প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরাও সংলাপ করবো না : ফখরুল

কথা দিয়ে কথা না রাখা ‘স্বঘোষিত’ প্রতাপশালী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোন সংলাপ করবো না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘তার (প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গে আমরাও কোন সংলাপ করবো না। কারণ, তিনি কথা দিয়ে কথা রাখেন না। ২০১৮ সালের সংলাপে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আর কোন গ্রেপ্তার (বিএনপি কর্মীদের) হবে না, পুলিশি হয়রানি হবে না, গায়েবি মামলা হবে না।’ কিন্তু এর তিন দিন পর থেকে আমাদের প্রার্থীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে।

ফখরুল আরও বলেন, ‘আমাদের অনির্বাচিত, প্রতাপশালী প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নো প্রেশার উইল ওয়ার্ক অন মি। তার ওপর কোন চাপই কাজ করবে না। এখানেই বোঝা যায়, তার এই উক্তিতে এই দেশের প্রতি তার কোন দায়িত্ব নেই, সত্যিকার অর্থে একটা কার্যকর রাষ্ট্র করার যে চিন্তা এটা তার নেই। এই চাপগুলো কোথা থেকে আসবে? কারণ, গত নির্বাচনে তারা যত রকমের জালিয়াতি আছে ও যত রকমের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আছে, সেগুলোর মাধ্যমে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়ে ফল ঘোষণা করে বেআইনিভাবে ক্ষমতায় গেছে।’

গতকাল গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। বিদেশিরা ‘এই প্রেশারগুলো করছে কেন?’ এমন প্রশ্ন তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রেশারগুলোর কারণ হচ্ছে গত দুটি নির্বাচন তারা করেছেন সম্পূর্ণভাবে একতরফাভাবে। যত রকমের ভোট জালিয়াতি, কারচুপি, সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে ভোটারশূন্য রেখে ফলাফল ঘোষণা করে বেআইনিভাবে তারা ক্ষমতায় গেছে। আজকে যখন আবার নির্বাচন আসছে, এখন তারা দেখছেন জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবেন না। এ কারণে তারা আগে থেকেই একটা অবস্থা তৈরি করছেন। সেটা হচ্ছে আমাদের দেশের নির্বাচনের ব্যাপারে কেউ বাইরে থেকে হস্তক্ষেপ করবে না, কেউ কথা বলবে না, আমরা আমাদের মতো করব।’

প্রধানমন্ত্রীর গতকালের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার খুব কষ্ট হয়, এ রকম একজন বিশাল মানুষের... আমরা কেউ বলি না বলি এটা তো সত্য কথা যে শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের নিঃসন্দেহে ওয়ান অব দ্য গ্রেটেস্ট সান। তার মেয়ে আজকে গোটা জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। উনিও দিয়েছিলেন বাকশাল তৈরি করে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এতই যদি সাহস থাকে, আপনাদের এতই যদি উন্নয়ন করে থাকেন, এতই যদি জনগণের ভালোবাসা থাকে, আপনি রিজাইন করেন। একটা কেয়ারটেকার গর্ভমেন্টকে দায়িত্ব দেন, নির্বাচন করেন, যে আসবে ক্ষমতায় আমরা মাথা পেতে নেব।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কার সঙ্গে কথা বলবো, কার সঙ্গে সংলাপ করবো। এটার রেজাল্ট কী?’ আমাদেরও (বিএনপি) প্রশ্ন একটাই, রেজাল্ট কী? আজকের এই প্রধানমন্ত্রী, তিনি যেভাবেই ক্ষমতায় আসুক, তিনি সবার সামনে ওয়াদা করেছেন নির্বাচনে সরকার কোন হস্তক্ষেপ করবে না, পুলিশ আর গ্রেপ্তার করবে না, কোন মামলা দেবে না। নির্বাচন পর্যন্ত কোন পুলিশি হয়রানি করা হবে না। তার তিন দিন পরেই পুলিশি নির্যাতনে সারাদেশে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা ঘরবাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। ঘরে ও রাস্তায় থাকতে পারেনি। আমি বিএনপি মহাসচিব, আমার গাড়িতে হামলা করা হয়েছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে। আমার বাড়ির চারপাশে অবস্থান নিয়েছে পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। এসবের পর শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের রেজাল্ট কী?’ রেজাল্ট কী তা তো আপনি জানেন।’

ফখরুল বলেন, ‘তারপর তিনি কী করে আশা করেন, প্রধানমন্ত্রী সরকারে থাকবেন, আর রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে? আজকে শুধু বিএনপি নয়, সব রাজনৈতিক দল বলছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। এমনকি সিপিবিও বলেছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না।’

এ পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে যাচ্ছে কি না, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুঝে নেন। আমরা তো আর ছাড় দেব না। এই দেশের মানুষের এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অবশ্যই আগামী নির্বাচনকে অনিশ্চিত করে দিয়েছে। আগামী নির্বাচন শুধু অনিশ্চিতই নয়, আগামী নির্বাচনে যদি আরও খারাপ কিছু ঘটে, সেজন্য আওয়ামী লীগ দায়ী হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি বিএনপির মহাসচিব। আমি যে এলাকায় গেছি, সে এলাকায় আমার গাড়ির ওপর আক্রমণ হয়েছে, আমার বহরের ওপর আক্রমণ হয়েছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে। নির্বাচনের তিন দিন আগে আমার যারা সবচেয়ে নেতৃস্থানীয় নির্বাচন কর্মী, তাদের ১৪ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের ঠিক সাত-আট দিন আগে আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে তাদের নির্বাচনী অফিসগুলোতে নিজেরাই আগুন লাগিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়ে মামলা দিয়েছে। এটা শুধু ঠাকুরগাঁওয়ে নয়, সব জায়গায় এটা হয়েছে।’

গত নির্বাচনের শেষ দিকে নানা অভিযোগ নিয়ে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এমন ব্যবহার করলেন যে কামাল হোসেনকে সেখানে টেবিল থাপড়ে বের হয়ে আসতে হয়েছে। আমরা বের হয়ে এসেছি।’ প্রধানমন্ত্রীকে প্রবল প্রতাপশালী বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।

বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩ , ৩০ ফাল্গুন ১৪২৯, ২২ শবান ১৪৪৪

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরাও সংলাপ করবো না : ফখরুল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

কথা দিয়ে কথা না রাখা ‘স্বঘোষিত’ প্রতাপশালী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোন সংলাপ করবো না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘তার (প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গে আমরাও কোন সংলাপ করবো না। কারণ, তিনি কথা দিয়ে কথা রাখেন না। ২০১৮ সালের সংলাপে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আর কোন গ্রেপ্তার (বিএনপি কর্মীদের) হবে না, পুলিশি হয়রানি হবে না, গায়েবি মামলা হবে না।’ কিন্তু এর তিন দিন পর থেকে আমাদের প্রার্থীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে।

ফখরুল আরও বলেন, ‘আমাদের অনির্বাচিত, প্রতাপশালী প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নো প্রেশার উইল ওয়ার্ক অন মি। তার ওপর কোন চাপই কাজ করবে না। এখানেই বোঝা যায়, তার এই উক্তিতে এই দেশের প্রতি তার কোন দায়িত্ব নেই, সত্যিকার অর্থে একটা কার্যকর রাষ্ট্র করার যে চিন্তা এটা তার নেই। এই চাপগুলো কোথা থেকে আসবে? কারণ, গত নির্বাচনে তারা যত রকমের জালিয়াতি আছে ও যত রকমের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আছে, সেগুলোর মাধ্যমে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়ে ফল ঘোষণা করে বেআইনিভাবে ক্ষমতায় গেছে।’

গতকাল গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। বিদেশিরা ‘এই প্রেশারগুলো করছে কেন?’ এমন প্রশ্ন তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রেশারগুলোর কারণ হচ্ছে গত দুটি নির্বাচন তারা করেছেন সম্পূর্ণভাবে একতরফাভাবে। যত রকমের ভোট জালিয়াতি, কারচুপি, সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে ভোটারশূন্য রেখে ফলাফল ঘোষণা করে বেআইনিভাবে তারা ক্ষমতায় গেছে। আজকে যখন আবার নির্বাচন আসছে, এখন তারা দেখছেন জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবেন না। এ কারণে তারা আগে থেকেই একটা অবস্থা তৈরি করছেন। সেটা হচ্ছে আমাদের দেশের নির্বাচনের ব্যাপারে কেউ বাইরে থেকে হস্তক্ষেপ করবে না, কেউ কথা বলবে না, আমরা আমাদের মতো করব।’

প্রধানমন্ত্রীর গতকালের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার খুব কষ্ট হয়, এ রকম একজন বিশাল মানুষের... আমরা কেউ বলি না বলি এটা তো সত্য কথা যে শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের নিঃসন্দেহে ওয়ান অব দ্য গ্রেটেস্ট সান। তার মেয়ে আজকে গোটা জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। উনিও দিয়েছিলেন বাকশাল তৈরি করে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এতই যদি সাহস থাকে, আপনাদের এতই যদি উন্নয়ন করে থাকেন, এতই যদি জনগণের ভালোবাসা থাকে, আপনি রিজাইন করেন। একটা কেয়ারটেকার গর্ভমেন্টকে দায়িত্ব দেন, নির্বাচন করেন, যে আসবে ক্ষমতায় আমরা মাথা পেতে নেব।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কার সঙ্গে কথা বলবো, কার সঙ্গে সংলাপ করবো। এটার রেজাল্ট কী?’ আমাদেরও (বিএনপি) প্রশ্ন একটাই, রেজাল্ট কী? আজকের এই প্রধানমন্ত্রী, তিনি যেভাবেই ক্ষমতায় আসুক, তিনি সবার সামনে ওয়াদা করেছেন নির্বাচনে সরকার কোন হস্তক্ষেপ করবে না, পুলিশ আর গ্রেপ্তার করবে না, কোন মামলা দেবে না। নির্বাচন পর্যন্ত কোন পুলিশি হয়রানি করা হবে না। তার তিন দিন পরেই পুলিশি নির্যাতনে সারাদেশে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা ঘরবাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। ঘরে ও রাস্তায় থাকতে পারেনি। আমি বিএনপি মহাসচিব, আমার গাড়িতে হামলা করা হয়েছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে। আমার বাড়ির চারপাশে অবস্থান নিয়েছে পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। এসবের পর শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের রেজাল্ট কী?’ রেজাল্ট কী তা তো আপনি জানেন।’

ফখরুল বলেন, ‘তারপর তিনি কী করে আশা করেন, প্রধানমন্ত্রী সরকারে থাকবেন, আর রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে? আজকে শুধু বিএনপি নয়, সব রাজনৈতিক দল বলছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। এমনকি সিপিবিও বলেছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না।’

এ পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে যাচ্ছে কি না, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুঝে নেন। আমরা তো আর ছাড় দেব না। এই দেশের মানুষের এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অবশ্যই আগামী নির্বাচনকে অনিশ্চিত করে দিয়েছে। আগামী নির্বাচন শুধু অনিশ্চিতই নয়, আগামী নির্বাচনে যদি আরও খারাপ কিছু ঘটে, সেজন্য আওয়ামী লীগ দায়ী হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি বিএনপির মহাসচিব। আমি যে এলাকায় গেছি, সে এলাকায় আমার গাড়ির ওপর আক্রমণ হয়েছে, আমার বহরের ওপর আক্রমণ হয়েছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে। নির্বাচনের তিন দিন আগে আমার যারা সবচেয়ে নেতৃস্থানীয় নির্বাচন কর্মী, তাদের ১৪ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের ঠিক সাত-আট দিন আগে আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে তাদের নির্বাচনী অফিসগুলোতে নিজেরাই আগুন লাগিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়ে মামলা দিয়েছে। এটা শুধু ঠাকুরগাঁওয়ে নয়, সব জায়গায় এটা হয়েছে।’

গত নির্বাচনের শেষ দিকে নানা অভিযোগ নিয়ে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এমন ব্যবহার করলেন যে কামাল হোসেনকে সেখানে টেবিল থাপড়ে বের হয়ে আসতে হয়েছে। আমরা বের হয়ে এসেছি।’ প্রধানমন্ত্রীকে প্রবল প্রতাপশালী বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।