শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

ঢালিউডের (ঢাকাইয়া সিনেমা) নাম্বার ওয়ান নায়ক বিবেচনা করা হয় শীর্ষ চিত্রনায়ক শাকিব খানকে। ‘নানা কারণে’ আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে থাকা শাকিব খানের বিরুদ্ধে এবার ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ উঠেছে। আর সেই অভিযোগ তার অভিনিত সিনেমার এক প্রযোজকেরই। ওই প্রযোজক অভিযোগ মুখেই করেননি, লিখিতভাবে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে।

‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অন্যতম প্রযোজক রহমত উল্ল্যাহ গত বুধবার এ অভিযোগটি দায়ের করেছেন। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর তা নিয়ে সালিশ দরবারে বসেছে শিল্পী সমিতির নেতারা। যদিও গতকাল ওই সালিশ বৈঠক কোন রকম সুরাহা ছাড়াই শেষ হয়েছে। এখন ধর্ষণের অভিযোগে বাংলাদেশ কিং খান খ্যাত এ অভিনেতার বিরুদ্ধে কোন মামলা হচ্ছে কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে শাকিবের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে একহাত নিয়েছেন গুণী পরিচালক কাজী হায়াৎ। শাকিবের পক্ষ নিয়ে এমন অভিযোগ ভ্রান্তিকর বলেও দাবি করেন তিনি।

এদিকে সহকারী নারী প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠার পর আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে ঢালিউডপাড়ায়। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগকারী প্রযোজকের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। গতকাল বিকেলে অভিযোগকারী প্রযোজকের সঙ্গে একটি রেস্তোরাঁয় বৈঠক করেছেন শাকিব খান। অভিযোগের বিষয়ে সমাধান নিয়েও আলোচনা করেছেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। তিনি খবরটি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। খসরু বলেন, ‘সমাধান হয়নি কিছু। তবে সমাধানের লক্ষ্যে আমরা বিকেলে বসেছি। চেষ্টা করছি সমাধানের। এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’ খসরুর দেয়া তথ্য অনুসারে, অভিযোগকারীর সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন শাকিব খান। নিজের জায়গায় এখনও অনড় রয়েছেন সেই প্রযোজক।

রহমত উল্ল্যাহর অভিযোগ, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার দৃশ্য ধারণের সময় এক নারী সহ-প্রযোজককে ‘ধর্ষণ’ করেন শাকিব খান, এরপর তিনি দেশে পালিয়ে আসেন। শাকিব খানের বিরুদ্ধে সেই ভুক্তভোগী অস্ট্রেলিয়া পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগও করেছিলেন। সেই অভিযোগে তিনি সাক্ষীও হয়েছিলেন।

অভিযোগের এক পর্যায়ে উল্লেখ করা হয়, একবার তিনি (শাকিব খান) আমাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করে বসলেন। ভুক্তভোগী এই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করলেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। নির্যাতিতা তখন এই ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। (এনএসডাব্লিউ পুলিশ রেফারেন্স নং : ই ৬২৪৯৪৯৫৯) নির্যাতিতা নিজেও একজন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত নারী। আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম। এই ঘটনার পর তিনি এবং তার পরিবার সামাজিকভাবে যেই গ্লানি এবং কুৎসার শিকার হন, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে একটা পর্যায়ে তার নিজের এবং তার পরিবারের টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। ওইদিন আমরা যখন সহকর্মীকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত, শাকিব খান সেইদিন কাউকে কিছু না জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে চুপিসারে চলে যান।

এরপর থেকে শাকিবের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে তিনি আবার অস্ট্রেলিয়ায় আসলে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। সামাজিক চাপে এবং আরও নিগ্রহের ভয়ে নির্যাতিতা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই যাত্রায় ছাড় পেয়ে যান।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে তিনি (শাকিব খান) শুটিং করতে আসতেন নিজের ইচ্ছেমতো সময়ে। অনেক সময় এমন হতো যে অত্যন্ত ব্যয়বহুল সেট বানিয়ে আমরা তার জন্য অপেক্ষা করতাম। তিনি হয়ত শেষ বেলায় দুই এক ঘণ্টা অভিনয় করার জন্য আসতেন। এভাবে শুটিং না করেও সবার বেতন দিয়ে আমরা শুধু অপেক্ষা করতাম তিনি আসবেন বলে। তাকে নিয়মিত পতিতালয়ে নিয়ে যেতে হতো, আর তা না হলে তার হোটেল কক্ষে অস্ট্রেলিয়ান যৌনকর্মীদের নিয়ে আসতে হতো। এই ব্যাপারটি ছিল প্রতিদিনের রুটিন। কখনো কখনো একাধিকবার। এসব যৌনকর্মীদের মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক আমাদেরই দিতে হতো।

এ ঘটনাগুলোর চাক্ষুষ সাক্ষী বলে এই প্রযোজক অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। আশিকুর রহমান পরিচালিত ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমাটি ২০১৭ সালে শুটিং শুরু হলেও আজও শেষ হয়নি এর কাজ। কারণ হিসেবে শাকিব খানের অসহযোগিতা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন সিনেমাটির প্রযোজক। এ সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করছিলেন শাকিব খান ও অভিনেত্রী শিবা আলী খান। এছাড়া অন্যদের মধ্যে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, টাইগার রবি প্রমুখ।

অভিযোগে রহমত উল্ল্যাহ লিখেছেন, ‘দুটি ভিন্ন দেশের আদালতে আইনি এখতিয়ারের সীমাবদ্ধতার কারণে ধর্ষণের বিচার হয়তো বিচারিক আদালতে সম্ভব হবে না। অর্থ, স্বপ্ন ও সম্মান হারিয়ে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। আপনি এর দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেবেন, এই প্রত্যাশা রইল।’ ধর্ষণ ছাড়াও তার অপেশাদার আচরণের কারণে সিনেমার নির্মাণ ব্যয় বেড়ে গিয়েছিল বলে জানান রহমত উল্ল্যাহ। ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমা পরিচালনা করেছেন পরিচালক আশিকুর রহমান। এতে শাকিবের নায়িকা ছিলেন সিবা আলী খান।

শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অভিযোগ তো যে কেউ করতে পারেন। আগে আমরা দেখব বিষয়টি কী। যেহেতু শাকিব খান আমাদের সমিতির সদস্য, কাজেই তার বক্তব্য আমরা সবার আগে শুনব। তারপর অভিযোগকারীর সঙ্গে কথা বলব। অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করে স্পষ্ট হয়ে তবেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কী করা যায়। তবে এর সবই আমাদের সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন দেশে আসার পর। তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে।’

পরিচালক সমিতির সভাপতি, প্রযোজক ও অভিনেতা কাজী হায়াতের ভাষ্য শাকিব খানকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং গসিপে আনার জন্য এমনটা করা হয়েছে। অভিযোগকারীরা আলোচনায় আসতে চাইছেন। কাজী হায়াৎ বলেন, ‘এটা মোটেও সমীচীন নয়, মোটেও ভদ্রতা নয়। একজনের অনুপস্থিতিতে এমন কথা বলা, অভিযোগ দেয়া। প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত জীবন আছে, তারকাদেরও তেমন।

শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩ , ০৩ চৈত্র ১৪২৯, ২৪ শবান ১৪৪৪

শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক ও বিনোদন প্রতিবেদক

image

ঢালিউডের (ঢাকাইয়া সিনেমা) নাম্বার ওয়ান নায়ক বিবেচনা করা হয় শীর্ষ চিত্রনায়ক শাকিব খানকে। ‘নানা কারণে’ আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে থাকা শাকিব খানের বিরুদ্ধে এবার ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ উঠেছে। আর সেই অভিযোগ তার অভিনিত সিনেমার এক প্রযোজকেরই। ওই প্রযোজক অভিযোগ মুখেই করেননি, লিখিতভাবে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে।

‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অন্যতম প্রযোজক রহমত উল্ল্যাহ গত বুধবার এ অভিযোগটি দায়ের করেছেন। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর তা নিয়ে সালিশ দরবারে বসেছে শিল্পী সমিতির নেতারা। যদিও গতকাল ওই সালিশ বৈঠক কোন রকম সুরাহা ছাড়াই শেষ হয়েছে। এখন ধর্ষণের অভিযোগে বাংলাদেশ কিং খান খ্যাত এ অভিনেতার বিরুদ্ধে কোন মামলা হচ্ছে কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে শাকিবের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে একহাত নিয়েছেন গুণী পরিচালক কাজী হায়াৎ। শাকিবের পক্ষ নিয়ে এমন অভিযোগ ভ্রান্তিকর বলেও দাবি করেন তিনি।

এদিকে সহকারী নারী প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠার পর আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে ঢালিউডপাড়ায়। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগকারী প্রযোজকের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। গতকাল বিকেলে অভিযোগকারী প্রযোজকের সঙ্গে একটি রেস্তোরাঁয় বৈঠক করেছেন শাকিব খান। অভিযোগের বিষয়ে সমাধান নিয়েও আলোচনা করেছেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। তিনি খবরটি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। খসরু বলেন, ‘সমাধান হয়নি কিছু। তবে সমাধানের লক্ষ্যে আমরা বিকেলে বসেছি। চেষ্টা করছি সমাধানের। এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’ খসরুর দেয়া তথ্য অনুসারে, অভিযোগকারীর সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন শাকিব খান। নিজের জায়গায় এখনও অনড় রয়েছেন সেই প্রযোজক।

রহমত উল্ল্যাহর অভিযোগ, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার দৃশ্য ধারণের সময় এক নারী সহ-প্রযোজককে ‘ধর্ষণ’ করেন শাকিব খান, এরপর তিনি দেশে পালিয়ে আসেন। শাকিব খানের বিরুদ্ধে সেই ভুক্তভোগী অস্ট্রেলিয়া পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগও করেছিলেন। সেই অভিযোগে তিনি সাক্ষীও হয়েছিলেন।

অভিযোগের এক পর্যায়ে উল্লেখ করা হয়, একবার তিনি (শাকিব খান) আমাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করে বসলেন। ভুক্তভোগী এই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করলেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। নির্যাতিতা তখন এই ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। (এনএসডাব্লিউ পুলিশ রেফারেন্স নং : ই ৬২৪৯৪৯৫৯) নির্যাতিতা নিজেও একজন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত নারী। আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম। এই ঘটনার পর তিনি এবং তার পরিবার সামাজিকভাবে যেই গ্লানি এবং কুৎসার শিকার হন, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে একটা পর্যায়ে তার নিজের এবং তার পরিবারের টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। ওইদিন আমরা যখন সহকর্মীকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত, শাকিব খান সেইদিন কাউকে কিছু না জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে চুপিসারে চলে যান।

এরপর থেকে শাকিবের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে তিনি আবার অস্ট্রেলিয়ায় আসলে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। সামাজিক চাপে এবং আরও নিগ্রহের ভয়ে নির্যাতিতা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই যাত্রায় ছাড় পেয়ে যান।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে তিনি (শাকিব খান) শুটিং করতে আসতেন নিজের ইচ্ছেমতো সময়ে। অনেক সময় এমন হতো যে অত্যন্ত ব্যয়বহুল সেট বানিয়ে আমরা তার জন্য অপেক্ষা করতাম। তিনি হয়ত শেষ বেলায় দুই এক ঘণ্টা অভিনয় করার জন্য আসতেন। এভাবে শুটিং না করেও সবার বেতন দিয়ে আমরা শুধু অপেক্ষা করতাম তিনি আসবেন বলে। তাকে নিয়মিত পতিতালয়ে নিয়ে যেতে হতো, আর তা না হলে তার হোটেল কক্ষে অস্ট্রেলিয়ান যৌনকর্মীদের নিয়ে আসতে হতো। এই ব্যাপারটি ছিল প্রতিদিনের রুটিন। কখনো কখনো একাধিকবার। এসব যৌনকর্মীদের মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক আমাদেরই দিতে হতো।

এ ঘটনাগুলোর চাক্ষুষ সাক্ষী বলে এই প্রযোজক অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। আশিকুর রহমান পরিচালিত ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমাটি ২০১৭ সালে শুটিং শুরু হলেও আজও শেষ হয়নি এর কাজ। কারণ হিসেবে শাকিব খানের অসহযোগিতা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন সিনেমাটির প্রযোজক। এ সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করছিলেন শাকিব খান ও অভিনেত্রী শিবা আলী খান। এছাড়া অন্যদের মধ্যে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, টাইগার রবি প্রমুখ।

অভিযোগে রহমত উল্ল্যাহ লিখেছেন, ‘দুটি ভিন্ন দেশের আদালতে আইনি এখতিয়ারের সীমাবদ্ধতার কারণে ধর্ষণের বিচার হয়তো বিচারিক আদালতে সম্ভব হবে না। অর্থ, স্বপ্ন ও সম্মান হারিয়ে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। আপনি এর দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেবেন, এই প্রত্যাশা রইল।’ ধর্ষণ ছাড়াও তার অপেশাদার আচরণের কারণে সিনেমার নির্মাণ ব্যয় বেড়ে গিয়েছিল বলে জানান রহমত উল্ল্যাহ। ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমা পরিচালনা করেছেন পরিচালক আশিকুর রহমান। এতে শাকিবের নায়িকা ছিলেন সিবা আলী খান।

শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অভিযোগ তো যে কেউ করতে পারেন। আগে আমরা দেখব বিষয়টি কী। যেহেতু শাকিব খান আমাদের সমিতির সদস্য, কাজেই তার বক্তব্য আমরা সবার আগে শুনব। তারপর অভিযোগকারীর সঙ্গে কথা বলব। অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করে স্পষ্ট হয়ে তবেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কী করা যায়। তবে এর সবই আমাদের সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন দেশে আসার পর। তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে।’

পরিচালক সমিতির সভাপতি, প্রযোজক ও অভিনেতা কাজী হায়াতের ভাষ্য শাকিব খানকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং গসিপে আনার জন্য এমনটা করা হয়েছে। অভিযোগকারীরা আলোচনায় আসতে চাইছেন। কাজী হায়াৎ বলেন, ‘এটা মোটেও সমীচীন নয়, মোটেও ভদ্রতা নয়। একজনের অনুপস্থিতিতে এমন কথা বলা, অভিযোগ দেয়া। প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত জীবন আছে, তারকাদেরও তেমন।