প্রয়োজনে চেয়ার ছাড়বে, আপোষ করবে না ইসি : আলমগীর

আমরা যে কাজের জন্য শপথ করেছি সে কাজ করতে না পারলে দায়িত্ব থেকে সরে যাবো তবুও আপস করবো না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

যদি সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়, আপস করতে হলে কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, ‘তখন আমাদের এই চেয়ারে দেখবেন না। আমরা যে কাজের জন্য শপথ করেছি, সেটা যদি না-ই করতে পারি, তাহলে এই চেয়ারে থাকব কেন?’

তিনি এও বলেন, এমন পরিস্থিতি হলে তারা দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন। কোন আপস করবেন না। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’

গতকাল দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এসব কথা বলেন। মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে, আমরা গ্যারান্টি দিচ্ছি। আমরা যতক্ষণ আছি এই চেয়ারে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করে যাব।’

এটি পুরো কমিশনের মনোভাব, এমনটা জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব না, এটা বিশ্বাস করি না। আপনারা যদি হাইপোথিটিক্যালি বলেন যে এটা সম্ভব নয়, তখন আমরা সে দায়িত্ব পালন করব না।’

দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ভোট করা সম্ভব বলে মনে করেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, কমিশন চাইলে সেটা সম্ভব। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হয়। এটা নির্ভর করে নির্বাচন কমিশন কতটা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে, তার ওপর। তিনি বলেন, অতীতে ইসি কেন পারেনি, সেটা অতীতের কমিশন বলতে পারবে। আগের কমিশন আর বর্তমান কমিশনের মানুষ ভিন্ন। তাদের আচরণের সঙ্গে এদের আচরণ মিলবে না। সংকট দূর করতে ইসি সংলাপের দায়িত্ব নেবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘সংবিধান কি সেই দায়িত্ব আমাদের দিয়েছে? আমাদের বিভিন্ন অংশীজন, সুশীল সমাজের মতামত নেয়ার ক্ষমতা তো দেয়া আছে। এখন আর হচ্ছে না। হয়তো পরবর্তী সময়ে হতে পারে। সংলাপ সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হতে পারে, আবার কোন কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও হতে পারে।’

প্রশাসন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘গাইবান্ধা উপনির্বাচন তার বড় উদাহরণ। প্রশাসনে যারা কাজ করেছিলেন, যাদের গাফিলতি পাওয়া গেছে বা যারা অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা চিঠি দিয়েছি এবং সেটা মনিটরিং করেছি। কতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ইত্যাদি আমরা দু-এক সপ্তাহ পরপরই মনিটর করছি। প্রার্থীর সংশ্লিষ্টতা তো আমরা বলতে পারি না। যারা জড়িত ছিল, তারা প্রার্থীর কথা বলে নাই। তারা কেন বলল না, সেটাই তো রহস্য।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে ভোট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকা। নির্বাচনে যারা অংশ নেবেন, তারা স্বাধীনভাবে যাতে প্রচার করতে পারেন, ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ইচ্ছেমতো পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, ভোট গণনা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, নির্বাচনের ফলাফলে যেন সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় ভোটারদের ইচ্ছা, সেটা ইসির দায়িত্ব। সে দায়িত্ব পালনে তাদের শতভাগ অঙ্গীকার রয়েছে। তারা সেটা করবেন।

শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩ , ০৩ চৈত্র ১৪২৯, ২৪ শবান ১৪৪৪

প্রয়োজনে চেয়ার ছাড়বে, আপোষ করবে না ইসি : আলমগীর

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আমরা যে কাজের জন্য শপথ করেছি সে কাজ করতে না পারলে দায়িত্ব থেকে সরে যাবো তবুও আপস করবো না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

যদি সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়, আপস করতে হলে কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, ‘তখন আমাদের এই চেয়ারে দেখবেন না। আমরা যে কাজের জন্য শপথ করেছি, সেটা যদি না-ই করতে পারি, তাহলে এই চেয়ারে থাকব কেন?’

তিনি এও বলেন, এমন পরিস্থিতি হলে তারা দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন। কোন আপস করবেন না। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’

গতকাল দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এসব কথা বলেন। মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে, আমরা গ্যারান্টি দিচ্ছি। আমরা যতক্ষণ আছি এই চেয়ারে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করে যাব।’

এটি পুরো কমিশনের মনোভাব, এমনটা জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব না, এটা বিশ্বাস করি না। আপনারা যদি হাইপোথিটিক্যালি বলেন যে এটা সম্ভব নয়, তখন আমরা সে দায়িত্ব পালন করব না।’

দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ভোট করা সম্ভব বলে মনে করেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, কমিশন চাইলে সেটা সম্ভব। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হয়। এটা নির্ভর করে নির্বাচন কমিশন কতটা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে, তার ওপর। তিনি বলেন, অতীতে ইসি কেন পারেনি, সেটা অতীতের কমিশন বলতে পারবে। আগের কমিশন আর বর্তমান কমিশনের মানুষ ভিন্ন। তাদের আচরণের সঙ্গে এদের আচরণ মিলবে না। সংকট দূর করতে ইসি সংলাপের দায়িত্ব নেবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘সংবিধান কি সেই দায়িত্ব আমাদের দিয়েছে? আমাদের বিভিন্ন অংশীজন, সুশীল সমাজের মতামত নেয়ার ক্ষমতা তো দেয়া আছে। এখন আর হচ্ছে না। হয়তো পরবর্তী সময়ে হতে পারে। সংলাপ সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হতে পারে, আবার কোন কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও হতে পারে।’

প্রশাসন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘গাইবান্ধা উপনির্বাচন তার বড় উদাহরণ। প্রশাসনে যারা কাজ করেছিলেন, যাদের গাফিলতি পাওয়া গেছে বা যারা অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা চিঠি দিয়েছি এবং সেটা মনিটরিং করেছি। কতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ইত্যাদি আমরা দু-এক সপ্তাহ পরপরই মনিটর করছি। প্রার্থীর সংশ্লিষ্টতা তো আমরা বলতে পারি না। যারা জড়িত ছিল, তারা প্রার্থীর কথা বলে নাই। তারা কেন বলল না, সেটাই তো রহস্য।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে ভোট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকা। নির্বাচনে যারা অংশ নেবেন, তারা স্বাধীনভাবে যাতে প্রচার করতে পারেন, ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ইচ্ছেমতো পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, ভোট গণনা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, নির্বাচনের ফলাফলে যেন সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় ভোটারদের ইচ্ছা, সেটা ইসির দায়িত্ব। সে দায়িত্ব পালনে তাদের শতভাগ অঙ্গীকার রয়েছে। তারা সেটা করবেন।