রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় দেশ রোববার দোনেৎস্ক অঞ্চলের লড়াইয়ে ব্যাপক হতাহতের কথা জানিয়েছে। বেশ কয়েক মাস ধরে অঞ্চলটির ছোট শহর বাখমুত দখলের জন্য আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। পিছু না হটে ইউক্রেনও শহরটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে প্রতিরোধ করে যাচ্ছে।
ব্রিটিশ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, প্রায় ধ্বংসস্তূপ ও বিরাণভূমিতে পরিণত হওয়া বাখমুত শহরের পশ্চিমাঞ্চল ইউক্রেনীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের যুদ্ধের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পূর্বাঞ্চীয় অংশ। পূর্ব ও পশ্চিমকে আলাদা করা ছোট নদী বাখমুতকা এখন রণাঙ্গনে পরিণত হয়েছে। রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, গত কয়েক দিনে রণক্ষেত্রে বাখমুত অংশে লড়াইয়ে রাশিয়া ১ হাজার ১০০ জনের বেশি সেনা হারিয়েছ। জেলেনস্কি বলেন, মাত্র এক সপ্তাহের কম সময়ে, ৬ মার্চ থেকে শুধু বাখমুত অংশে আমরা ১ হাজার ১০০ জনের বেশি শত্রু সেনাকে হত্যা করেছি। বাখমুতে রাশিয়াকে অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়ার আরও ১ হাজার ৫০০ সেনা আহত হয়েছে। তারা আর লড়াইয়ে অংশ নিতে পারবে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডনেস্ক অঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে রুশ সেনারা। ডনেস্ক ও কাছের লুহানস্ক অঞ্চল মিলে শিল্পাঞ্চল ডনবাস গঠিত।
রুশ মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২০ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। তিনটি সাঁজোয়া যান, সাতটি সামরিক যান, এক ইনফ্যান্ট্রি লড়াইয়ের যান এবং একটি ডি-৩০ হাউইটজার এক দিনে ধ্বংস করা হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে বাখমুতে ব্যাপক হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। তবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা যাচাই করা সম্ভব হয়নি রয়টার্সের পক্ষ থেকে। ইউক্রেন বারবার বলে আসছে, বাখমুতের প্রতিরক্ষা অব্যাহত থাকবে। শীর্ষ কমান্ডার বলেছেন, বাখমুতের লড়াই শিগগিরই কিয়েভের বৃহৎ পরিসরের পাল্টা হামলার জন্য প্রয়োজনীয় সময় পাইয়ে দেবে। ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেছেন, বাখমুতে পরিস্থিতি খুব কঠিন। শত্রুরা তীব্র লড়াই করছে। আমরা যত শহরের প্রাণকেন্দ্রের দিকে এগোচ্ছি লড়াই তত তীব্র হচ্ছে। মস্কো বলছে, বাখমুত দখলের ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষায় বড় ধরনের দুর্বলতা তৈরি হবে। এর মাধ্যমে তারা পুরো ডনবাস অঞ্চল দখলের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে। তবে বাখমুত ছাড়াও ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে লড়াই চলমান রয়েছে। এর মধ্যে দোনেৎস্ক অঞ্চলের অপর অংশও রয়েছে।
পূর্ব ও পশ্চিম ইউক্রেনকে আলাদা করা ছোট নদী বাখমুতকা এখন রণাঙ্গনে পরিণত হয়েছে -সিএনএন
আরও খবরমঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩ , ২৯ ফাল্গুন ১৪২৯, ২১ শবান ১৪৪৪
পূর্ব ও পশ্চিম ইউক্রেনকে আলাদা করা ছোট নদী বাখমুতকা এখন রণাঙ্গনে পরিণত হয়েছে -সিএনএন
রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় দেশ রোববার দোনেৎস্ক অঞ্চলের লড়াইয়ে ব্যাপক হতাহতের কথা জানিয়েছে। বেশ কয়েক মাস ধরে অঞ্চলটির ছোট শহর বাখমুত দখলের জন্য আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। পিছু না হটে ইউক্রেনও শহরটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে প্রতিরোধ করে যাচ্ছে।
ব্রিটিশ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, প্রায় ধ্বংসস্তূপ ও বিরাণভূমিতে পরিণত হওয়া বাখমুত শহরের পশ্চিমাঞ্চল ইউক্রেনীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের যুদ্ধের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পূর্বাঞ্চীয় অংশ। পূর্ব ও পশ্চিমকে আলাদা করা ছোট নদী বাখমুতকা এখন রণাঙ্গনে পরিণত হয়েছে। রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, গত কয়েক দিনে রণক্ষেত্রে বাখমুত অংশে লড়াইয়ে রাশিয়া ১ হাজার ১০০ জনের বেশি সেনা হারিয়েছ। জেলেনস্কি বলেন, মাত্র এক সপ্তাহের কম সময়ে, ৬ মার্চ থেকে শুধু বাখমুত অংশে আমরা ১ হাজার ১০০ জনের বেশি শত্রু সেনাকে হত্যা করেছি। বাখমুতে রাশিয়াকে অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়ার আরও ১ হাজার ৫০০ সেনা আহত হয়েছে। তারা আর লড়াইয়ে অংশ নিতে পারবে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডনেস্ক অঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে রুশ সেনারা। ডনেস্ক ও কাছের লুহানস্ক অঞ্চল মিলে শিল্পাঞ্চল ডনবাস গঠিত।
রুশ মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২০ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। তিনটি সাঁজোয়া যান, সাতটি সামরিক যান, এক ইনফ্যান্ট্রি লড়াইয়ের যান এবং একটি ডি-৩০ হাউইটজার এক দিনে ধ্বংস করা হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে বাখমুতে ব্যাপক হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। তবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা যাচাই করা সম্ভব হয়নি রয়টার্সের পক্ষ থেকে। ইউক্রেন বারবার বলে আসছে, বাখমুতের প্রতিরক্ষা অব্যাহত থাকবে। শীর্ষ কমান্ডার বলেছেন, বাখমুতের লড়াই শিগগিরই কিয়েভের বৃহৎ পরিসরের পাল্টা হামলার জন্য প্রয়োজনীয় সময় পাইয়ে দেবে। ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেছেন, বাখমুতে পরিস্থিতি খুব কঠিন। শত্রুরা তীব্র লড়াই করছে। আমরা যত শহরের প্রাণকেন্দ্রের দিকে এগোচ্ছি লড়াই তত তীব্র হচ্ছে। মস্কো বলছে, বাখমুত দখলের ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষায় বড় ধরনের দুর্বলতা তৈরি হবে। এর মাধ্যমে তারা পুরো ডনবাস অঞ্চল দখলের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে। তবে বাখমুত ছাড়াও ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে লড়াই চলমান রয়েছে। এর মধ্যে দোনেৎস্ক অঞ্চলের অপর অংশও রয়েছে।