ফরিদপুরের পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র

২৬ বছরেও কাক্সিক্ষত সেবা দিতে পারেনি

ফরিদপুরে আধুনিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (বিএসএমএমসি) পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র বা ‘ইনস্টিটিউট অব নিউরো মেডিসিন সায়েন্স’ (ইনমাস) স্থাপিত হয় ১৯৯৭ সালে। তবে কেন্দ্রটি স্থাপনের পর থেকে দীর্ঘ ২৬ বছওে আশানুরূপ সেবাই পাননি রোগীরা। এখন পর্যন্ত চালুই করা যায়নি ক্যানসার ইউনিট। তাই রোগীরা দুর্ভোগ আর হতাশা নিয়ে চিকিৎসা নিতে যায় ঢাকায় না হয় ছুটছেন দেশের বাইরে। এতে প্রতি বছর সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারালেও সমস্যার সমাধান হয়নি। অবশ্য আগামী অর্থবছরে দেশের পাঁচটি পরমাণ চিকিৎসা কেন্দ্রে আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।

যেটুকু সেবা পাওয়ার কথা ছিল যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে থাকায় সেটুকুও ভাগ্যে জুটছে না এই পরমাণ চিকিৎসা কেন্দ্রের বিশেষায়িত চিকিৎসা থেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তেজষ্ক্রিয়তা ব্যবহার করে রোগ নির্ণয় ও রোগের চিকিৎসাকে বলা হচ্ছে নিউক্লিয়ার মেডিসিন। এ উপায়ে ক্যানসার, থাইরয়েডসহ নানা জটিল রোগ স্বল্প সময়ে সহজে সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হয়। দেশের ১৭ ইনস্টিটিউটে বর্তমানে এ সেবা চালু আছে। আরও আটটি ইনস্টিটিউট নির্মাণের কাজ চলছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের তত্ত্বাবধানে এ প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয়।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র বা ইনস্টিটিউট অব নিউরো মেডিসিন সায়েন্স (ইনমাস) স্থাপনের পর থেকে এখানে স্পেক্টগামা ক্যামেরা, প্লানারগামা ক্যামেরা, থাইরয়েড আপটেক সিস্টেম, বোনমিনারেল ডেনসিটোমিটার, আল্ট্রাসনোগ্রাম, কালারডপলার, দ্বি/ত্রিমাত্রিক আল্ট্রাসনোগ্রাম, সুসজ্জিত ল্যাবরেটরি থাকার কথা থাকলেও জনবল ও অন্যান্য নানা সমস্যার কারণে বেশিরভাগ সময়ে কাক্সিক্ষত সেবা মিলেনি।

ফরিদপুর ইনমাসের পরিচালক ডা. শংকর কুমার দে জানান, ইনমাসের স্ক্যানিং মেশিন ছয় মাস ধরে বন্ধ হয়ে আছে। মেশিনটির আর সার্ভিসিং করা যাবে না বলে কোম্পানি জানিয়েছে। ফরিদপুরে ক্যানসার নির্ণয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সিটিস্ক্যান মেশিনও নেই। তাই ক্যানসার, থাইরয়েডের মতো জটিল রোগে আক্রান্তদের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে হয়। ঢাকায় রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় সিরিয়াল পেতে দেরি হয়, খরচও অনেক বেড়ে যায়।

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ২৫ বছওে ফরিদপুরের পরমাণ চিকিৎসা কেন্দ্রের এখানে প্রায় আড়াই লাখ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। বাইরের তুলনায় তাদের কম খরচ গুনতে হয়েছে। বর্তমানে অন্যত্র চিকিৎসা নিতে গিয়ে এখানকার রোগীদেও কয়েকশ’ গুণ বেশি অর্থ গুনতে হয়েছে। এক শ্রেণীর মুনাফলোভীদের সুবিধার্থেই এসব যন্ত্রপাতি বেশিরভাগ সময় বিকল থাকে বলেও রোগীরা অভিযোগ করেন। বেসরকারি ক্লিনিকের চেয়ে এখানে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা পাওয়া যায় বলে তারা পরমাণু সেবা ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নের পাশাপাশি আধুনিক মানের পিইটি-সিটি, বিএমডি, থাইরয়েড গামাক্যামেরা, থাইরয়েড আপটেক এবং কালার ডপলার মেশিন স্থাপনের দাবি জানান। এতে গ্রামের দরিদ্র মানুষ কম খরচে জেলা শহরে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের মাধ্যমে উন্নত সেবা পাবে।

জানা যায়, কম খরচে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের মাধ্যমে রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকার মিটফোর্ড, কুমিল্লা, ফরিদপুর, বরিশাল ও বগুড়ার আইএনএমএএসের আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে এসব কেন্দ্রের রোগ নির্ণয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা উন্নত করা হবে। এজন্য ২১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন ২০২৫ সালের মধ্যে এ কাজ শেষ করার লক্ষ্যে রয়েছে। অনুমোদন পেলে আগামী অর্থবছরে শুরু হবে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ।

এদিকে, ফরিদপুরের বিএসএমএমসি হাসপাতালের ক্যানসার ইউনিটের জন্য কোটি কোটি টাকা দামের মূল্যবান যন্ত্র কেনার পর সেগুলো অব্যবহৃত অবস্থাতেই অচল হয়ে পড়লেও এখনও চালুই করা যায়নি ক্যানসার চিকিৎসা। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকায় গত প্রায় এক যুগেও ফরিদপুরে ক্যানসার রোগীদের সুচিকিৎসা প্রদানের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি।

জানা গেছে, বিএসএমএমসিএইচ-এর জন্য একটি ক্যানসার ইউনিট তৈরির প্রকল্প শুরু হয় ২০১১-১২ অর্থবছরে। এরপর হাসপাতালের দক্ষিণে একটি ভবন নির্মাণ করা হয় এবং ২০১৬ সালে ক্যানসার ইউনিটের জন্য ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ‘লিনিয়ারএক্সিলারেটর’ মেশিন কেনা হয়।

তবে যন্ত্রপাতি চালু করা যায়নি। এটি পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জাম ও জনবল নেই। একটি ‘সিটিসিমুলেটর’ সংগ্রহ করা হলেও এটি স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েই পড়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।

বিএসএমএমসির ক্যানসার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোনাইম মোল্যা বলেন, ক্যানসার ইউনিট পরিচালনার জন্য চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ডবয়সহ অন্তত ২০ জনের প্রয়োজন। যা এখানে নেই। ফরিদপুরের বিএসএমএমসি হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের সুবিধার্থে ক্যানসার ইউনিটটি চালু করার জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার চিঠি পাঠিয়েছি। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল চেয়েছি। এসব পেলে হয়তো ইউনিটটি সচল করতে পারবো।

বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩ , ৩০ ফাল্গুন ১৪২৯, ২২ শবান ১৪৪৪

ফরিদপুরের পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র

২৬ বছরেও কাক্সিক্ষত সেবা দিতে পারেনি

প্রতিনিধি, ফরিদপুর

image

ফরিদপুরে আধুনিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (বিএসএমএমসি) পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র বা ‘ইনস্টিটিউট অব নিউরো মেডিসিন সায়েন্স’ (ইনমাস) স্থাপিত হয় ১৯৯৭ সালে। তবে কেন্দ্রটি স্থাপনের পর থেকে দীর্ঘ ২৬ বছওে আশানুরূপ সেবাই পাননি রোগীরা। এখন পর্যন্ত চালুই করা যায়নি ক্যানসার ইউনিট। তাই রোগীরা দুর্ভোগ আর হতাশা নিয়ে চিকিৎসা নিতে যায় ঢাকায় না হয় ছুটছেন দেশের বাইরে। এতে প্রতি বছর সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারালেও সমস্যার সমাধান হয়নি। অবশ্য আগামী অর্থবছরে দেশের পাঁচটি পরমাণ চিকিৎসা কেন্দ্রে আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।

যেটুকু সেবা পাওয়ার কথা ছিল যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে থাকায় সেটুকুও ভাগ্যে জুটছে না এই পরমাণ চিকিৎসা কেন্দ্রের বিশেষায়িত চিকিৎসা থেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তেজষ্ক্রিয়তা ব্যবহার করে রোগ নির্ণয় ও রোগের চিকিৎসাকে বলা হচ্ছে নিউক্লিয়ার মেডিসিন। এ উপায়ে ক্যানসার, থাইরয়েডসহ নানা জটিল রোগ স্বল্প সময়ে সহজে সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হয়। দেশের ১৭ ইনস্টিটিউটে বর্তমানে এ সেবা চালু আছে। আরও আটটি ইনস্টিটিউট নির্মাণের কাজ চলছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের তত্ত্বাবধানে এ প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয়।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র বা ইনস্টিটিউট অব নিউরো মেডিসিন সায়েন্স (ইনমাস) স্থাপনের পর থেকে এখানে স্পেক্টগামা ক্যামেরা, প্লানারগামা ক্যামেরা, থাইরয়েড আপটেক সিস্টেম, বোনমিনারেল ডেনসিটোমিটার, আল্ট্রাসনোগ্রাম, কালারডপলার, দ্বি/ত্রিমাত্রিক আল্ট্রাসনোগ্রাম, সুসজ্জিত ল্যাবরেটরি থাকার কথা থাকলেও জনবল ও অন্যান্য নানা সমস্যার কারণে বেশিরভাগ সময়ে কাক্সিক্ষত সেবা মিলেনি।

ফরিদপুর ইনমাসের পরিচালক ডা. শংকর কুমার দে জানান, ইনমাসের স্ক্যানিং মেশিন ছয় মাস ধরে বন্ধ হয়ে আছে। মেশিনটির আর সার্ভিসিং করা যাবে না বলে কোম্পানি জানিয়েছে। ফরিদপুরে ক্যানসার নির্ণয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সিটিস্ক্যান মেশিনও নেই। তাই ক্যানসার, থাইরয়েডের মতো জটিল রোগে আক্রান্তদের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে হয়। ঢাকায় রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় সিরিয়াল পেতে দেরি হয়, খরচও অনেক বেড়ে যায়।

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ২৫ বছওে ফরিদপুরের পরমাণ চিকিৎসা কেন্দ্রের এখানে প্রায় আড়াই লাখ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। বাইরের তুলনায় তাদের কম খরচ গুনতে হয়েছে। বর্তমানে অন্যত্র চিকিৎসা নিতে গিয়ে এখানকার রোগীদেও কয়েকশ’ গুণ বেশি অর্থ গুনতে হয়েছে। এক শ্রেণীর মুনাফলোভীদের সুবিধার্থেই এসব যন্ত্রপাতি বেশিরভাগ সময় বিকল থাকে বলেও রোগীরা অভিযোগ করেন। বেসরকারি ক্লিনিকের চেয়ে এখানে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা পাওয়া যায় বলে তারা পরমাণু সেবা ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নের পাশাপাশি আধুনিক মানের পিইটি-সিটি, বিএমডি, থাইরয়েড গামাক্যামেরা, থাইরয়েড আপটেক এবং কালার ডপলার মেশিন স্থাপনের দাবি জানান। এতে গ্রামের দরিদ্র মানুষ কম খরচে জেলা শহরে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের মাধ্যমে উন্নত সেবা পাবে।

জানা যায়, কম খরচে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের মাধ্যমে রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকার মিটফোর্ড, কুমিল্লা, ফরিদপুর, বরিশাল ও বগুড়ার আইএনএমএএসের আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে এসব কেন্দ্রের রোগ নির্ণয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা উন্নত করা হবে। এজন্য ২১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন ২০২৫ সালের মধ্যে এ কাজ শেষ করার লক্ষ্যে রয়েছে। অনুমোদন পেলে আগামী অর্থবছরে শুরু হবে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ।

এদিকে, ফরিদপুরের বিএসএমএমসি হাসপাতালের ক্যানসার ইউনিটের জন্য কোটি কোটি টাকা দামের মূল্যবান যন্ত্র কেনার পর সেগুলো অব্যবহৃত অবস্থাতেই অচল হয়ে পড়লেও এখনও চালুই করা যায়নি ক্যানসার চিকিৎসা। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকায় গত প্রায় এক যুগেও ফরিদপুরে ক্যানসার রোগীদের সুচিকিৎসা প্রদানের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি।

জানা গেছে, বিএসএমএমসিএইচ-এর জন্য একটি ক্যানসার ইউনিট তৈরির প্রকল্প শুরু হয় ২০১১-১২ অর্থবছরে। এরপর হাসপাতালের দক্ষিণে একটি ভবন নির্মাণ করা হয় এবং ২০১৬ সালে ক্যানসার ইউনিটের জন্য ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ‘লিনিয়ারএক্সিলারেটর’ মেশিন কেনা হয়।

তবে যন্ত্রপাতি চালু করা যায়নি। এটি পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জাম ও জনবল নেই। একটি ‘সিটিসিমুলেটর’ সংগ্রহ করা হলেও এটি স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েই পড়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।

বিএসএমএমসির ক্যানসার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোনাইম মোল্যা বলেন, ক্যানসার ইউনিট পরিচালনার জন্য চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ডবয়সহ অন্তত ২০ জনের প্রয়োজন। যা এখানে নেই। ফরিদপুরের বিএসএমএমসি হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের সুবিধার্থে ক্যানসার ইউনিটটি চালু করার জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার চিঠি পাঠিয়েছি। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল চেয়েছি। এসব পেলে হয়তো ইউনিটটি সচল করতে পারবো।