতে পারেনি। সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করার লক্ষ্যেই আওয়ামী লীগ সরকার নানা ধরনের ভাতা চালু করেছে।’
কোদালা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম তালুকদার। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা যুবলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি খালেদ মাহমুদ। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন এবং ইউপি সদস্যরা সমাবেশে যোগ দেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে প্রথম বয়স্ক ও বিধবা ভাতা প্রচলন করেছিলেন। বিএনপি এসে তা আর বাড়ায়নি বরং অনেক ক্ষেত্রে চরম অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ভাতার পরিমাণ ও সংখ্যাও বাড়িয়েছে। শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় না আসলে এ সব ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে।’
ড. হাছান বলেন, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সবার জন্য আমাদের সরকার কাজ করেছে। রাঙ্গুনিয়াতেও হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। ১৪ বছর ধরে সবার জন্য আমার দরজা খোলা, আশা করি আমার জন্যও আপনারা দরজা খোলা রাখবেন ও আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন।