যুক্তরাষ্ট্রের মতো ব্যাংক বন্ধ করে দেয়ার পর্যায়ে আসেনি বাংলাদেশ : মশিউর রহমান

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে আর্থিক খাতের দুর্বলতা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের মতো ব্যাংক বন্ধ করে দেয়ার পর্যায়ে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। গতকাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটিজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

তিন দিনের মাথায় দুটি ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে এ ধরনের কোন শঙ্কা ও বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মশিউর রহমানের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘যেটা ফেল করেছে, এটা একটা সত্য ঘটনা। যেটা ফেল করেনি তার দুর্বলতা থাকতে পারে। আমাদের ব্যাংকের আর্থিক খাতের দুর্বলতা থাকতে পারে, কিন্তু সেই দুর্বলতা এখনও সেই পর্যায় পৌঁছেনি।’

রিজার্ভের পরিমাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মশিউর রহমান বলেন, ‘রিজার্ভটাকে দেখতে হবে, আমদানির জন্য কতো ব্যয় হবে তার একটা প্রজেক্টর। রপ্তানি থেকে রেমিট্যান্স কতো আয় করতে পারব সেটা দেখতে হবে। আয়-ব্যয়ের সম্পর্ককে লক্ষ্য করে নির্ভর করে রিজার্ভ কত হবে। বিনিময় হারটা একটা সহনশীল স্থিতিশীল পর্যায়ে রাখতে হবে। সেজন্য রিজার্ভটা খুব বেশি নেমে যাওয়া ঠিক না আবার খুব বেশি রাখাও ঠিক না। আবার সোর্স ব্যবহার না করে রেখে দেবেন, দুটোর কোনোটাই ঠিক না। তবে এ সংখ্যাটা অর্থনীতির অবস্থার সঙ্গে কিছু কম বেশি হয়।’

দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘বিনিয়োগের জন্য ব্যবস্থা আছে এবং ব্যবস্থা নেই। এটা নির্ভর করে কী পণ্য উৎপাদনে বিনিয়োগ করতে চাওয়ার ওপর। যদি বাংলাদেশে কেউ মনে করে ইলেকট্রিক গাড়িতে বিনিয়োগ করার মতো তার ক্ষমতা আছে অথবা সে সুযোগ সে পেয়েছে, কিন্তু এটাতে বিনিয়োগ করার মতো যথেষ্ঠ সুযোগ নেই।

কারণ বাংলাদেশে উঁচু প্রযুক্তির পণ্যের বাজারটা খুব ছোট। বাইরে পাঠাতে গেলে অন্যদের সঙ্গে কমপিট (প্রতিযোগিতা) করতে হবে। অতএব এটা আছে, এটা নেই।’

মশিউর রহমান বলেন, ‘যদি কেউ শিল্প বা ব্যবসা-বাণিজ্য করে সম্পদ তৈরি করে তাহলে সে সম্পদের বিনিয়োগের সুযোগ থাকতে হবে। যদি আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় সম্পদ আহরণ করে তাহলে মূল্য সঠিক রাখার জন্য আমাদের এক্সচেঞ্জ রেট যেটা আছে, বিনিময় হারটা স্থিতিশীল কিন্তু বাস্তবসম্মত রাখতে হবে।’

বিআইআইএসএসের ‘গিগ ইকোনোমি অ্যান্ড বাংলাদেশ : অপরচুনিটিজ, চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন পলিসি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন।

আরও খবর
১০ দিনে ৬৮ কোটি ২৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স
অন্য দেশের ব্যবসায়ীরা রজমানে ছাড় দেয়, বাংলাদেশে তার উল্টো : বাণিজ্যমন্ত্রী
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গার্মেন্ট শ্রমিকদের আন্দোলন
‘গ্রাহকদের টাকা সরিয়ে নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে না’
ঢাকা মোটর শোতে অংশগ্রহণ করছে পদ্মা ব্যাংক
সোনালী ব্যাংকে ২৪ ঘণ্টা কল সেন্টার সেবা চালু
অগ্রণী ব্যাংকে ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা-২০২৩
ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠালে পুরস্কার
এবি ব্যাংকের তাজমহল রোড উপশাখা উদ্বোধন
বেসিক ব্যাংকে ‘ম্যাগপাই’ অ্যাপ উদ্বোধন
এক্সিম ব্যাংকের নেতৃত্বে ফেনীতে স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের উপশাখা উদ্বোধন

বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩ , ০২ চৈত্র ১৪২৯, ২৪ শবান ১৪৪৪

যুক্তরাষ্ট্রের মতো ব্যাংক বন্ধ করে দেয়ার পর্যায়ে আসেনি বাংলাদেশ : মশিউর রহমান

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে আর্থিক খাতের দুর্বলতা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের মতো ব্যাংক বন্ধ করে দেয়ার পর্যায়ে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। গতকাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটিজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

তিন দিনের মাথায় দুটি ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে এ ধরনের কোন শঙ্কা ও বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মশিউর রহমানের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘যেটা ফেল করেছে, এটা একটা সত্য ঘটনা। যেটা ফেল করেনি তার দুর্বলতা থাকতে পারে। আমাদের ব্যাংকের আর্থিক খাতের দুর্বলতা থাকতে পারে, কিন্তু সেই দুর্বলতা এখনও সেই পর্যায় পৌঁছেনি।’

রিজার্ভের পরিমাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মশিউর রহমান বলেন, ‘রিজার্ভটাকে দেখতে হবে, আমদানির জন্য কতো ব্যয় হবে তার একটা প্রজেক্টর। রপ্তানি থেকে রেমিট্যান্স কতো আয় করতে পারব সেটা দেখতে হবে। আয়-ব্যয়ের সম্পর্ককে লক্ষ্য করে নির্ভর করে রিজার্ভ কত হবে। বিনিময় হারটা একটা সহনশীল স্থিতিশীল পর্যায়ে রাখতে হবে। সেজন্য রিজার্ভটা খুব বেশি নেমে যাওয়া ঠিক না আবার খুব বেশি রাখাও ঠিক না। আবার সোর্স ব্যবহার না করে রেখে দেবেন, দুটোর কোনোটাই ঠিক না। তবে এ সংখ্যাটা অর্থনীতির অবস্থার সঙ্গে কিছু কম বেশি হয়।’

দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘বিনিয়োগের জন্য ব্যবস্থা আছে এবং ব্যবস্থা নেই। এটা নির্ভর করে কী পণ্য উৎপাদনে বিনিয়োগ করতে চাওয়ার ওপর। যদি বাংলাদেশে কেউ মনে করে ইলেকট্রিক গাড়িতে বিনিয়োগ করার মতো তার ক্ষমতা আছে অথবা সে সুযোগ সে পেয়েছে, কিন্তু এটাতে বিনিয়োগ করার মতো যথেষ্ঠ সুযোগ নেই।

কারণ বাংলাদেশে উঁচু প্রযুক্তির পণ্যের বাজারটা খুব ছোট। বাইরে পাঠাতে গেলে অন্যদের সঙ্গে কমপিট (প্রতিযোগিতা) করতে হবে। অতএব এটা আছে, এটা নেই।’

মশিউর রহমান বলেন, ‘যদি কেউ শিল্প বা ব্যবসা-বাণিজ্য করে সম্পদ তৈরি করে তাহলে সে সম্পদের বিনিয়োগের সুযোগ থাকতে হবে। যদি আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় সম্পদ আহরণ করে তাহলে মূল্য সঠিক রাখার জন্য আমাদের এক্সচেঞ্জ রেট যেটা আছে, বিনিময় হারটা স্থিতিশীল কিন্তু বাস্তবসম্মত রাখতে হবে।’

বিআইআইএসএসের ‘গিগ ইকোনোমি অ্যান্ড বাংলাদেশ : অপরচুনিটিজ, চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন পলিসি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন।