ভোটের সময় ইন্টারনেটের গতি কমালে নির্বাচন বিতর্কিত হবে : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনের সময় অপকৌশল হিসেবে ইন্টারনেটের গতি ধীর করে দেয়া হলে তা নির্বাচনকে ব্যাপকভাবে বিতর্কিত করবে। এটা সরকারের অনুধাবন করা উচিত।

নির্বাচনের দিন সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের জন্য সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন নিয়ে গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সিইসি এই মন্তব্য করেন।

সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি-আরএফইডির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সিইসি বলেন, নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সাদরে গ্রহণ করা হয়। আরএফইডির প্রস্তাব কমিশনে আলোচনা করে বিবেচনা করা হবে।

এছাড়া সংসদ নির্বাচনের দিন কড়াকড়ির বিষয়ে তিনি বলেন, আপনারা তথ্য যদি সংগ্রহ করেন, অবাধ তথ্য সংগ্রহের সুযোগ থাকে, দুষ্টু নয়, বস্তুনিষ্ঠ, তাহলে কিন্তু স্বচ্ছতা অনেক বেশি প্রতিষ্ঠিত হবে।

আরএফইডির নেতারা ভোটে সাংবাদিকদের অবাধ সুযোগ তৈরিতে বিভিন্ন দাবির কথা তুলে ধরেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, যতই তাদের (সাংবাদিকদের) বাধা দেয়া হবে ততই তাদের মনে হবে ‘ডাল ম্যা কুচ কালা হ্যায়’। এ ধরনের একটা ভাব সৃষ্টি হতে পারে। আমরা গণমাধ্যমের বিপক্ষে না। তবে গণতন্ত্রের স্বার্থে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যদি গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হয় আমরা বিষয়টি দেখব।

ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ধীরগতি করা যদি অপকৌশল হিসেবে করা হয়, তাহলে নির্বাচনকে ব্যাপকভাবে বিতর্কিত করবে। এটা সরকারের অনুধাবন করা উচিত। সরকার যদি স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করে, নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাস করে,তাহলে নির্বাচনের দিন এ জিনিসগুলো না করলেই বোধ হয় ভালো হবে। কেননা এতে সন্দেহের উদ্রেক হবে। অনেকেই ভাববেন অপকর্মের জন্যই এটা করা হয়েছে।

সিইসি বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের কর্তৃত্ব খর্ব করা ঠিক হবে না। তিনি ভোটের দিন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেন। তবে তিনি কোন অপকর্ম করলে আইনে বিধান আছে, এতে কোন ঘাটতি থাকবে না।

সাংবাদিকদের পুলিশি বাধার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘পুলিশ ঢুকতে দিচ্ছে না- এমন হলে সিরিয়াসলি নিতে হবে আমাদের। যদি নির্বাচন কমিশন থেকে আপনাদের অথরাইজড করা হয়, সেই অথরিটির ওপর পুলিশ আপনাদের ঢুকতে দিচ্ছে না- এমন হয় তাহলে আপনারা ছবি তুলে দেখাবেন। আমাদের বিষয়টি অবহিত করতে পারবেন। এ লক্ষ্যে যাতে আপনাদের বাধা না দেন আমরা বিষয়টা দেখব।’

সভায় অন্যদের মধ্যে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ আরএফইডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩ , ২৯ ফাল্গুন ১৪২৯, ২১ শবান ১৪৪৪

ভোটের সময় ইন্টারনেটের গতি কমালে নির্বাচন বিতর্কিত হবে : সিইসি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনের সময় অপকৌশল হিসেবে ইন্টারনেটের গতি ধীর করে দেয়া হলে তা নির্বাচনকে ব্যাপকভাবে বিতর্কিত করবে। এটা সরকারের অনুধাবন করা উচিত।

নির্বাচনের দিন সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের জন্য সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন নিয়ে গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সিইসি এই মন্তব্য করেন।

সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি-আরএফইডির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সিইসি বলেন, নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সাদরে গ্রহণ করা হয়। আরএফইডির প্রস্তাব কমিশনে আলোচনা করে বিবেচনা করা হবে।

এছাড়া সংসদ নির্বাচনের দিন কড়াকড়ির বিষয়ে তিনি বলেন, আপনারা তথ্য যদি সংগ্রহ করেন, অবাধ তথ্য সংগ্রহের সুযোগ থাকে, দুষ্টু নয়, বস্তুনিষ্ঠ, তাহলে কিন্তু স্বচ্ছতা অনেক বেশি প্রতিষ্ঠিত হবে।

আরএফইডির নেতারা ভোটে সাংবাদিকদের অবাধ সুযোগ তৈরিতে বিভিন্ন দাবির কথা তুলে ধরেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, যতই তাদের (সাংবাদিকদের) বাধা দেয়া হবে ততই তাদের মনে হবে ‘ডাল ম্যা কুচ কালা হ্যায়’। এ ধরনের একটা ভাব সৃষ্টি হতে পারে। আমরা গণমাধ্যমের বিপক্ষে না। তবে গণতন্ত্রের স্বার্থে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যদি গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হয় আমরা বিষয়টি দেখব।

ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ধীরগতি করা যদি অপকৌশল হিসেবে করা হয়, তাহলে নির্বাচনকে ব্যাপকভাবে বিতর্কিত করবে। এটা সরকারের অনুধাবন করা উচিত। সরকার যদি স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করে, নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাস করে,তাহলে নির্বাচনের দিন এ জিনিসগুলো না করলেই বোধ হয় ভালো হবে। কেননা এতে সন্দেহের উদ্রেক হবে। অনেকেই ভাববেন অপকর্মের জন্যই এটা করা হয়েছে।

সিইসি বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের কর্তৃত্ব খর্ব করা ঠিক হবে না। তিনি ভোটের দিন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেন। তবে তিনি কোন অপকর্ম করলে আইনে বিধান আছে, এতে কোন ঘাটতি থাকবে না।

সাংবাদিকদের পুলিশি বাধার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘পুলিশ ঢুকতে দিচ্ছে না- এমন হলে সিরিয়াসলি নিতে হবে আমাদের। যদি নির্বাচন কমিশন থেকে আপনাদের অথরাইজড করা হয়, সেই অথরিটির ওপর পুলিশ আপনাদের ঢুকতে দিচ্ছে না- এমন হয় তাহলে আপনারা ছবি তুলে দেখাবেন। আমাদের বিষয়টি অবহিত করতে পারবেন। এ লক্ষ্যে যাতে আপনাদের বাধা না দেন আমরা বিষয়টা দেখব।’

সভায় অন্যদের মধ্যে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ আরএফইডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।