ড. ইউনূস সম্মানিত নাগরিক, কিন্তু এ দেশ নিয়ে ভাবেন না : কাদের

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেশের সম্মানিত নাগরিক বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। তবে তার অভিযোগ, ড. ইউনূস নিজের কর্মকাণ্ড দিয়ে নিজেকে অসম্মানিত করেছেন। আর বাংলাদেশ এবং এ দেশের জনগণ নিয়ে ড. ইউনূস কিছু ভাবেন না বলেও অভিযোগ ক্ষমতাসিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সুখে দুঃখে তিনি নেই, আমাদের করোনা মহামারীতে তিনি নেই, ১৫ অগাস্টের প্রতিক্রিয়া তার কাছে নেই, ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ডে তিনি প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন না, তিনি নিশ্চুপ থাকেন ২১ অগাস্টের বর্বর গ্রেনেড হামলায়, বাংলাদেশের এত বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, এত প্রাণহানি- আপনি দুনিয়া নিয়ে ভাবেন, বাংলাদেশ নিয়ে তো ভাবেন না। বাংলাদেশ নিয়ে যিনি ভাবেন না তাকে নিয়ে আমরা ভাববো কেন?’

আগামীকাল ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গতকাল খাবার বিতরণ কালে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটন পোস্টে ছাপানো এক খোলা চিঠির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যে মানুষ..., সারা দুনিয়া নিয়ে ভাবেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভাবেন না, তাকে নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নেই।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কিন্তু তিনি তার কর্মকাণ্ডে নিজেকে অসম্মানিত করেছেন। আমাদের দেশের জনগণের কোন সুখে দুঃখে এই মানুষটিকে কখনও আমরা পাইনি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যিনি নিজের আইন নিজেই লঙ্ঘন করেছেন। তিনি ৬০ বছর পর্যন্ত এমডি থাকতে পারবেন। সেখানে তিনি ৭০ বছর পর্যন্ত জোর করে এমডি থাকতে চান। এখানে আইনের প্রশ্ন এসে গেছে। আমরা তো আইনের বিরোধিতা করতে পারি না। তার আইন তিনিই লঙ্ঘন করেছন।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ‘ডেড ইস্যু’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা এই ইস্যুকে আবারও জীবন্ত করতে চায় তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত। এ সময় তিনি বলেন, পৃথিবীর কোথাও যে সরকার ব্যবস্থা নেই, আমরা কেন তা করব?’

বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সরকার যখন প্রয়োজন ছিল তখন আমরাও দাবি তুলেছিলাম। এখন সারাবিশ্বে এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। আমাদের দেশের আদালত এই ব্যবস্থা চিরদিনের জন্য নাকচ করে দিয়েছে।’ একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া বিশ্বের কোথাও এ ব্যবস্থা নেই উল্লেখ করে তিনি একটা বাতিল বিষয়কে আবারও জীবন্ত করতে চাওয়ার জন্য বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন।

দলের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।

শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩ , ০৩ চৈত্র ১৪২৯, ২৪ শবান ১৪৪৪

ড. ইউনূস সম্মানিত নাগরিক, কিন্তু এ দেশ নিয়ে ভাবেন না : কাদের

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেশের সম্মানিত নাগরিক বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। তবে তার অভিযোগ, ড. ইউনূস নিজের কর্মকাণ্ড দিয়ে নিজেকে অসম্মানিত করেছেন। আর বাংলাদেশ এবং এ দেশের জনগণ নিয়ে ড. ইউনূস কিছু ভাবেন না বলেও অভিযোগ ক্ষমতাসিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সুখে দুঃখে তিনি নেই, আমাদের করোনা মহামারীতে তিনি নেই, ১৫ অগাস্টের প্রতিক্রিয়া তার কাছে নেই, ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ডে তিনি প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন না, তিনি নিশ্চুপ থাকেন ২১ অগাস্টের বর্বর গ্রেনেড হামলায়, বাংলাদেশের এত বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, এত প্রাণহানি- আপনি দুনিয়া নিয়ে ভাবেন, বাংলাদেশ নিয়ে তো ভাবেন না। বাংলাদেশ নিয়ে যিনি ভাবেন না তাকে নিয়ে আমরা ভাববো কেন?’

আগামীকাল ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গতকাল খাবার বিতরণ কালে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটন পোস্টে ছাপানো এক খোলা চিঠির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যে মানুষ..., সারা দুনিয়া নিয়ে ভাবেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভাবেন না, তাকে নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নেই।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কিন্তু তিনি তার কর্মকাণ্ডে নিজেকে অসম্মানিত করেছেন। আমাদের দেশের জনগণের কোন সুখে দুঃখে এই মানুষটিকে কখনও আমরা পাইনি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যিনি নিজের আইন নিজেই লঙ্ঘন করেছেন। তিনি ৬০ বছর পর্যন্ত এমডি থাকতে পারবেন। সেখানে তিনি ৭০ বছর পর্যন্ত জোর করে এমডি থাকতে চান। এখানে আইনের প্রশ্ন এসে গেছে। আমরা তো আইনের বিরোধিতা করতে পারি না। তার আইন তিনিই লঙ্ঘন করেছন।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ‘ডেড ইস্যু’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা এই ইস্যুকে আবারও জীবন্ত করতে চায় তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত। এ সময় তিনি বলেন, পৃথিবীর কোথাও যে সরকার ব্যবস্থা নেই, আমরা কেন তা করব?’

বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সরকার যখন প্রয়োজন ছিল তখন আমরাও দাবি তুলেছিলাম। এখন সারাবিশ্বে এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। আমাদের দেশের আদালত এই ব্যবস্থা চিরদিনের জন্য নাকচ করে দিয়েছে।’ একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া বিশ্বের কোথাও এ ব্যবস্থা নেই উল্লেখ করে তিনি একটা বাতিল বিষয়কে আবারও জীবন্ত করতে চাওয়ার জন্য বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন।

দলের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।