সুন্দরগঞ্জে নিলামের নামে রাস্তার গাছ কাটার হরিলুট

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় রাস্তার মরা, মাথাভাঙ্গা ও হেলেপড়া গাছ নিলাম হলেও বাদ পড়ছে না কোন গাছই। এমনকি, পড়ছে শতবর্ষী ফলদগাছগুলো কাটা হলেও নিরব সমাজিক বন বিভাগ।

জানা যায়, গত ১০ জানুয়ারি উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বালাপাড়া হতে কালিডাঙ্গা মাঝিপাড়া মোড় পযন্ত ২ কি.মি. সড়কে বিভিন্ন প্রজাতির ১১৩টি গাছ কর্তনের নিলামে বিক্রয় করা হয়। এতে ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মজিবরের দোকান হতে আবুলের দোকান ও কালিডাঙ্গা মাঝিপাড়া মোড় হতে বালাপাড়া মোড় পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তার মোট ১৮৮টি গাছের মধ্যে ১১৩টি মরা মাথাভাঙা বাকা ও হেলেপড়া গাছ অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ঠিকাদার নিলাম নিয়মের তোয়াক্কা না করে তারপুর ইউনিয়নের বাইরে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বালাপাড়া মাঠের পার হতে খয়বারের দোকান ও বালাপাড়া মোড় হতে পৌরসভার সীমান্ত ১ কিলোমিটার রাস্তার শতবর্ষী আম গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে হরিলুট করার অভিযোগ স্থানীয়দের।

সুুন্দরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুর রশিদ রেজা সরকার ডাবলু জানান, আমাকে অবগত না করে পৌরসাভার গাছগুলো কাটা হয়েছে। তবে আমি এ বিষয়ে বন বিভাগের সাথে কথা বলেছি তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।

উপজেলা সামাজিক বন কর্মকতা মেহেদী হাসান বলেন, ঠিকাদারের সাথে কথা বলে মিট করেন এ কথাবলে কর্মকর্তা ঠিকাদারকে ফোন দিয়ে কথা বলতে বলেন। এবং তিনি আরও বলেন, গাছে নাম্বার করে আমরা নিলাম কমিটির মাধ্যমে ১১৩টি গাছ নিলাম করি। গাছ অপসারণের সময় দুই একটা এদিক সেদিক হতে পারে।

ঠিকাদার রুহুল আমিন হিরুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ১১৩টি গাছ আমি নিলামে ক্রয় করি গাছ কাটতে গিয়ে সেখানে ৮৭টি গাছ পাই পরে বন বিভাগের সাথে কথা হলে তিনি রাস্তার কাজ চলমান তাই রাস্তা অপসারণের জন্য এসব গাছ কাটারও কথা বলেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, রাস্তা অপসারণের জন্য নাম্বার করে ১১৩টি গাছ নিলামে বিক্রয় করা হয়। তবে নাম্বারকৃত গাছের বাইরে গাছ কাটা হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩ , ২৯ ফাল্গুন ১৪২৯, ২১ শবান ১৪৪৪

সুন্দরগঞ্জে নিলামের নামে রাস্তার গাছ কাটার হরিলুট

প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)

image

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : সড়কের মরা ও হেলে পড়া গাছ কাটার কথা থাকলেও কেটে ফেলা হচ্ছে ফলদ গাছ -সংবাদ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় রাস্তার মরা, মাথাভাঙ্গা ও হেলেপড়া গাছ নিলাম হলেও বাদ পড়ছে না কোন গাছই। এমনকি, পড়ছে শতবর্ষী ফলদগাছগুলো কাটা হলেও নিরব সমাজিক বন বিভাগ।

জানা যায়, গত ১০ জানুয়ারি উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বালাপাড়া হতে কালিডাঙ্গা মাঝিপাড়া মোড় পযন্ত ২ কি.মি. সড়কে বিভিন্ন প্রজাতির ১১৩টি গাছ কর্তনের নিলামে বিক্রয় করা হয়। এতে ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মজিবরের দোকান হতে আবুলের দোকান ও কালিডাঙ্গা মাঝিপাড়া মোড় হতে বালাপাড়া মোড় পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তার মোট ১৮৮টি গাছের মধ্যে ১১৩টি মরা মাথাভাঙা বাকা ও হেলেপড়া গাছ অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ঠিকাদার নিলাম নিয়মের তোয়াক্কা না করে তারপুর ইউনিয়নের বাইরে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বালাপাড়া মাঠের পার হতে খয়বারের দোকান ও বালাপাড়া মোড় হতে পৌরসভার সীমান্ত ১ কিলোমিটার রাস্তার শতবর্ষী আম গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে হরিলুট করার অভিযোগ স্থানীয়দের।

সুুন্দরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুর রশিদ রেজা সরকার ডাবলু জানান, আমাকে অবগত না করে পৌরসাভার গাছগুলো কাটা হয়েছে। তবে আমি এ বিষয়ে বন বিভাগের সাথে কথা বলেছি তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।

উপজেলা সামাজিক বন কর্মকতা মেহেদী হাসান বলেন, ঠিকাদারের সাথে কথা বলে মিট করেন এ কথাবলে কর্মকর্তা ঠিকাদারকে ফোন দিয়ে কথা বলতে বলেন। এবং তিনি আরও বলেন, গাছে নাম্বার করে আমরা নিলাম কমিটির মাধ্যমে ১১৩টি গাছ নিলাম করি। গাছ অপসারণের সময় দুই একটা এদিক সেদিক হতে পারে।

ঠিকাদার রুহুল আমিন হিরুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ১১৩টি গাছ আমি নিলামে ক্রয় করি গাছ কাটতে গিয়ে সেখানে ৮৭টি গাছ পাই পরে বন বিভাগের সাথে কথা হলে তিনি রাস্তার কাজ চলমান তাই রাস্তা অপসারণের জন্য এসব গাছ কাটারও কথা বলেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, রাস্তা অপসারণের জন্য নাম্বার করে ১১৩টি গাছ নিলামে বিক্রয় করা হয়। তবে নাম্বারকৃত গাছের বাইরে গাছ কাটা হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।