মাইক্রোবাস খাদে, অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৫ জনের মৃত্যু

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ত্রিশাল উপজেলার রাঙামাটি নামকস্থানে গত রোববার দিনগত রাত দুইটার দিকে যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে খাদে পরে যায়। পরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে গাড়িতে আগুণ ধরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের তিন নারীসহ চার যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। অগ্নিদগ্ধ আরও ৭ আহত যাত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। নিহতরা হলো রেজিয়া খাতুন (৪০) স্বামী তোতা মিয়া, দোলেনা খাতুন (৪০) স্বামী আক্কাস আলী, আচিক (৭) পিতা রুবেল ও জরিনা খাতুন (৪৫)। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আক্কাস আলী (৫২) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা সবাই জেলার ধোবাউড়া উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আহত রেজিয়ার স্বামী বলেন, মেয়ের জন্যে পিঠা নিয়ে স্ত্রী ও বোনকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় মেয়ের বাসায় যাচ্ছিলাম, এখন ফিরবো স্ত্রী আর বোনের লাশ নিয়ে। তিনি বলেন, ধোবাউড়া উপজেলা থেকে রাত ১০টায় রওয়ানা হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। রাত ২টায় ত্রিশাল পার হওয়ার পর অন্য একটি মাইক্রোবাস ওভারটেক করার সময় তাদরে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পরে যায়। তারপর হঠাৎ বিকট শব্দ গাড়িতে আগুন ধরে যায়।

ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবুল কালাম জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন পরে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। মাইক্রোবাসের ভিতর থেকে অগ্নিদগ্ধ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহতদের আক্কাস আলী নামে এক জনের অবস্থা খারাপ হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা গেছে।

ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, এ দুর্ঘটনায় মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ও আহতদের বাড়ি জেলার ধোবাউড়া উপজেলায়। এ দুর্ঘটনার বিষয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।

মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩ , ২৯ ফাল্গুন ১৪২৯, ২১ শবান ১৪৪৪

মাইক্রোবাস খাদে, অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৫ জনের মৃত্যু

জেলা বার্তা পরিবেশক, ময়মনসিংহ

image

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ত্রিশাল উপজেলার রাঙামাটি নামকস্থানে গত রোববার দিনগত রাত দুইটার দিকে যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে খাদে পরে যায়। পরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে গাড়িতে আগুণ ধরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের তিন নারীসহ চার যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। অগ্নিদগ্ধ আরও ৭ আহত যাত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। নিহতরা হলো রেজিয়া খাতুন (৪০) স্বামী তোতা মিয়া, দোলেনা খাতুন (৪০) স্বামী আক্কাস আলী, আচিক (৭) পিতা রুবেল ও জরিনা খাতুন (৪৫)। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আক্কাস আলী (৫২) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা সবাই জেলার ধোবাউড়া উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আহত রেজিয়ার স্বামী বলেন, মেয়ের জন্যে পিঠা নিয়ে স্ত্রী ও বোনকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় মেয়ের বাসায় যাচ্ছিলাম, এখন ফিরবো স্ত্রী আর বোনের লাশ নিয়ে। তিনি বলেন, ধোবাউড়া উপজেলা থেকে রাত ১০টায় রওয়ানা হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। রাত ২টায় ত্রিশাল পার হওয়ার পর অন্য একটি মাইক্রোবাস ওভারটেক করার সময় তাদরে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পরে যায়। তারপর হঠাৎ বিকট শব্দ গাড়িতে আগুন ধরে যায়।

ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবুল কালাম জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন পরে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। মাইক্রোবাসের ভিতর থেকে অগ্নিদগ্ধ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহতদের আক্কাস আলী নামে এক জনের অবস্থা খারাপ হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা গেছে।

ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, এ দুর্ঘটনায় মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ও আহতদের বাড়ি জেলার ধোবাউড়া উপজেলায়। এ দুর্ঘটনার বিষয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।