শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে একটি পরীক্ষা হয়। সেখানে হয়তো গণিত, বিজ্ঞান বা ভাষা এ জাতীয় বিষয় এবং সাধারণ জ্ঞানের ওপর পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পাওয়া যায়। কিন্তু এখানে (বাংলাদেশে) যারা এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা দিচ্ছে, তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আবারও একই বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিচ্ছে। সেটি না করে ভাষা, গণিত, সাধারণ জ্ঞানের ওপর একটি পরীক্ষা হওয়া উচিত। আর যতক্ষণ না পর্যন্ত সেটিতে যেতে পারছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যমান গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষা ব্যবস্থাপনাকে আরও ভালো করতে হবে।’
গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী তার এ ইচ্ছার কথা বলেন। স্যাট (ঝঅঞ)এর মতো ব্যবস্থাকে ইঙ্গিত করে শিক্ষামন্ত্রী তার এ ইচ্ছার কথা বলেন। একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা গ্রহণের জন্য কতখানি তৈরি, তা মূলত এ পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী মনে করেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে যেতে যত সময় লেগেছে, নতুন পদ্ধতিতে যেতে তত সময় লাগার কথা নয়। উপাচার্যদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সঙ্গে কথা বলে যে ধরনের মতামত পেয়েছেন তাতে মনে হয়, হয়তো অনেক কম সময়েই নতুন পদ্ধতিতে যেতে পারবেন।
এবার পুনর্বিন্যাস করা যে পাঠ্যসূচিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হয়েছে, সেই পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাটি হওয়া উচিত বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে এ বিষয়ে সব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও তারা আলাপ-আলোচনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সঙ্গেও অতি সম্প্রতি আলাপ করেছেন।
দেশে বর্তমানে ৫৩টি সরকারি এবং ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩ , ০২ চৈত্র ১৪২৯, ২৪ শবান ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে একটি পরীক্ষা হয়। সেখানে হয়তো গণিত, বিজ্ঞান বা ভাষা এ জাতীয় বিষয় এবং সাধারণ জ্ঞানের ওপর পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পাওয়া যায়। কিন্তু এখানে (বাংলাদেশে) যারা এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা দিচ্ছে, তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আবারও একই বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিচ্ছে। সেটি না করে ভাষা, গণিত, সাধারণ জ্ঞানের ওপর একটি পরীক্ষা হওয়া উচিত। আর যতক্ষণ না পর্যন্ত সেটিতে যেতে পারছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যমান গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষা ব্যবস্থাপনাকে আরও ভালো করতে হবে।’
গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী তার এ ইচ্ছার কথা বলেন। স্যাট (ঝঅঞ)এর মতো ব্যবস্থাকে ইঙ্গিত করে শিক্ষামন্ত্রী তার এ ইচ্ছার কথা বলেন। একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা গ্রহণের জন্য কতখানি তৈরি, তা মূলত এ পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী মনে করেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে যেতে যত সময় লেগেছে, নতুন পদ্ধতিতে যেতে তত সময় লাগার কথা নয়। উপাচার্যদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সঙ্গে কথা বলে যে ধরনের মতামত পেয়েছেন তাতে মনে হয়, হয়তো অনেক কম সময়েই নতুন পদ্ধতিতে যেতে পারবেন।
এবার পুনর্বিন্যাস করা যে পাঠ্যসূচিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হয়েছে, সেই পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাটি হওয়া উচিত বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে এ বিষয়ে সব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও তারা আলাপ-আলোচনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সঙ্গেও অতি সম্প্রতি আলাপ করেছেন।
দেশে বর্তমানে ৫৩টি সরকারি এবং ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।