করোনা কড়চা, একটি প্রয়োজনীয় গ্রন্থ

‘করোনা করচা’ বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় গ্রন্থ। গ্রন্থটি প্রকাশ করে লেখক আপামর মানুষের করোনাসংক্রান্ত সচেতনতা সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। গ্রন্থটি পাঠ করলে প্রতিটি রচনাই পাঠককে সচেতন ও সমৃদ্ধ করবে। করোনা মহামারি নিয়ে অনেক গ্রন্থ রচিত হয়েছে, অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে; তবে একজন চিকিৎসকের গ্রন্থাকারে প্রকাশিত বক্তব্যগুলো নিঃসন্দেহে আলাদা গুরত্ব বহন করে। ‘করোনা করচা’ গ্রন্থটির লেখক অধ্যাপক ডাঃ একেএম. আজিজুল হক। গ্রন্থটি এবছরের বইমেলায় প্রকাশ করেছে নয়নজুলি পাবলিকেশন।

গ্রন্থটির ভূমিকায় অপর এক চিকিৎসক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “করোনার সময় তথা সমকালীন ভাবনা, নিঃসন্দেহে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে আলোড়িত করবে। এই করোনার সময়কে খুব সুন্দরভাবে আন্তরিকতার সাথে লেখনির মাধ্যমে ধরে রেখেছেন অধ্যাপক ডাঃ একেএম. আজিজুল হক। তার ‘করোনা কড়চা’ শিরোনামে লেখা বইটিতে সেই সময়ের অনেক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা-দুঃখ-বেদনা-লড়াই-ভালোবাসার কাহিনি চমৎকারভাবে বিবৃত হয়েছে।”

করোনাকালে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অনেক চিকিৎসকও মারা গিয়েছেন। ফ্রন্টলাইনে থেকে দেশের মানুষের সেবা দিতে গিয়ে জীবন উৎসর্গের ঘটনা ঘটেছে। লেখক তাঁর এই গ্রন্থের লেখাগুলো প্রতিদিন ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। তার শুভাকাক্ষী বন্ধুরা তাকে আপডেট দিয়েছেন। সহযোগিতা করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এ বইটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ বলা চলে। লেখক তার প্রাককথনে লিখেছেন, “ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যারা করোনা মহামারীর পর জন্মগ্রহণ করেছে বা ভবিষ্যতে জন্মগ্রহণ করবে তাদের জন্য আমার প্রণীত এ বইটি করোনা মহামারীর সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে সহায়ক হবে। যাঁরা এই দুরবস্থার শিকার, তাঁরা বইটি পরে অতীতের অভিজ্ঞতা স্মৃতিচারণ করতে পারবেন।”

গ্রন্থটি আলাদা আলাদা অধ্যায়ে বিভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে। দুচারটি শিরোনাম যেমন- করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করতে পারার আক্ষেপ, করোনা আক্রান্তের শংকায় দিনাতিপাত, করোনায় আর মৃত্যু চাই না প্রভৃতি।

বইটি ব্যাপক মানুষের কাছে পৌঁছে গেলে, তারা নিজেরাই উপকৃত হবেন সন্দেহ নেই। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মোমিন উদ্দীন খালেদ।

- সাময়িকী প্রতিবেদক

বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩ , ০২ চৈত্র ১৪২৯, ২৪ শবান ১৪৪৪

করোনা কড়চা, একটি প্রয়োজনীয় গ্রন্থ

image

‘করোনা করচা’ বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় গ্রন্থ। গ্রন্থটি প্রকাশ করে লেখক আপামর মানুষের করোনাসংক্রান্ত সচেতনতা সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। গ্রন্থটি পাঠ করলে প্রতিটি রচনাই পাঠককে সচেতন ও সমৃদ্ধ করবে। করোনা মহামারি নিয়ে অনেক গ্রন্থ রচিত হয়েছে, অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে; তবে একজন চিকিৎসকের গ্রন্থাকারে প্রকাশিত বক্তব্যগুলো নিঃসন্দেহে আলাদা গুরত্ব বহন করে। ‘করোনা করচা’ গ্রন্থটির লেখক অধ্যাপক ডাঃ একেএম. আজিজুল হক। গ্রন্থটি এবছরের বইমেলায় প্রকাশ করেছে নয়নজুলি পাবলিকেশন।

গ্রন্থটির ভূমিকায় অপর এক চিকিৎসক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “করোনার সময় তথা সমকালীন ভাবনা, নিঃসন্দেহে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে আলোড়িত করবে। এই করোনার সময়কে খুব সুন্দরভাবে আন্তরিকতার সাথে লেখনির মাধ্যমে ধরে রেখেছেন অধ্যাপক ডাঃ একেএম. আজিজুল হক। তার ‘করোনা কড়চা’ শিরোনামে লেখা বইটিতে সেই সময়ের অনেক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা-দুঃখ-বেদনা-লড়াই-ভালোবাসার কাহিনি চমৎকারভাবে বিবৃত হয়েছে।”

করোনাকালে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অনেক চিকিৎসকও মারা গিয়েছেন। ফ্রন্টলাইনে থেকে দেশের মানুষের সেবা দিতে গিয়ে জীবন উৎসর্গের ঘটনা ঘটেছে। লেখক তাঁর এই গ্রন্থের লেখাগুলো প্রতিদিন ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। তার শুভাকাক্ষী বন্ধুরা তাকে আপডেট দিয়েছেন। সহযোগিতা করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এ বইটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ বলা চলে। লেখক তার প্রাককথনে লিখেছেন, “ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যারা করোনা মহামারীর পর জন্মগ্রহণ করেছে বা ভবিষ্যতে জন্মগ্রহণ করবে তাদের জন্য আমার প্রণীত এ বইটি করোনা মহামারীর সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে সহায়ক হবে। যাঁরা এই দুরবস্থার শিকার, তাঁরা বইটি পরে অতীতের অভিজ্ঞতা স্মৃতিচারণ করতে পারবেন।”

গ্রন্থটি আলাদা আলাদা অধ্যায়ে বিভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে। দুচারটি শিরোনাম যেমন- করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করতে পারার আক্ষেপ, করোনা আক্রান্তের শংকায় দিনাতিপাত, করোনায় আর মৃত্যু চাই না প্রভৃতি।

বইটি ব্যাপক মানুষের কাছে পৌঁছে গেলে, তারা নিজেরাই উপকৃত হবেন সন্দেহ নেই। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মোমিন উদ্দীন খালেদ।

- সাময়িকী প্রতিবেদক