ইংল্যান্ড স্কোয়াডে আদর্শ ভারসাম্য নেই : নাসের হোসেইন

বাংলাদেশের সঙ্গে টি-২০ সিরিজ হার যেন হজম হচ্ছে না নাসের হোসেইনের। ছোট স্কোয়াড নিয়ে সিরিজ খেলে ফেলা, বিশেষ করে ব্যাটার কম রাখার সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তিনি। সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়কের মতে, বাংলাদেশে যেভাবে তীব্রতা নিয়ে খেলেছে, ইংল্যান্ডের খেলাটার প্রতি একই সম্মান দেখানো উচিত ছিল। স্কাই স্পোর্টসের আলোচনায় বিকল্প খেলোয়াড় না নেয়ার তীব্র সমালোচনা করেন নাসের, ‘আমরা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। এটা গুরুত্বপূর্ণ সফর। আমরা দেখেছি এই সিরিজটা বাংলাদেশ কীভাবে নিয়েছে। আমাদেরও একই সম্মান দেখানো উচিত ছিল। আমাদের স্কোয়াডে আদর্শ ভারসাম্য ছিল না।’ বাংলাদেশে ওয়ানডে সিরিজ খেলে পিএসএল খেলতে পাকিস্তান চলে যান জেসন রয়। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন স্যাম বিলিংস, আলেক্স হেলসরা। এসব খেলোয়াড়দের আগেই ছুটি দেয়ায় এই সিরিজে রাখা সম্ভব ছিল না। তাছাড়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর ছুটিতে আছেন হ্যারি ব্রুকও। চোটে থাকায় অনেকদিন ধরে নেই লিয়াম লিভিংস্টোন, জনি বেয়ারস্টো।

নাসের তবু মনে করেন ১৮টি কাউন্টি থেকে একজন ব্যাটার তো ঠিকই পাঠানো যেত, ‘মানছি নির্বাচকদের একাধিক বিষয় মাথায় রেখে কঠিন কাজ ছিল। অ্যাশেজের মতো সিরিজ সামনে আসছে, এজন্য তারা টেস্ট খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিতে চেয়েছে।’

‘সাদা বলের খেলোয়াড়দের টেস্টে রেখেছে। কয়েকজন চোটে আছে। কাউন্টি মৌসুমও আসছে ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের ১৮টি কাউন্টি। আমরা যদি বাংলাদেশে একজন ব্যাটার পাঠাতে না পারি তারা কি পোপ (অলি পোপ) বা জ্যাককে পাঠানোর কথা (ক্রলি) চিন্তা করে এসব বলে? যদিও এই দুজন সাদা বলের ভালো ক্রিকেটার হতে পারবে। আমার মনে হয় না “একজন ব্যাটার ঘাটতি ছিল”, কেবল এটা বলাটা যথেষ্ট নয়।’

কম ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলায় স্যাম কারান, মঈন আলিদের উপরের দিকে ব্যাট করার সুযোগ দিয়েছে ইংল্যান্ড। তারা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলেও চলতি বছর বিশ্বকাপ সামনে রেখে এই ভাবনা ছিল বলে জানান জস বাটলার। নাসেরও এই কারণটা অনুধাবন করেছেন অবশ্য, ‘ধারণা করি যারা খেলেছে তারা হয় বিশ্বকাপে বাড়তি দায়িত্ব পাবে। এটা একটা ভাবনা হতে পারে। কারান, ওকস, জর্ডান ও (রেহান) আহমেদ কঠিন কন্ডিশনে কঠিন পিচ পেয়েছে।’

মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩ , ২৯ ফাল্গুন ১৪২৯, ২১ শবান ১৪৪৪

ইংল্যান্ড স্কোয়াডে আদর্শ ভারসাম্য নেই : নাসের হোসেইন

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

বাংলাদেশের সঙ্গে টি-২০ সিরিজ হার যেন হজম হচ্ছে না নাসের হোসেইনের। ছোট স্কোয়াড নিয়ে সিরিজ খেলে ফেলা, বিশেষ করে ব্যাটার কম রাখার সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তিনি। সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়কের মতে, বাংলাদেশে যেভাবে তীব্রতা নিয়ে খেলেছে, ইংল্যান্ডের খেলাটার প্রতি একই সম্মান দেখানো উচিত ছিল। স্কাই স্পোর্টসের আলোচনায় বিকল্প খেলোয়াড় না নেয়ার তীব্র সমালোচনা করেন নাসের, ‘আমরা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। এটা গুরুত্বপূর্ণ সফর। আমরা দেখেছি এই সিরিজটা বাংলাদেশ কীভাবে নিয়েছে। আমাদেরও একই সম্মান দেখানো উচিত ছিল। আমাদের স্কোয়াডে আদর্শ ভারসাম্য ছিল না।’ বাংলাদেশে ওয়ানডে সিরিজ খেলে পিএসএল খেলতে পাকিস্তান চলে যান জেসন রয়। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন স্যাম বিলিংস, আলেক্স হেলসরা। এসব খেলোয়াড়দের আগেই ছুটি দেয়ায় এই সিরিজে রাখা সম্ভব ছিল না। তাছাড়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর ছুটিতে আছেন হ্যারি ব্রুকও। চোটে থাকায় অনেকদিন ধরে নেই লিয়াম লিভিংস্টোন, জনি বেয়ারস্টো।

নাসের তবু মনে করেন ১৮টি কাউন্টি থেকে একজন ব্যাটার তো ঠিকই পাঠানো যেত, ‘মানছি নির্বাচকদের একাধিক বিষয় মাথায় রেখে কঠিন কাজ ছিল। অ্যাশেজের মতো সিরিজ সামনে আসছে, এজন্য তারা টেস্ট খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিতে চেয়েছে।’

‘সাদা বলের খেলোয়াড়দের টেস্টে রেখেছে। কয়েকজন চোটে আছে। কাউন্টি মৌসুমও আসছে ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের ১৮টি কাউন্টি। আমরা যদি বাংলাদেশে একজন ব্যাটার পাঠাতে না পারি তারা কি পোপ (অলি পোপ) বা জ্যাককে পাঠানোর কথা (ক্রলি) চিন্তা করে এসব বলে? যদিও এই দুজন সাদা বলের ভালো ক্রিকেটার হতে পারবে। আমার মনে হয় না “একজন ব্যাটার ঘাটতি ছিল”, কেবল এটা বলাটা যথেষ্ট নয়।’

কম ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলায় স্যাম কারান, মঈন আলিদের উপরের দিকে ব্যাট করার সুযোগ দিয়েছে ইংল্যান্ড। তারা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলেও চলতি বছর বিশ্বকাপ সামনে রেখে এই ভাবনা ছিল বলে জানান জস বাটলার। নাসেরও এই কারণটা অনুধাবন করেছেন অবশ্য, ‘ধারণা করি যারা খেলেছে তারা হয় বিশ্বকাপে বাড়তি দায়িত্ব পাবে। এটা একটা ভাবনা হতে পারে। কারান, ওকস, জর্ডান ও (রেহান) আহমেদ কঠিন কন্ডিশনে কঠিন পিচ পেয়েছে।’