চীনকে ঠেকাতে একজোট যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-অস্ট্রেলিয়া

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আধিপত্য চীনের ‘সামরিক অগ্রগতি’ ঠেকাতে নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য। সোমবার (১৩ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান দিয়েগো নৌ-ঘাঁটিতে মিলিত হন এ তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। সেসময় তারা অকাস জোটের নতুন পরিকল্পনা গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন।

আলজাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অকাসের নতুন চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন তিনটি সাবমেরিন কিনবে অস্ট্রেলিয়া।

প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও দুটি ভার্জিনিয়া শ্রেণির সাবমেরিন নিতে পারবে অস্ট্রেলিয়া। এগুলোর প্রথম চালান আগামী ১০ বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হবে। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়াকে এসএসএন-অকাস মডেলের সাবমেরিন দেবে যুক্তরাজ্য। এ সাবমেরিনগুলো যুক্তরাজ্যের নকশা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিতে তৈরি হবে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের দাবি, এসব পরিকল্পনা আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগর মুক্ত রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া, এর ফলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে মনে করেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে সর্ববৃহৎ একক বিনিয়োগ হলো, অকাস চুক্তি। প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের সামরিক কার্যকলাপ প্রতিহত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ চুক্তি।

আলবানিজ আরও বলেন, এ সংক্রান্ত সব কর্মসূচি বাস্তবায়নে আগামী চার বছরে ৬ হাজার মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হবে। বিশাল এ কর্মযজ্ঞ অসংখ্য মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, প্রশান্ত মহাসাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ‘ভালো কোনো অংশীদার’ হতে পারে না। এ চুক্তি চীনের ধ্বংসাত্মক কর্মকা- বন্ধে ব্যাপক সাহায্য করবে।

২০২১ সালে তিন দেশ অকাস চুক্তির ঘোষণা দেয়। এ চুক্তির আওতায় নিজেদের মধ্যে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সাইবার যুদ্ধের সরঞ্জাম সংক্রান্ত সহযোগিতা সরবরাহের কথা রয়েছে। তবে শুরু থেকেই এ চুক্তির তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে চীন। দেশটির দাবি, অকাস চুক্তির মাধ্যমে নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি (এনপিটি) বা পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার রোধ চুক্তির দুর্বলতাকে কাজে লাগানো হচ্ছে।

এনপিটি চুক্তি অনুসারে, পারমাণবিক শক্তিধর কোনো দেশ এ সংক্রান্ত কোনো প্রযুক্তি বা উপাদান পারমানবিক শক্তিধর নয় এমন কোনো দেশের কাছে হস্তান্তর করতে পারবে না। কিন্তু ১৯৬৮ সালে সই হওয়া এ চুক্তির ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে একটি দুর্বলতা রয়ে গেছে।

এ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের কোনো তত্ত্বাবধায়ক সংস্থার অধীনে পরমানু শক্তিসম্পন্ন ও পরমাণু শক্তিধর নয় এমন দেশের মধ্যে প্রযুক্তি আদান-প্রদান বা সরবরাহ করা যাবে। চীনের দাবি, এ সুযোগটিকেই কাজে লাগাচ্ছে যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র।

অকাস চুক্তির বিরোধিতা করে চীন বলে, এটি এনপিটির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনা মিশন বলে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সুস্পষ্টভাবে এনপিটি চুক্তির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য লঙ্ঘন করছে। তাদের এমন কার্যকলাপ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এনপিটি চুক্তিতে দুর্বল করে তুলবে।

চীনা মিশন আরও বলে, অকাস প্রকাশিত পারমাণবিক সাবমেরিন সহযোগিতা পরিকল্পনা জঘন্য একটি কাজ। এটি পারমাণবিক অস্ত্র অস্ত্র প্রতিযোগিতা উসকে দেবে ও সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের শান্তি-স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার দাবি, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানেই পারমাণবিক উপাদান ও প্রযুক্তিগুলো হস্তান্তর করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ কর্মকর্তার দাবি, অকাস চুক্তির প্রথম দিন থেকেই তারা এনপিটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।

আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রসি অকাস চুক্তিতে তাদের তত্ত্বাবধানের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস, অকাস অংশীদাররা এনপিটির শর্তগুলো পূরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সাবমেরিন বিক্রির যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এটি আসলে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ। এটিতে কয়েকটি ধাপ রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া মার্কিনিদের পারমাণবিক প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান নিতে পারবে।

স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনায়, অস্ট্রেলিয়ার সামরিক এবং বেসামরিকরা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নৌবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে পারমাণবিক সাবমেরিন ঘাঁটিতে যোগ দেবেন। এছাড়া সামনের বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তাদের পারমাণবিক সাবমেরিনগুলো অস্ট্রেলিয়ার বন্দরগুলো আগের তুলনায় বেশি নিয়ে যাবে। এরমাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াকে অত্যাধুনিক এ সাবমেরিন রক্ষণাবেক্ষণ ও চালানো শেখানো এবং অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা করা হবে। এরপর ২০৩০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের অনুমোদন সাপেক্ষে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভার্জিনিয়া ক্লাসের তিনটি সাবমেরিন বিক্রি করা হবে। যেগুলোর একেকটির দাম পড়বে ৩ বিলিয়ন ডলার।

এরমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রযুক্তি দিয়ে সাবমেরিন তৈরি শুরু করবে। যুক্তরাজ্য ২০৩০ সালের মধ্যে সাবমেরিন তৈরি সম্পন্ন করবে। অস্ট্রেলিয়াও তাদের কাজ অব্যাহত রাখবে।

বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩ , ৩০ ফাল্গুন ১৪২৯, ২২ শবান ১৪৪৪

চীনকে ঠেকাতে একজোট যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-অস্ট্রেলিয়া

image

যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়েগো নৌ-ঘাঁটিতে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রপ্রধানরা -সিএনএন

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আধিপত্য চীনের ‘সামরিক অগ্রগতি’ ঠেকাতে নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য। সোমবার (১৩ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান দিয়েগো নৌ-ঘাঁটিতে মিলিত হন এ তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। সেসময় তারা অকাস জোটের নতুন পরিকল্পনা গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন।

আলজাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অকাসের নতুন চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন তিনটি সাবমেরিন কিনবে অস্ট্রেলিয়া।

প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও দুটি ভার্জিনিয়া শ্রেণির সাবমেরিন নিতে পারবে অস্ট্রেলিয়া। এগুলোর প্রথম চালান আগামী ১০ বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হবে। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়াকে এসএসএন-অকাস মডেলের সাবমেরিন দেবে যুক্তরাজ্য। এ সাবমেরিনগুলো যুক্তরাজ্যের নকশা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিতে তৈরি হবে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের দাবি, এসব পরিকল্পনা আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগর মুক্ত রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া, এর ফলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে মনে করেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে সর্ববৃহৎ একক বিনিয়োগ হলো, অকাস চুক্তি। প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের সামরিক কার্যকলাপ প্রতিহত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ চুক্তি।

আলবানিজ আরও বলেন, এ সংক্রান্ত সব কর্মসূচি বাস্তবায়নে আগামী চার বছরে ৬ হাজার মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হবে। বিশাল এ কর্মযজ্ঞ অসংখ্য মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, প্রশান্ত মহাসাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ‘ভালো কোনো অংশীদার’ হতে পারে না। এ চুক্তি চীনের ধ্বংসাত্মক কর্মকা- বন্ধে ব্যাপক সাহায্য করবে।

২০২১ সালে তিন দেশ অকাস চুক্তির ঘোষণা দেয়। এ চুক্তির আওতায় নিজেদের মধ্যে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সাইবার যুদ্ধের সরঞ্জাম সংক্রান্ত সহযোগিতা সরবরাহের কথা রয়েছে। তবে শুরু থেকেই এ চুক্তির তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে চীন। দেশটির দাবি, অকাস চুক্তির মাধ্যমে নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি (এনপিটি) বা পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার রোধ চুক্তির দুর্বলতাকে কাজে লাগানো হচ্ছে।

এনপিটি চুক্তি অনুসারে, পারমাণবিক শক্তিধর কোনো দেশ এ সংক্রান্ত কোনো প্রযুক্তি বা উপাদান পারমানবিক শক্তিধর নয় এমন কোনো দেশের কাছে হস্তান্তর করতে পারবে না। কিন্তু ১৯৬৮ সালে সই হওয়া এ চুক্তির ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে একটি দুর্বলতা রয়ে গেছে।

এ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের কোনো তত্ত্বাবধায়ক সংস্থার অধীনে পরমানু শক্তিসম্পন্ন ও পরমাণু শক্তিধর নয় এমন দেশের মধ্যে প্রযুক্তি আদান-প্রদান বা সরবরাহ করা যাবে। চীনের দাবি, এ সুযোগটিকেই কাজে লাগাচ্ছে যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র।

অকাস চুক্তির বিরোধিতা করে চীন বলে, এটি এনপিটির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনা মিশন বলে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সুস্পষ্টভাবে এনপিটি চুক্তির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য লঙ্ঘন করছে। তাদের এমন কার্যকলাপ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এনপিটি চুক্তিতে দুর্বল করে তুলবে।

চীনা মিশন আরও বলে, অকাস প্রকাশিত পারমাণবিক সাবমেরিন সহযোগিতা পরিকল্পনা জঘন্য একটি কাজ। এটি পারমাণবিক অস্ত্র অস্ত্র প্রতিযোগিতা উসকে দেবে ও সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের শান্তি-স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার দাবি, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানেই পারমাণবিক উপাদান ও প্রযুক্তিগুলো হস্তান্তর করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ কর্মকর্তার দাবি, অকাস চুক্তির প্রথম দিন থেকেই তারা এনপিটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।

আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রসি অকাস চুক্তিতে তাদের তত্ত্বাবধানের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস, অকাস অংশীদাররা এনপিটির শর্তগুলো পূরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সাবমেরিন বিক্রির যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এটি আসলে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ। এটিতে কয়েকটি ধাপ রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া মার্কিনিদের পারমাণবিক প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান নিতে পারবে।

স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনায়, অস্ট্রেলিয়ার সামরিক এবং বেসামরিকরা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নৌবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে পারমাণবিক সাবমেরিন ঘাঁটিতে যোগ দেবেন। এছাড়া সামনের বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তাদের পারমাণবিক সাবমেরিনগুলো অস্ট্রেলিয়ার বন্দরগুলো আগের তুলনায় বেশি নিয়ে যাবে। এরমাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াকে অত্যাধুনিক এ সাবমেরিন রক্ষণাবেক্ষণ ও চালানো শেখানো এবং অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা করা হবে। এরপর ২০৩০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের অনুমোদন সাপেক্ষে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভার্জিনিয়া ক্লাসের তিনটি সাবমেরিন বিক্রি করা হবে। যেগুলোর একেকটির দাম পড়বে ৩ বিলিয়ন ডলার।

এরমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রযুক্তি দিয়ে সাবমেরিন তৈরি শুরু করবে। যুক্তরাজ্য ২০৩০ সালের মধ্যে সাবমেরিন তৈরি সম্পন্ন করবে। অস্ট্রেলিয়াও তাদের কাজ অব্যাহত রাখবে।