ধীরগতির আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প জুনের মধ্যে শেষ করার তোড়জোড়

দীর্ঘ অর্ধদশকের বেশি সময় ধরে বাস্তবায়নাধীন ‘আখাউড়া-আগারতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ (বাংলাদেশ অংশ)’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার তোড়জোড় চালাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। এটি বাংলাদেশ ও ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প। ইতিমধ্যে ভারতের অংশের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ অংশে অগ্রগতির ধীরগতিতে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ।

এখন অব্দি চার দফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। যদিও চলমান চতুর্থ মেয়াদ তথা আগামী জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ করার আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে গতকাল প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া সংবাদকে বলেন, ‘সব মিলিয়ে প্রকল্পের কাজ ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের কাজ এখন দ্রুত গতিতে চলছে। আশা করছি জুনের মধ্যে মধ্যেই কাজ শেষ হবে।’

জানতে চাইলে গতকাল বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম সলিমুল্লাহ বাহার বলেন, আমাদের টার্গেট জুন। ‘এই সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার সব রকম উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ট্রেন চলাচল শুরু বিষয়টি সরকার দেখবেন। বিষয়টি নীতিনির্ধারকরা নির্ধারণ করবেন।’ বলেন সলিমুল্লাহ বাহার।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা রেলস্টেশন থেকে শুরু হয়ে এই রেল পথ বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন পর্যন্ত সাড়ে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশের সাড়ে ৬ কিলোমিটার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনে এসে মিলিত হচ্ছে। বিদ্যমান রেললাইনের পূর্বপাশ দিয়ে? সমান্তরালভাবে আখাউড়া জংশন স্টেশনে গিয়ে তা মিলিত হচ্ছে।

সম্প্রতি এই রেলপথ চালুর বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছিলেন, ‘এখন ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে। সবকিছু প্রস্তুত আছে। আশা করছি, আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ হবে। জুনের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা ও আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।’

সরেজমিনে প্রকল্প পরিদর্শণে যাচ্ছেন দুই দেশের প্রতিনিধি দল

এদিকে আখাউড়া-আগারতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে সরেজমিন পরিদর্শণে যাবেন বাংলাদেশ ও ভারতীয় প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত ‘জয়েন্ট প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটি’। এ নিয়ে গতকাল রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা সুত্রে জানা গেছে, সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ২০ মার্চ দুই দেশের প্রতিনিধিরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রকল্প এলাকা পরিদর্শণ করবেন। সেখানে যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির পরবর্তি সভাও অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া সংবাদকে বলেন, ‘প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ করার লক্ষ্যে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানে বাংলাদেশ ও ভারতীয় প্রতিনিধিরা পরিদর্শন করবেন। স্টিয়ারিং কমিটির ৯ম সভাও রয়েছে। এসব নিয়েই সভায় আলোচনা হয়েছে।’

ওই সভায় অংশ নেয়া রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম সলিমুল্লাহ বাহার সংবাদকে বলেন, ‘মূলত জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ কিভাবে শেষ করা যায় সেজন্যই বিষয়ে দুই দেশের প্রতিনিধিরা পরিদর্শন করবেন।’

ধীরগতির প্রকল্প এক যুগ আগে আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এই সমঝোতা স্মারক সই হয়। স্মারক অনুযায়ী ভারত সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড কন্সট্রাকশন (ইপিসি) ভিত্তিতে এ রেল সংযোগ নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। শুরুতে প্রকল্পের মেয়াদকাল ছিল ১৮ মাস।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। পরে প্রথম দফায় এর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই থেকে ২০২০ সালে ২৯ জানুয়ারি করা হয়। দ্বিতীয়বার মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২৯ জানুয়ারি করা হয়। এই সময় সীমার মধ্যে কাজ শেষ না হওয়া তৃতীয়বার মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২১ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুন ধরা হয়। পরে চতুর্থবারের মতো প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।

প্রকল্পটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আখাউড়া হয়ে ভারতের কলকাতা ও আগরতলা পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপনের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ চালু হবে। ঢাকা হয়ে আগরতলা এবং কলকাতার মধ্যে ভ্রমণের সময় ও দূরত্ব কমিয়ে দেবে। এটি চালু হলে ৩১ ঘন্টার পরিবর্তে সময় লাগবে ১০ ঘন্টা এবং ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার থেকে দূরত্ব কমে হবে ৫৫০ কিলোমিটার। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিবেশি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণেও নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্ক ও উপ-আঞ্চলিক কানেকটিভিটির ক্ষেত্রেও নতুন করিডোর স্থাপিত হবে। ফলে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩ , ০২ চৈত্র ১৪২৯, ২৪ শবান ১৪৪৪

ধীরগতির আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প জুনের মধ্যে শেষ করার তোড়জোড়

মোস্তাফিজুর রহমান

দীর্ঘ অর্ধদশকের বেশি সময় ধরে বাস্তবায়নাধীন ‘আখাউড়া-আগারতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ (বাংলাদেশ অংশ)’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার তোড়জোড় চালাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। এটি বাংলাদেশ ও ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প। ইতিমধ্যে ভারতের অংশের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ অংশে অগ্রগতির ধীরগতিতে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ।

এখন অব্দি চার দফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। যদিও চলমান চতুর্থ মেয়াদ তথা আগামী জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ করার আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে গতকাল প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া সংবাদকে বলেন, ‘সব মিলিয়ে প্রকল্পের কাজ ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের কাজ এখন দ্রুত গতিতে চলছে। আশা করছি জুনের মধ্যে মধ্যেই কাজ শেষ হবে।’

জানতে চাইলে গতকাল বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম সলিমুল্লাহ বাহার বলেন, আমাদের টার্গেট জুন। ‘এই সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার সব রকম উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ট্রেন চলাচল শুরু বিষয়টি সরকার দেখবেন। বিষয়টি নীতিনির্ধারকরা নির্ধারণ করবেন।’ বলেন সলিমুল্লাহ বাহার।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা রেলস্টেশন থেকে শুরু হয়ে এই রেল পথ বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন পর্যন্ত সাড়ে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশের সাড়ে ৬ কিলোমিটার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনে এসে মিলিত হচ্ছে। বিদ্যমান রেললাইনের পূর্বপাশ দিয়ে? সমান্তরালভাবে আখাউড়া জংশন স্টেশনে গিয়ে তা মিলিত হচ্ছে।

সম্প্রতি এই রেলপথ চালুর বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছিলেন, ‘এখন ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে। সবকিছু প্রস্তুত আছে। আশা করছি, আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ হবে। জুনের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা ও আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।’

সরেজমিনে প্রকল্প পরিদর্শণে যাচ্ছেন দুই দেশের প্রতিনিধি দল

এদিকে আখাউড়া-আগারতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে সরেজমিন পরিদর্শণে যাবেন বাংলাদেশ ও ভারতীয় প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত ‘জয়েন্ট প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটি’। এ নিয়ে গতকাল রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা সুত্রে জানা গেছে, সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ২০ মার্চ দুই দেশের প্রতিনিধিরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রকল্প এলাকা পরিদর্শণ করবেন। সেখানে যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির পরবর্তি সভাও অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া সংবাদকে বলেন, ‘প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ করার লক্ষ্যে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানে বাংলাদেশ ও ভারতীয় প্রতিনিধিরা পরিদর্শন করবেন। স্টিয়ারিং কমিটির ৯ম সভাও রয়েছে। এসব নিয়েই সভায় আলোচনা হয়েছে।’

ওই সভায় অংশ নেয়া রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম সলিমুল্লাহ বাহার সংবাদকে বলেন, ‘মূলত জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ কিভাবে শেষ করা যায় সেজন্যই বিষয়ে দুই দেশের প্রতিনিধিরা পরিদর্শন করবেন।’

ধীরগতির প্রকল্প এক যুগ আগে আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এই সমঝোতা স্মারক সই হয়। স্মারক অনুযায়ী ভারত সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড কন্সট্রাকশন (ইপিসি) ভিত্তিতে এ রেল সংযোগ নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। শুরুতে প্রকল্পের মেয়াদকাল ছিল ১৮ মাস।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। পরে প্রথম দফায় এর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই থেকে ২০২০ সালে ২৯ জানুয়ারি করা হয়। দ্বিতীয়বার মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২৯ জানুয়ারি করা হয়। এই সময় সীমার মধ্যে কাজ শেষ না হওয়া তৃতীয়বার মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২১ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুন ধরা হয়। পরে চতুর্থবারের মতো প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।

প্রকল্পটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আখাউড়া হয়ে ভারতের কলকাতা ও আগরতলা পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপনের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ চালু হবে। ঢাকা হয়ে আগরতলা এবং কলকাতার মধ্যে ভ্রমণের সময় ও দূরত্ব কমিয়ে দেবে। এটি চালু হলে ৩১ ঘন্টার পরিবর্তে সময় লাগবে ১০ ঘন্টা এবং ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার থেকে দূরত্ব কমে হবে ৫৫০ কিলোমিটার। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিবেশি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণেও নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্ক ও উপ-আঞ্চলিক কানেকটিভিটির ক্ষেত্রেও নতুন করিডোর স্থাপিত হবে। ফলে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।