পটুয়াখালীর দশমিনায় বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয়, ডোবা ও বিল-ঝিলে পানি কমে যাওয়ার ফলে পলো দিয়ে মাছ শিকারের মহা উৎসব। উপজেলার চরহোসনাবাদ এলাকার খালে এই উৎসব পালিত হয়। উৎসবে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শতাধিক মানুষ অংশ নেয়। এই সময় এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। জানা গেছে, উপজেলার মাছের ক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত আলীপুরা, বাঁশবাড়িয়া, আলীপুরা, বহরমপুর, রনগোপালদী, চরবোরহান, দশমিনা, বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নসহ চরাঞ্চল এখন মাছ শূন্য হয়ে গেছে। এলাকায় বোয়াল, মাগুর, শিং, কৈ, টেংরা, শোল, টাকি, পুটি, গজার, চাপিলা, খৈইলশা, পাবদা, আইড়, চিংড়ি, মলা, বাইন, বেলেসহ অর্ধশতাধিক প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিশেষ করে নদীর মাছ হিসেবে পরিচিত পোয়া, ইলিশ, আইড়, রিটা যার দেখা এখন অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সর্বত্র নিষিদ্ধ ঘোষিত জালের অবাধ ব্যবহার, কৃষি জমিতে সার ও কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহার, বর্ষাকালে প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা মাছসহ পোনা নিধন, শুস্ক মৌসুমে মাছ ধরার প্রবণতা এবং মাছের বিচরণ ক্ষেত্র কমে যাওয়াসহ প্রভৃৃতি কারণে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ফসল হিসেবে পরিচিত মৎস্য সম্পদ আজ বিলুপ্ত হতে চলছে। এছাড়া মাছের প্রজনন মৌসুম ও পোনা মাছের বৃদ্ধিকালীন সময় অবাধে ছোট-বড় মাছ ধরা এবং মৎস্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় মৎস্য সম্পদ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বিগত ২০ বছর আগে গ্রামাঞ্চলে সর্বত্র দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়া গেলেও এখন আর সেই অবস্থা নেই। চাষকৃত মাছের কাছে দেশী প্রজাতির মাছ টিকতে না পেরে হারিয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে দশমিনা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব আলম তালুকদার বলেন, নদীর পানি মিষ্টি। বর্ষা মৌসুমে এই পানি খাল বিলে প্রবেশ করে বিধায় এখানে দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, এক শ্রেণির কৃষক নদীতে পাট পচান এবং ফসলি জমিতে বিষ দেন। এই কারণে প্রাকৃতিক মাছের প্রজনন ক্ষমতা কমে গেছে। দেশি মাছের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রতিটি খাল, বিলসহ জলাশয়ে মাছের অভয়াশ্রম নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক মাছের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ রক্ষার্থে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে।
দশমিনা (পটুয়াখালী) : বিভিন্ন বয়সের মানুষ পলো দিয়ে মাছ শিকারে অংশ নেন -সংবাদ
আরও খবরশুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩ , ০৩ চৈত্র ১৪২৯, ২৪ শবান ১৪৪৪
প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)
দশমিনা (পটুয়াখালী) : বিভিন্ন বয়সের মানুষ পলো দিয়ে মাছ শিকারে অংশ নেন -সংবাদ
পটুয়াখালীর দশমিনায় বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয়, ডোবা ও বিল-ঝিলে পানি কমে যাওয়ার ফলে পলো দিয়ে মাছ শিকারের মহা উৎসব। উপজেলার চরহোসনাবাদ এলাকার খালে এই উৎসব পালিত হয়। উৎসবে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শতাধিক মানুষ অংশ নেয়। এই সময় এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। জানা গেছে, উপজেলার মাছের ক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত আলীপুরা, বাঁশবাড়িয়া, আলীপুরা, বহরমপুর, রনগোপালদী, চরবোরহান, দশমিনা, বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নসহ চরাঞ্চল এখন মাছ শূন্য হয়ে গেছে। এলাকায় বোয়াল, মাগুর, শিং, কৈ, টেংরা, শোল, টাকি, পুটি, গজার, চাপিলা, খৈইলশা, পাবদা, আইড়, চিংড়ি, মলা, বাইন, বেলেসহ অর্ধশতাধিক প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিশেষ করে নদীর মাছ হিসেবে পরিচিত পোয়া, ইলিশ, আইড়, রিটা যার দেখা এখন অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সর্বত্র নিষিদ্ধ ঘোষিত জালের অবাধ ব্যবহার, কৃষি জমিতে সার ও কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহার, বর্ষাকালে প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মা মাছসহ পোনা নিধন, শুস্ক মৌসুমে মাছ ধরার প্রবণতা এবং মাছের বিচরণ ক্ষেত্র কমে যাওয়াসহ প্রভৃৃতি কারণে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ফসল হিসেবে পরিচিত মৎস্য সম্পদ আজ বিলুপ্ত হতে চলছে। এছাড়া মাছের প্রজনন মৌসুম ও পোনা মাছের বৃদ্ধিকালীন সময় অবাধে ছোট-বড় মাছ ধরা এবং মৎস্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় মৎস্য সম্পদ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বিগত ২০ বছর আগে গ্রামাঞ্চলে সর্বত্র দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়া গেলেও এখন আর সেই অবস্থা নেই। চাষকৃত মাছের কাছে দেশী প্রজাতির মাছ টিকতে না পেরে হারিয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে দশমিনা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব আলম তালুকদার বলেন, নদীর পানি মিষ্টি। বর্ষা মৌসুমে এই পানি খাল বিলে প্রবেশ করে বিধায় এখানে দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, এক শ্রেণির কৃষক নদীতে পাট পচান এবং ফসলি জমিতে বিষ দেন। এই কারণে প্রাকৃতিক মাছের প্রজনন ক্ষমতা কমে গেছে। দেশি মাছের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রতিটি খাল, বিলসহ জলাশয়ে মাছের অভয়াশ্রম নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক মাছের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ রক্ষার্থে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে।