বান্দরবানে একেএনএ’র গুলি, সেনা সদস্য নিহত, আহত দুই

বান্দরবানের রুয়াংছড়ি এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প শেষে ফেরার পথে সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর অতর্কিত গুলি চালিয়েছে বিচ্ছিন্নতাববাদী কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মির সশস্ত্র সদস্যরা। কেএনএ’র গুলিতে এ সময় সেনাবাহিনীর একজন ওয়ারেন্ট অফিসারের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয় আরও দুই সেনা সদস্য। গতকাল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে এ হামলার বিষয়টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

গত রোববার দুপুরে বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে সাহায্যকারী সংগঠন কুকি-চীন ন্যাশন্যাল আর্মি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওপর অতর্কিত গুলি চালানোর খবর মেলে। ঘটনার বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘটনায় ১ সেনা সদস্যের মৃত্যু ও ২ জনের আহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে। আগের দিন শনিবার কেএনএফের গুলিতে উন্নয়নকাজের মালামাল বহনকারী ট্রাকচালক ও হেলপার আহত হয়। পরপর দুই দিন কেএনএ’র সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ফলে পার্বত্য অঞ্চলে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান শুরু করে। যদিও গতকাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করার খবর পুলিশ জানাতে পারেনি।

গতকাল আইএসপিআর থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ ও মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় মা ও শিশুদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের উদ্দেশে গমনকৃত দলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাসদস্যদের ওপর গত রোববার আনুমানিক বেলা ১টায় কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মির সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন এবং দুই জন সেনাসদস্য আহত হন। আহত দুই সেনাসদস্য বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আইএসপিআর জানিয়েছে, মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন বিগত ৩০ বছর যাবত অত্যন্ত সততা, নিষ্ঠা এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বাবার নাম মৃত শমসের আলী। তিনি রংপুর সদরের ঘাঘটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। দেশ মাতৃকার সেবায় তার এই মৃত্যুতে সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

আইএসপিআর থেকে জানানো হয়, বিচ্ছিন্নতাবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মি নামক এই সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটি ইতিপূর্বে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়া’এর মতো একটি জঙ্গি গোষ্ঠীকেও বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় অর্থের বিনিময়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। পাহাড়ি এলাকার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য সরকার কর্তৃক নির্মিতব্য বান্দরবানের থানচি সড়ক সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের এই উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকে প্রতিহত করার জন্য কেএনএ সন্ত্রাসী দলটি সড়ক নির্মাণ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত অসামরিক ঠিকাদার, মালামাল সরবরাহকারী এবং শ্রমিকদের কাছ থেকে প্রথমে চাঁদা দাবি করে ও পরবর্তীতে কাজ বন্ধ করার হুমকি দেয়। কিন্তু সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই কাজ চলমান থাকায় কেএনএ সন্ত্রাসী দল গত ১১ মার্চ ১২ জন শ্রমিককে অপহরণ করে। তাদের মধ্যে একজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয় এবং চারজন শ্রমিককে এখনও কেএনএ জিম্মি করে রেখেছে। অবশিষ্ট সাতজন শ্রমিককে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দিলেও তাদের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ না করার জন্য হুমকি প্রদান করে। কেএনএ ১২ মার্চ সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর গুলিবর্ষণ করে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের তিন উপজেলায় গাড়ি চলাচল বন্ধের জন্য কেএনএ পরিবহন মালিক সমিতিকে হুমকি প্রদান করে নোটিশ জারি করে। কেএনএ সদস্যদের বিবিধ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দ্বারা সৃষ্ট নিরাপত্তাজনিত কারণে গত রোববার এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন। এছাড়া কেএনএ-এর নির্যাতনে স্থানীয় বিভিন্ন পাহাড়ি সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী ঘর ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে। কেএনএফ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর চাঁদাবাজি, মাদকের চোরাচালান, অপহরণ ও নৃশংস হত্যাকান্ডের কারণে বর্তমান সরকারের বিবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড, বেসরকারি বিনিয়োগ ও পর্যটন শিল্প বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে, যার সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। কেএনএ-এর এই অপতৎপরতা দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে এবং সর্বোপরি পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘিœত করছে।

পুলিশ প্রধান যা বললেন

এদিকে বান্দরবানে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করে গুলি করা, আগের দিন উন্নয়ন কাজের মালামাল বহনকারী ট্রাকচালকের ওপর গুলিসহ কেএনএ’র সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে জানতে চাইলে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, পাহাড়ে যে ঘটনা ঘটেছে তা বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা। এ বিষয়ে আইএসপিআর বক্তব্য দেবে। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গতকাল দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এ কথা এ বলেন।

পার্বত্য অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, সম্প্রতি জঙ্গিদের আস্তানার খোঁজ পাহাড়ে পাওয়া যায়। তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে অভিযান পরিচালনা করেছি এবং এখনও সফলভাবে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে (সেনাবাহিনীর ওপর গুলি করা) তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩ , ২৯ ফাল্গুন ১৪২৯, ২১ শবান ১৪৪৪

বান্দরবানে একেএনএ’র গুলি, সেনা সদস্য নিহত, আহত দুই

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

বিচ্ছিন্ন ঘটনা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে : আইজিপি

বান্দরবানের রুয়াংছড়ি এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প শেষে ফেরার পথে সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর অতর্কিত গুলি চালিয়েছে বিচ্ছিন্নতাববাদী কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মির সশস্ত্র সদস্যরা। কেএনএ’র গুলিতে এ সময় সেনাবাহিনীর একজন ওয়ারেন্ট অফিসারের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয় আরও দুই সেনা সদস্য। গতকাল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে এ হামলার বিষয়টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

গত রোববার দুপুরে বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে সাহায্যকারী সংগঠন কুকি-চীন ন্যাশন্যাল আর্মি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওপর অতর্কিত গুলি চালানোর খবর মেলে। ঘটনার বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘটনায় ১ সেনা সদস্যের মৃত্যু ও ২ জনের আহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে। আগের দিন শনিবার কেএনএফের গুলিতে উন্নয়নকাজের মালামাল বহনকারী ট্রাকচালক ও হেলপার আহত হয়। পরপর দুই দিন কেএনএ’র সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ফলে পার্বত্য অঞ্চলে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান শুরু করে। যদিও গতকাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করার খবর পুলিশ জানাতে পারেনি।

গতকাল আইএসপিআর থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ ও মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় মা ও শিশুদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের উদ্দেশে গমনকৃত দলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাসদস্যদের ওপর গত রোববার আনুমানিক বেলা ১টায় কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মির সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন এবং দুই জন সেনাসদস্য আহত হন। আহত দুই সেনাসদস্য বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আইএসপিআর জানিয়েছে, মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন বিগত ৩০ বছর যাবত অত্যন্ত সততা, নিষ্ঠা এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বাবার নাম মৃত শমসের আলী। তিনি রংপুর সদরের ঘাঘটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। দেশ মাতৃকার সেবায় তার এই মৃত্যুতে সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

আইএসপিআর থেকে জানানো হয়, বিচ্ছিন্নতাবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মি নামক এই সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটি ইতিপূর্বে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়া’এর মতো একটি জঙ্গি গোষ্ঠীকেও বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় অর্থের বিনিময়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। পাহাড়ি এলাকার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য সরকার কর্তৃক নির্মিতব্য বান্দরবানের থানচি সড়ক সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের এই উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকে প্রতিহত করার জন্য কেএনএ সন্ত্রাসী দলটি সড়ক নির্মাণ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত অসামরিক ঠিকাদার, মালামাল সরবরাহকারী এবং শ্রমিকদের কাছ থেকে প্রথমে চাঁদা দাবি করে ও পরবর্তীতে কাজ বন্ধ করার হুমকি দেয়। কিন্তু সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই কাজ চলমান থাকায় কেএনএ সন্ত্রাসী দল গত ১১ মার্চ ১২ জন শ্রমিককে অপহরণ করে। তাদের মধ্যে একজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয় এবং চারজন শ্রমিককে এখনও কেএনএ জিম্মি করে রেখেছে। অবশিষ্ট সাতজন শ্রমিককে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দিলেও তাদের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ না করার জন্য হুমকি প্রদান করে। কেএনএ ১২ মার্চ সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর গুলিবর্ষণ করে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের তিন উপজেলায় গাড়ি চলাচল বন্ধের জন্য কেএনএ পরিবহন মালিক সমিতিকে হুমকি প্রদান করে নোটিশ জারি করে। কেএনএ সদস্যদের বিবিধ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দ্বারা সৃষ্ট নিরাপত্তাজনিত কারণে গত রোববার এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন। এছাড়া কেএনএ-এর নির্যাতনে স্থানীয় বিভিন্ন পাহাড়ি সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী ঘর ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে। কেএনএফ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর চাঁদাবাজি, মাদকের চোরাচালান, অপহরণ ও নৃশংস হত্যাকান্ডের কারণে বর্তমান সরকারের বিবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড, বেসরকারি বিনিয়োগ ও পর্যটন শিল্প বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে, যার সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। কেএনএ-এর এই অপতৎপরতা দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে এবং সর্বোপরি পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘিœত করছে।

পুলিশ প্রধান যা বললেন

এদিকে বান্দরবানে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করে গুলি করা, আগের দিন উন্নয়ন কাজের মালামাল বহনকারী ট্রাকচালকের ওপর গুলিসহ কেএনএ’র সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে জানতে চাইলে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, পাহাড়ে যে ঘটনা ঘটেছে তা বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা। এ বিষয়ে আইএসপিআর বক্তব্য দেবে। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গতকাল দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এ কথা এ বলেন।

পার্বত্য অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, সম্প্রতি জঙ্গিদের আস্তানার খোঁজ পাহাড়ে পাওয়া যায়। তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে অভিযান পরিচালনা করেছি এবং এখনও সফলভাবে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে (সেনাবাহিনীর ওপর গুলি করা) তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।