হজ নিবন্ধন শেষ, আরও ২৫ হাজার কোটা খালি

হজের বিমান ভাড়া আর কমানো সম্ভব না : এমডি

২০২৩ সালের হজ নিবন্ধনের সময় তিন দফা সময় বাড়ানো হলেও কোটা খালি রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার। গতকাল শেষ দিনে ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবে। কিন্তু ১৬ মার্চ সকাল পর্যন্ত হজে যেতে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ২ হাজার ১৯৩ জন। সে হিসাবে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৫ হজযাত্রীর কোটা খালি রয়েছে।

এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার উভয় প্যাকেজেই বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।

হজের বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৮ হাজার থেকে কমানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিম। তিনি গতকাল বলেন, ‘হজের ১৬টি খরচের খাত রয়েছে। তার মধ্যে বিমানভাড়া মাত্র একটি খাত। এছাড়া বিমান হজের ২ লাখ ১০ হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছিল। পরে সবার সঙ্গে বৈঠক করে ১ লাখ ৯৮ হাজারে নামানো হয়। সে সময় আমরা ডলারের এক্সচেঞ্জ রেট ১০৬ টাকা ধরে ভাড়া নির্ধারণ করেছি। এরমধ্যে যদি ডলারের দাম বাড়ে আমাদের ভাড়া আরও বেড়ে যাওয়ার কথা। তবে আমাদের ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকাই নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হজ ফ্লাইটের পুরো ভাড়া বিমান নিচ্ছে না। এর মধ্যে ১২ হাজার টাকা ট্যাক্স রয়েছে। এগুলো বাদ দিয়ে টিকিটপ্রতি বিমান ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৮২ হাজার টাকা পাবে।’

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে হজে যেতে ইচ্ছুক দুই লাখ ৪৯ হাজার ২২৪ জন প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন আট হাজার ৩৯১ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন দুই লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।

প্রাক-নিবন্ধন করতে ৩০ হাজার টাকা (ফেরতযোগ্য) জমা দিতে হয়। আর নিবন্ধনের চূড়ান্ত সময় জমা দিতে হয় অবশিষ্ট টাকা। তবে পাহাড়সম এই খরচ না জোগাতে না পেরে অনেকেই চূড়ান্ত নিবন্ধন করছেন না বরং প্রাক-নিবন্ধনের টাকা ফেরত নেয়ার আবেদন করছেন।

সর্বশেষ গতকাল সকাল পর্যন্ত হজে যেতে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন মাত্র ১ লাখ ২ হাজার ১৯৩ জন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৫৫৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯২ হাজার ৫৯৬ জন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাক-নিবন্ধনকারীদের হজের চূড়ান্ত নিবন্ধনের শেষ তারিখ ছিল গত ২৩ ফেব্রুয়ারি। প্রথম দফায় এই মেয়াদ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু কোটা পূরণ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ৭ মার্চ এবং তৃতীয় দফায় ১৬ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। তবে মন্ত্রণালয় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এবার আর সময় বৃদ্ধি করা হবে না।

শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩ , ০৩ চৈত্র ১৪২৯, ২৪ শবান ১৪৪৪

হজ নিবন্ধন শেষ, আরও ২৫ হাজার কোটা খালি

হজের বিমান ভাড়া আর কমানো সম্ভব না : এমডি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

২০২৩ সালের হজ নিবন্ধনের সময় তিন দফা সময় বাড়ানো হলেও কোটা খালি রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার। গতকাল শেষ দিনে ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবে। কিন্তু ১৬ মার্চ সকাল পর্যন্ত হজে যেতে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ২ হাজার ১৯৩ জন। সে হিসাবে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৫ হজযাত্রীর কোটা খালি রয়েছে।

এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার উভয় প্যাকেজেই বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।

হজের বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৮ হাজার থেকে কমানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিম। তিনি গতকাল বলেন, ‘হজের ১৬টি খরচের খাত রয়েছে। তার মধ্যে বিমানভাড়া মাত্র একটি খাত। এছাড়া বিমান হজের ২ লাখ ১০ হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছিল। পরে সবার সঙ্গে বৈঠক করে ১ লাখ ৯৮ হাজারে নামানো হয়। সে সময় আমরা ডলারের এক্সচেঞ্জ রেট ১০৬ টাকা ধরে ভাড়া নির্ধারণ করেছি। এরমধ্যে যদি ডলারের দাম বাড়ে আমাদের ভাড়া আরও বেড়ে যাওয়ার কথা। তবে আমাদের ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকাই নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হজ ফ্লাইটের পুরো ভাড়া বিমান নিচ্ছে না। এর মধ্যে ১২ হাজার টাকা ট্যাক্স রয়েছে। এগুলো বাদ দিয়ে টিকিটপ্রতি বিমান ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৮২ হাজার টাকা পাবে।’

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে হজে যেতে ইচ্ছুক দুই লাখ ৪৯ হাজার ২২৪ জন প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন আট হাজার ৩৯১ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন দুই লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।

প্রাক-নিবন্ধন করতে ৩০ হাজার টাকা (ফেরতযোগ্য) জমা দিতে হয়। আর নিবন্ধনের চূড়ান্ত সময় জমা দিতে হয় অবশিষ্ট টাকা। তবে পাহাড়সম এই খরচ না জোগাতে না পেরে অনেকেই চূড়ান্ত নিবন্ধন করছেন না বরং প্রাক-নিবন্ধনের টাকা ফেরত নেয়ার আবেদন করছেন।

সর্বশেষ গতকাল সকাল পর্যন্ত হজে যেতে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন মাত্র ১ লাখ ২ হাজার ১৯৩ জন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৫৫৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯২ হাজার ৫৯৬ জন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাক-নিবন্ধনকারীদের হজের চূড়ান্ত নিবন্ধনের শেষ তারিখ ছিল গত ২৩ ফেব্রুয়ারি। প্রথম দফায় এই মেয়াদ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু কোটা পূরণ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ৭ মার্চ এবং তৃতীয় দফায় ১৬ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। তবে মন্ত্রণালয় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এবার আর সময় বৃদ্ধি করা হবে না।