এবার সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়া শুরু হওয়ার আগে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত উত্তর কোরিয়া পরীক্ষামূলকভাবে একটি সাবমেরিন থেকে দুটি ‘কৌশলগত’ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায়, কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের সাগরে থাকা ‘৮.২৪ ইয়ংয়ুং’ সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়। এগুলো সাগরের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানার আগে ১৫০০ কিলোমিটার (৯৩২ মাইল) উড়ে যায় বলে জানিয়েছে তারা।

‘কৌশলগত’ শব্দটি সাধারণত পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র বর্ণনা করতে ব্যবহার কর হয়। কেসিএনএ বলেছে, এই উৎক্ষেপণে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক প্রতিরোধকের অংশ সাবমেরিন ইউনিটের পানির নিচ থেকে আক্রমণাত্মক অভিযান চালানোর পরীক্ষা হয়েছে এবং এতে পদ্ধতিটির নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস) জানিয়েছে, তাদের সামরিক বাহিনী উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে একত্রে উত্তর কোরিয়ার দাবিকৃত ওই উৎক্ষেপণ বিশ্লেষণ করে দেখছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন সেনারা পূর্বসূচি অনুযায়ী ‘ফ্রিডম শিল্ড ২৩’ নামে অভিহিত ১১ দিনব্যাপী যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে। ২০১৭ সালের পর থেকে ব্যাপক এ সামরিক মহড়ার মতো কোনেকিছু আর দেখা যায়নি। দুই সামরিক বাহিনীই বলেছে, এ মহড়ার মাধ্যমে মিত্রদের সম্মিলিত প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান শক্তিশালী হবে। এ মহড়ায় উভচর অবতরণসহ মাঠপর্যায়ের অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত বলে জানিয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার এসব সামরিক অনুশীলনকে ‘আক্রমণের মহড়া’ বলে বিবেচনা করে উত্তর কোরিয়া। এসব মহড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কঠোর প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে আসছে তারা। গত বছর দেশটি রেকর্ডসংখ্যক মহড়া ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে, তাদের পারমাণবিক প্রতিরোধক আরও জোরদার করতে এবং আরও অস্ত্র পুরোপুরি কার্যক্ষম করতে এসব পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে দাবি পিয়ংইয়ংয়ের। উত্তর কোরিয়ার বড় একটি সাবমেরিন বহর আছে; কিন্তু জানামতে, ৮.২৪ ইয়ংয়ুং (২৪ আগস্টের বীর) দেশটির একমাত্র পরীক্ষামূলক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন। বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, এই সাবমেরিনটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন, সাবমেরিন প্রযুক্তি ও অভিযানের প্রক্রিয়া নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি নতুন সাবমেরিন ক্রুদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দিতে ভূমিকা রাখে।

মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩ , ২৯ ফাল্গুন ১৪২৯, ২১ শবান ১৪৪৪

এবার সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়া শুরু হওয়ার আগে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত উত্তর কোরিয়া পরীক্ষামূলকভাবে একটি সাবমেরিন থেকে দুটি ‘কৌশলগত’ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায়, কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের সাগরে থাকা ‘৮.২৪ ইয়ংয়ুং’ সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়। এগুলো সাগরের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানার আগে ১৫০০ কিলোমিটার (৯৩২ মাইল) উড়ে যায় বলে জানিয়েছে তারা।

‘কৌশলগত’ শব্দটি সাধারণত পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র বর্ণনা করতে ব্যবহার কর হয়। কেসিএনএ বলেছে, এই উৎক্ষেপণে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক প্রতিরোধকের অংশ সাবমেরিন ইউনিটের পানির নিচ থেকে আক্রমণাত্মক অভিযান চালানোর পরীক্ষা হয়েছে এবং এতে পদ্ধতিটির নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস) জানিয়েছে, তাদের সামরিক বাহিনী উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে একত্রে উত্তর কোরিয়ার দাবিকৃত ওই উৎক্ষেপণ বিশ্লেষণ করে দেখছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন সেনারা পূর্বসূচি অনুযায়ী ‘ফ্রিডম শিল্ড ২৩’ নামে অভিহিত ১১ দিনব্যাপী যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে। ২০১৭ সালের পর থেকে ব্যাপক এ সামরিক মহড়ার মতো কোনেকিছু আর দেখা যায়নি। দুই সামরিক বাহিনীই বলেছে, এ মহড়ার মাধ্যমে মিত্রদের সম্মিলিত প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান শক্তিশালী হবে। এ মহড়ায় উভচর অবতরণসহ মাঠপর্যায়ের অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত বলে জানিয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার এসব সামরিক অনুশীলনকে ‘আক্রমণের মহড়া’ বলে বিবেচনা করে উত্তর কোরিয়া। এসব মহড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কঠোর প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে আসছে তারা। গত বছর দেশটি রেকর্ডসংখ্যক মহড়া ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে, তাদের পারমাণবিক প্রতিরোধক আরও জোরদার করতে এবং আরও অস্ত্র পুরোপুরি কার্যক্ষম করতে এসব পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে দাবি পিয়ংইয়ংয়ের। উত্তর কোরিয়ার বড় একটি সাবমেরিন বহর আছে; কিন্তু জানামতে, ৮.২৪ ইয়ংয়ুং (২৪ আগস্টের বীর) দেশটির একমাত্র পরীক্ষামূলক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন। বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, এই সাবমেরিনটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন, সাবমেরিন প্রযুক্তি ও অভিযানের প্রক্রিয়া নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি নতুন সাবমেরিন ক্রুদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দিতে ভূমিকা রাখে।