বিমানের মতোই হচ্ছে ‘রেলের টিকেট’

‘কালোবাজারি রোধে’ টিকেট বিক্রিতে আরও কঠোর হতে চাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ‘টিকেট যার, ভ্রমণ তার’ নীতি বাস্তবায়নে এবার প্রতি আসনের বিপরীতে যাত্রীর নাম ও ছবিসহ টিকেট দেয়ার পরিকল্পনা করছে তারা। এই পদ্ধতি চালু হলে রেলের টিকেট হবে ‘বিমানের টিকিটের’ মতো। এতে টিকেট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য ‘কমে আসবে’ বলে আশা করছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে গতকাল বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম সলিমুল্লাহ বাহার সংবাদ-কে বলেন, ‘আমাদের যে পরিকল্পনা রয়েছে তাতে আস্তে আস্তে রেলের টিকেট প্লেনের টিকেটের মতো হয়ে যাবে। অর্থাৎ প্রত্যেক টিকেটের বিপরীতে যাত্রীর নাম ও অন্যান্য তথ্য যুক্ত থাকবে, যেমনটা প্লেনের টিকেটে থাকে। এতে অন্যের টিকেট দিয়ে কেউ ভ্রমণ করতে পারবেন না। এতে কালোবাজারিও রোধ হবে।’

কবে নাগাদ প্রত্যেক যাত্রীর নামসহ টিকেটের এই পদ্ধতি চালু হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপাতত ১ মার্চ থেকে যেসব নতুন নিয়ম চালু হয়েছে সেগুলোর সঙ্গে যাত্রীদের অভ্যস্ত করানো হচ্ছে। নতুন নিয়মের সঙ্গে যাত্রীরা অভ্যস্ত হলেই প্রত্যেক যাত্রীর নাম ও এনআইডিসহ টিকেট দেয়ার প্রচলন শুরু করা হবে।’

গত ১ মার্চ থেকে ট্রেনের টিকেট ক্রয়ে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শুরুতে একজন যাত্রী সপ্তাহে দুইবার টিকেট কিনতে পারার কথা বলা হলেও পরবর্তীতে চাহিদা মতো যতবার খুশি টিকেট কেনার সুযোগ দেয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যক্তি তার একই সময়ে সর্বোচ্চ ৪টি টিকেট সংগ্রহ করতে পারছেন। কিন্তু চারটি টিকেটে ওই একই ব্যক্তির নাম থাকছে। এতে সেই ব্যক্তি টিকেট ‘কালোবাজারির সুযোগ’ পাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে প্রতিটি আসনের বিপরীতে টিকেটে নাম ও এনআইডি নম্বর যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। রেলওয়ের সূত্র বলছে, টিকেটের নতুন পদ্ধতি চালু হলে যাত্রীদের কাছে টিকেট বিক্রি সময় সহযাত্রীদের তথ্য দিতে হবে। রেলওয়ের সার্ভারে সহযাত্রীর নাম নিবন্ধন থাকলে টিকেটে স¦য়ংক্রিয়ভাবে তার নাম যুক্ত হবে।

বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩ , ৩০ ফাল্গুন ১৪২৯, ২২ শবান ১৪৪৪

কালোবাজারি রোধে

বিমানের মতোই হচ্ছে ‘রেলের টিকেট’

মোস্তাফিজুর রহমান

‘কালোবাজারি রোধে’ টিকেট বিক্রিতে আরও কঠোর হতে চাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ‘টিকেট যার, ভ্রমণ তার’ নীতি বাস্তবায়নে এবার প্রতি আসনের বিপরীতে যাত্রীর নাম ও ছবিসহ টিকেট দেয়ার পরিকল্পনা করছে তারা। এই পদ্ধতি চালু হলে রেলের টিকেট হবে ‘বিমানের টিকিটের’ মতো। এতে টিকেট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য ‘কমে আসবে’ বলে আশা করছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে গতকাল বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম সলিমুল্লাহ বাহার সংবাদ-কে বলেন, ‘আমাদের যে পরিকল্পনা রয়েছে তাতে আস্তে আস্তে রেলের টিকেট প্লেনের টিকেটের মতো হয়ে যাবে। অর্থাৎ প্রত্যেক টিকেটের বিপরীতে যাত্রীর নাম ও অন্যান্য তথ্য যুক্ত থাকবে, যেমনটা প্লেনের টিকেটে থাকে। এতে অন্যের টিকেট দিয়ে কেউ ভ্রমণ করতে পারবেন না। এতে কালোবাজারিও রোধ হবে।’

কবে নাগাদ প্রত্যেক যাত্রীর নামসহ টিকেটের এই পদ্ধতি চালু হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপাতত ১ মার্চ থেকে যেসব নতুন নিয়ম চালু হয়েছে সেগুলোর সঙ্গে যাত্রীদের অভ্যস্ত করানো হচ্ছে। নতুন নিয়মের সঙ্গে যাত্রীরা অভ্যস্ত হলেই প্রত্যেক যাত্রীর নাম ও এনআইডিসহ টিকেট দেয়ার প্রচলন শুরু করা হবে।’

গত ১ মার্চ থেকে ট্রেনের টিকেট ক্রয়ে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শুরুতে একজন যাত্রী সপ্তাহে দুইবার টিকেট কিনতে পারার কথা বলা হলেও পরবর্তীতে চাহিদা মতো যতবার খুশি টিকেট কেনার সুযোগ দেয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যক্তি তার একই সময়ে সর্বোচ্চ ৪টি টিকেট সংগ্রহ করতে পারছেন। কিন্তু চারটি টিকেটে ওই একই ব্যক্তির নাম থাকছে। এতে সেই ব্যক্তি টিকেট ‘কালোবাজারির সুযোগ’ পাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে প্রতিটি আসনের বিপরীতে টিকেটে নাম ও এনআইডি নম্বর যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। রেলওয়ের সূত্র বলছে, টিকেটের নতুন পদ্ধতি চালু হলে যাত্রীদের কাছে টিকেট বিক্রি সময় সহযাত্রীদের তথ্য দিতে হবে। রেলওয়ের সার্ভারে সহযাত্রীর নাম নিবন্ধন থাকলে টিকেটে স¦য়ংক্রিয়ভাবে তার নাম যুক্ত হবে।