‘শত্রুর’ সামরিক মহড়ার মাঝেই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া

ফের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি করে। গত কয়েক বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া চলার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল দেশটি।

উত্তর কোরিয়া মঙ্গলবার তার পূর্ব উপকূল থেকে সাগরে দু’টি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পশ্চিম উপকূলের কাছে অবস্থিত দক্ষিণ হওয়াংহাই প্রদেশ থেকে মঙ্গলবার সকাল ৭:৪০ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্র দু’টি নিক্ষেপ করা হয় এবং সেগুলো আকাশে প্রায় ৬২০ কিলোমিটার উড্ডয়ন করেছিল। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

জেসিএস এক বিবৃতিতে বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পূর্ণ প্রস্তুতি বজায় রেখেছে। অন্যদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, জাপান (উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা) ক্ষেপণাস্ত্রের তথ্য সংগ্রহ করছে। এছাড়া এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জেরে জাপান তার দেশের মধ্যে কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নিশ্চিত করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো বলেছেন, পিয়ংইয়ংয়ের নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো জাপানের ভূখ- বা একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের ওপর দিয়ে উড়ে গেছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মাতসুনো আরও বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ এবং পারমাণবিক পরীক্ষা-সহ আরও উস্কানিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমরা উত্তর কোরিয়ার সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রাখব এবং নজরদারিসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করব।’

মার্কিন সামরিক বাহিনীর ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড বলেছে, সর্বশেষ এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ মার্কিন কর্মীদের বা এই অঞ্চল বা তার মিত্রদের জন্য তাৎক্ষণিক কোনও হুমকি সৃষ্টি করেনি।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী উত্তর কোরিয়ার কর্মকা-ের ‘কঠোর নিন্দা’ করেছে। এছাড়া বারবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ গুরুতর উস্কানি এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনের লঙ্ঘন বলেও অভিহিত করেছে তারা। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়া উস্কানি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চলমান ফ্রিডম শিল্ড সামরিক মহড়াকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও দক্ষিণ কোরিয়া-মার্কিন জোট পরিকল্পনা অনুযায়ী মহড়া ও প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাবে।’

বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩ , ৩০ ফাল্গুন ১৪২৯, ২২ শবান ১৪৪৪

‘শত্রুর’ সামরিক মহড়ার মাঝেই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া

ফের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি করে। গত কয়েক বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া চলার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল দেশটি।

উত্তর কোরিয়া মঙ্গলবার তার পূর্ব উপকূল থেকে সাগরে দু’টি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পশ্চিম উপকূলের কাছে অবস্থিত দক্ষিণ হওয়াংহাই প্রদেশ থেকে মঙ্গলবার সকাল ৭:৪০ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্র দু’টি নিক্ষেপ করা হয় এবং সেগুলো আকাশে প্রায় ৬২০ কিলোমিটার উড্ডয়ন করেছিল। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

জেসিএস এক বিবৃতিতে বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পূর্ণ প্রস্তুতি বজায় রেখেছে। অন্যদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, জাপান (উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা) ক্ষেপণাস্ত্রের তথ্য সংগ্রহ করছে। এছাড়া এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জেরে জাপান তার দেশের মধ্যে কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নিশ্চিত করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো বলেছেন, পিয়ংইয়ংয়ের নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো জাপানের ভূখ- বা একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের ওপর দিয়ে উড়ে গেছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মাতসুনো আরও বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ এবং পারমাণবিক পরীক্ষা-সহ আরও উস্কানিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমরা উত্তর কোরিয়ার সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রাখব এবং নজরদারিসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করব।’

মার্কিন সামরিক বাহিনীর ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড বলেছে, সর্বশেষ এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ মার্কিন কর্মীদের বা এই অঞ্চল বা তার মিত্রদের জন্য তাৎক্ষণিক কোনও হুমকি সৃষ্টি করেনি।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী উত্তর কোরিয়ার কর্মকা-ের ‘কঠোর নিন্দা’ করেছে। এছাড়া বারবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ গুরুতর উস্কানি এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনের লঙ্ঘন বলেও অভিহিত করেছে তারা। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়া উস্কানি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চলমান ফ্রিডম শিল্ড সামরিক মহড়াকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও দক্ষিণ কোরিয়া-মার্কিন জোট পরিকল্পনা অনুযায়ী মহড়া ও প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাবে।’