৬ বছরের শিশু কন্যাকে দিয়েও বাবার নামে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা

বিয়ের নামে প্রতারণা করাই নেশা শিলা বেগমের। বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। এরপর তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর কিছুদিন সংসারও করেন। এরপরই বেড়িয়ে আসে তার আসল চেহারা। বেপরোয়া জীবনযাবনের পাশাপাশি স্বামীর কাছে ইচ্ছে মতো টাকা দাবি করেন। কথা না শুনলেই বিপদ। তার রয়েছে একটি তৃতীয়লিঙ্গ বাহিনীও। স্বামীরা কথা না শুনলে তৃতীয়লিঙ্গ বাহিনী দিয়েও চলে নির্যাতন। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাকে ডিভোর্স দিলে একের পর এক মিথ্যা মামলার ফাঁদে ফেলেন সাবেক স্বামীদের। শুধু তাই নয়, শিশু সন্তান দিয়ে বাবার নামে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিতেও পিছ পা হননা শিলা বেগম। গতকাল সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান শিলার সাবেক স্বামী মো. আজিম উদ্দিন বেপারী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পুরান ঢাকার জিয়া স্মরণি রোডস্থ তার ব্যাগ তৈরির কারখানা ছিল। বাবা-মা, ভাই-বোনদের নিয়ে সুখেই ছিলেন। ২০১৪ সালে প্রেমের সম্পর্কের পর শিলা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর বিছনিকা (৭) ও মেহেতাজ (৫) নামে দু’টি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এ অবস্থায় তার স্ত্রী শিলা বেগম বেপরোয়া জীবনযাপন করতে থাকেন। তাকে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফেরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন আজিম। একপর্যায়ে গত ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর তাকে ডিভোর্স দেন।

এতে শিলা ক্ষীপ্ত হয়ে আজিমের বিরুদ্ধে রাজধানীর বংশাল থানায় ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা দায়েরের পর বংশাল থানা পুলিশ আজিমকে জিয়া স্মরণি রোডস্থ তার ব্যাগ তৈরির কারখানা থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তার অবুঝ দুই শিশুকন্যাকে পুলিশের সহায়তায় স্ত্রী শিলা বেগম নিয়ে যান। এর এক সপ্তাহ পর আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন আজিম। জামিন পেয়ে কারখানায় গিয়ে দেখেন কারখানার মালামাল কিছুই নেই। তখন আশপাশের কারখানাদার ও বাড়িওয়ালাকে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায়, আপনার স্ত্রী সব মালামাল নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে বংশাল থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ খবর তার কানে পৌঁছালে তিনি ৫ লাখ টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে ধর্ষণ মামলার হুমকি দেন।

এদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দায়েরকৃত মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)’র মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা আঙ্গুর আক্তার সীমা মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করেন। এরপর আজিম বেপারী তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর নির্যাতন ও হয়রানির ভয়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে বিদেশ যেতে বাধা দেন এবং জানান, আপনার নামে বংশাল থানায় একটি মামলা রয়েছে, সেটা মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত বিদেশ যেতে পারবেন না। এরপর তিনি গ্রামের জমি বিক্রি করে ঢাকার গুলিস্তানে ফুটপাতে ব্যবসা শুরু করেন। এ খবর তার তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী শিলার কানে পৌঁছালে তিনি কিছু তৃতীয়লিঙ্গ নিয়ে এসে তার দোকানে হামলা চালায় আর তার দুই শিশুর খরচ হিসেবে প্রতিদিন এক হাজার টাকা করে দাবি করেন। এক পর্যায়ে তার দাবিকৃত টাকা দিতে রাজি হন আজিম। এ সময় আজিমের সন্দেহ হয়, টাকা দিলেও সে মিথ্যে বলতে পারে, সেজন্য প্রতি সপ্তাহে শিলার নগদ (মোবাইল নম্বর : ০১৪০৭৫৪৩৫৯৭) একাউন্ডে ৭ হাজার টাকা করে প্রদান করেন। সর্বশেষ গত ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বর আমি তাকে ৬ হাজার টাকা প্রদান করেন।

ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর শিলা তার চতুর্থ স্বামী সালাউদ্দিনকে নিয়ে আজিমের দোকানে বাচ্চার খরচের টাকা নিতে আসেন। টাকা দিতে না পারায় তার সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়। এ সময় বাচ্চা দুটিকে দোকানে রেখে শিলা চলে যান। এরপর শিশু কন্যাদের নিয়ে আজিম মিরপুরে তার কারখানায় চলে যান। ২২ ডিসেম্বর শিলা আজিমের বোনের বাসায় যান এবং হুমকি দিয়ে বলে, বাচ্চা ও বাচ্চার খরচের টাকা না দিলে আমি আজিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দিব। ২২ ডিসেম্বর আজিমের কর্মচারী মান্নান ফোন দিয়ে জানায়, কিছু তৃতীয়লিঙ্গরা এসে দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে। তখন শিলাকে ফোন দেন আজিম। তার ফোন রিসিভ না করায় ২৪ ডিসেম্বর কর্মচারীর মাধ্যমে তাকে ফোন দিয়ে দোকানের সামনে আসতে বলেন এবং সেখানে উপস্থিত লোকজনের সামনে তার শিশুকন্যাদের শিলার হাতে তুলে দেন।

এরপর ওই দিনই শাহবাগ থানায় আমার ৬ বছরের শিশুকন্যাকে দিয়ে আজিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা দায়ের করেন শিলা বেগম। ২৫ ডিসেম্বর পুলিশ আজিমকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ থানায় নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তালাকনামার কাগজ, পূর্বের মামলার কাগজ ও বিদেশ যাওয়ার কাগজপত্র সরবরাহ করেন। এক সপ্তাহ পর কর্মচারী মান্নান কারাগারে তাকে দেখতে গিয়ে জানায়, কিছু তৃতীয়লিঙ্গরা দোকানের সব মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এর কয়েকদিন পর শিলা কিছু তৃতীয়লিঙ্গ নিয়ে তার বোনের বাসায় গিয়ে জানায়, ৫ লাখ টাকা দিলে মামলা তুলে নিব। শিশু ধর্ষণ মামলায় পুলিশ তদন্ত শেষে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিলে শিলা বেগম জেলগেটে তার সঙ্গে দেখা করতে যান এবং বলে, এই মামলা থেকে তুই বেঁচে গেলেও ৫ লাখ টাকা না দিলে তোর বাচ্চাদের হত্যা করে তোর ফ্যামিলির নামে মামলা দিব। তার ভয়ে আজিমের পরিবারের সব সদস্য রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যান।

আজিম জানান, শিলা বেগমের আগেও দুটি বিয়ে হয়েছিল। সেখানে তার ৪ জন সন্তান রয়েছে। তার প্রথম স্বামী লিটন ও দ্বিতীয় স্বামী মুকুলের নামেও এ রকম মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে শিলা বেগম। এই নারীর কারণে আমি সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। আজিম বেপারী আরও অভিযোগ করেন, একদিন ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে প্রশাসনের কিছু অসৎ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে আদালত প্রাঙ্গণেও তাকে মারধর করে শিলার বর্তমান স্বামীর খালাত বোন তৃতীয়লিঙ্গ কমিটির সভাপতি সুলতানা ও তার লোকজন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজি ও র‌্যাবের ডিজিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন আজিম বেপারী।

মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩ , ২৯ ফাল্গুন ১৪২৯, ২১ শবান ১৪৪৪

মিথ্যা মামলায় নিঃস্ব একটি পরিবার

৬ বছরের শিশু কন্যাকে দিয়েও বাবার নামে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বিয়ের নামে প্রতারণা করাই নেশা শিলা বেগমের। বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। এরপর তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর কিছুদিন সংসারও করেন। এরপরই বেড়িয়ে আসে তার আসল চেহারা। বেপরোয়া জীবনযাবনের পাশাপাশি স্বামীর কাছে ইচ্ছে মতো টাকা দাবি করেন। কথা না শুনলেই বিপদ। তার রয়েছে একটি তৃতীয়লিঙ্গ বাহিনীও। স্বামীরা কথা না শুনলে তৃতীয়লিঙ্গ বাহিনী দিয়েও চলে নির্যাতন। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাকে ডিভোর্স দিলে একের পর এক মিথ্যা মামলার ফাঁদে ফেলেন সাবেক স্বামীদের। শুধু তাই নয়, শিশু সন্তান দিয়ে বাবার নামে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিতেও পিছ পা হননা শিলা বেগম। গতকাল সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান শিলার সাবেক স্বামী মো. আজিম উদ্দিন বেপারী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পুরান ঢাকার জিয়া স্মরণি রোডস্থ তার ব্যাগ তৈরির কারখানা ছিল। বাবা-মা, ভাই-বোনদের নিয়ে সুখেই ছিলেন। ২০১৪ সালে প্রেমের সম্পর্কের পর শিলা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর বিছনিকা (৭) ও মেহেতাজ (৫) নামে দু’টি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এ অবস্থায় তার স্ত্রী শিলা বেগম বেপরোয়া জীবনযাপন করতে থাকেন। তাকে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফেরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন আজিম। একপর্যায়ে গত ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর তাকে ডিভোর্স দেন।

এতে শিলা ক্ষীপ্ত হয়ে আজিমের বিরুদ্ধে রাজধানীর বংশাল থানায় ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা দায়েরের পর বংশাল থানা পুলিশ আজিমকে জিয়া স্মরণি রোডস্থ তার ব্যাগ তৈরির কারখানা থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তার অবুঝ দুই শিশুকন্যাকে পুলিশের সহায়তায় স্ত্রী শিলা বেগম নিয়ে যান। এর এক সপ্তাহ পর আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন আজিম। জামিন পেয়ে কারখানায় গিয়ে দেখেন কারখানার মালামাল কিছুই নেই। তখন আশপাশের কারখানাদার ও বাড়িওয়ালাকে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায়, আপনার স্ত্রী সব মালামাল নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে বংশাল থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ খবর তার কানে পৌঁছালে তিনি ৫ লাখ টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে ধর্ষণ মামলার হুমকি দেন।

এদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দায়েরকৃত মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)’র মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা আঙ্গুর আক্তার সীমা মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করেন। এরপর আজিম বেপারী তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর নির্যাতন ও হয়রানির ভয়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে বিদেশ যেতে বাধা দেন এবং জানান, আপনার নামে বংশাল থানায় একটি মামলা রয়েছে, সেটা মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত বিদেশ যেতে পারবেন না। এরপর তিনি গ্রামের জমি বিক্রি করে ঢাকার গুলিস্তানে ফুটপাতে ব্যবসা শুরু করেন। এ খবর তার তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী শিলার কানে পৌঁছালে তিনি কিছু তৃতীয়লিঙ্গ নিয়ে এসে তার দোকানে হামলা চালায় আর তার দুই শিশুর খরচ হিসেবে প্রতিদিন এক হাজার টাকা করে দাবি করেন। এক পর্যায়ে তার দাবিকৃত টাকা দিতে রাজি হন আজিম। এ সময় আজিমের সন্দেহ হয়, টাকা দিলেও সে মিথ্যে বলতে পারে, সেজন্য প্রতি সপ্তাহে শিলার নগদ (মোবাইল নম্বর : ০১৪০৭৫৪৩৫৯৭) একাউন্ডে ৭ হাজার টাকা করে প্রদান করেন। সর্বশেষ গত ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বর আমি তাকে ৬ হাজার টাকা প্রদান করেন।

ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর শিলা তার চতুর্থ স্বামী সালাউদ্দিনকে নিয়ে আজিমের দোকানে বাচ্চার খরচের টাকা নিতে আসেন। টাকা দিতে না পারায় তার সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়। এ সময় বাচ্চা দুটিকে দোকানে রেখে শিলা চলে যান। এরপর শিশু কন্যাদের নিয়ে আজিম মিরপুরে তার কারখানায় চলে যান। ২২ ডিসেম্বর শিলা আজিমের বোনের বাসায় যান এবং হুমকি দিয়ে বলে, বাচ্চা ও বাচ্চার খরচের টাকা না দিলে আমি আজিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দিব। ২২ ডিসেম্বর আজিমের কর্মচারী মান্নান ফোন দিয়ে জানায়, কিছু তৃতীয়লিঙ্গরা এসে দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে। তখন শিলাকে ফোন দেন আজিম। তার ফোন রিসিভ না করায় ২৪ ডিসেম্বর কর্মচারীর মাধ্যমে তাকে ফোন দিয়ে দোকানের সামনে আসতে বলেন এবং সেখানে উপস্থিত লোকজনের সামনে তার শিশুকন্যাদের শিলার হাতে তুলে দেন।

এরপর ওই দিনই শাহবাগ থানায় আমার ৬ বছরের শিশুকন্যাকে দিয়ে আজিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা দায়ের করেন শিলা বেগম। ২৫ ডিসেম্বর পুলিশ আজিমকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ থানায় নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তালাকনামার কাগজ, পূর্বের মামলার কাগজ ও বিদেশ যাওয়ার কাগজপত্র সরবরাহ করেন। এক সপ্তাহ পর কর্মচারী মান্নান কারাগারে তাকে দেখতে গিয়ে জানায়, কিছু তৃতীয়লিঙ্গরা দোকানের সব মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এর কয়েকদিন পর শিলা কিছু তৃতীয়লিঙ্গ নিয়ে তার বোনের বাসায় গিয়ে জানায়, ৫ লাখ টাকা দিলে মামলা তুলে নিব। শিশু ধর্ষণ মামলায় পুলিশ তদন্ত শেষে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিলে শিলা বেগম জেলগেটে তার সঙ্গে দেখা করতে যান এবং বলে, এই মামলা থেকে তুই বেঁচে গেলেও ৫ লাখ টাকা না দিলে তোর বাচ্চাদের হত্যা করে তোর ফ্যামিলির নামে মামলা দিব। তার ভয়ে আজিমের পরিবারের সব সদস্য রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যান।

আজিম জানান, শিলা বেগমের আগেও দুটি বিয়ে হয়েছিল। সেখানে তার ৪ জন সন্তান রয়েছে। তার প্রথম স্বামী লিটন ও দ্বিতীয় স্বামী মুকুলের নামেও এ রকম মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে শিলা বেগম। এই নারীর কারণে আমি সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। আজিম বেপারী আরও অভিযোগ করেন, একদিন ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে প্রশাসনের কিছু অসৎ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে আদালত প্রাঙ্গণেও তাকে মারধর করে শিলার বর্তমান স্বামীর খালাত বোন তৃতীয়লিঙ্গ কমিটির সভাপতি সুলতানা ও তার লোকজন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজি ও র‌্যাবের ডিজিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন আজিম বেপারী।