টেকসই সাপ্লাই চেইন তৈরিতে সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ

টেকসই সাপ্লাই চেইন তৈরিতে সহযোগিতামূলক পন্থা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমই-এর সভাপতি ফারুক হাসান। সম্প্রতি ঢাকায় সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের ৪র্থ সংস্করণের উপস্থিত বিদেশি ডেলিগেটদের উদ্দেশে তিনি এ আহ্বান জানান।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘দায়িত্বশীল ব্যবসা এবং টেকসই বাণিজ্যের বিষয়টি প্রস্তুতকারকদের পর্যায়ে সীমাবদ্ধ রাখা যৌক্তিক নয়। প্রস্তুতকারীরা সাপ্লাই চেইনেরই একটি অংশ এবং সাপ্লাই চেইনের মধ্যে থাকা স্বতন্ত্র ব্যক্তিদের সবারই নিজস্ব ভূমিকা এবং দায়িত্ব রয়েছে। সুতরাং সাপ্লাই চেইনের মধ্যে টেকসই ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য একটি হ্যান্ড-হোল্ডিং পন্থার প্রয়োজন।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস; বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের রাষ্ট্রদূত ও প্রধান চার্লস হোয়াইটলি; কেডিএসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম রহমান; এপিক গ্রুপের নির্বাহী চেয়ারম্যান রঞ্জন মাহতানী; লাওডেস ফাউন্ডেশনের লেবার রাইটস প্রোগ্রামের প্রধান নওরীন চৌধুরী প্রমুখ।

ফারুক হাসান বলেন, ‘বিজিএমইএ এবং বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে সাসটেইনেবিলিটি একটি প্রধান অগ্রাধিকার। এ অগ্রযাত্রায় বিশেষ করে পরিবেশগত এবং সামাজিকগত টেকসই উন্নয়ন ক্ষেত্রে শিল্পের অনন্য অর্জনগুলো এরই সপক্ষে সাক্ষ্য দেয়। আমরা কর্মক্ষেত্রে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি যা আমাদের প্রতি বৈশ্বিক আস্থা পুনরায় ফিরিয়ে এনেছে। আমরা আমাদের কর্মীদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য উদ্যোগও গ্রহণ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শিল্পটিকে আরও গ্রিন এবং আরও পরিচ্ছন্ন করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছি। বাংলাদেশে এখন ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) দ্বারা প্রত্যয়িত সর্বোচ্চ সংখ্যক লিড গ্রিন কারখানা বাংলাদেশে। এছাড়াও বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি গ্রিন পোশাক কারখানার মধ্যে ৫৩টিই বাংলাদেশে অবস্থিত।’

শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩ , ০৪ চৈত্র ১৪২৯, ২৫ শবান ১৪৪৪

টেকসই সাপ্লাই চেইন তৈরিতে সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

টেকসই সাপ্লাই চেইন তৈরিতে সহযোগিতামূলক পন্থা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমই-এর সভাপতি ফারুক হাসান। সম্প্রতি ঢাকায় সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের ৪র্থ সংস্করণের উপস্থিত বিদেশি ডেলিগেটদের উদ্দেশে তিনি এ আহ্বান জানান।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘দায়িত্বশীল ব্যবসা এবং টেকসই বাণিজ্যের বিষয়টি প্রস্তুতকারকদের পর্যায়ে সীমাবদ্ধ রাখা যৌক্তিক নয়। প্রস্তুতকারীরা সাপ্লাই চেইনেরই একটি অংশ এবং সাপ্লাই চেইনের মধ্যে থাকা স্বতন্ত্র ব্যক্তিদের সবারই নিজস্ব ভূমিকা এবং দায়িত্ব রয়েছে। সুতরাং সাপ্লাই চেইনের মধ্যে টেকসই ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য একটি হ্যান্ড-হোল্ডিং পন্থার প্রয়োজন।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস; বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের রাষ্ট্রদূত ও প্রধান চার্লস হোয়াইটলি; কেডিএসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম রহমান; এপিক গ্রুপের নির্বাহী চেয়ারম্যান রঞ্জন মাহতানী; লাওডেস ফাউন্ডেশনের লেবার রাইটস প্রোগ্রামের প্রধান নওরীন চৌধুরী প্রমুখ।

ফারুক হাসান বলেন, ‘বিজিএমইএ এবং বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে সাসটেইনেবিলিটি একটি প্রধান অগ্রাধিকার। এ অগ্রযাত্রায় বিশেষ করে পরিবেশগত এবং সামাজিকগত টেকসই উন্নয়ন ক্ষেত্রে শিল্পের অনন্য অর্জনগুলো এরই সপক্ষে সাক্ষ্য দেয়। আমরা কর্মক্ষেত্রে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি যা আমাদের প্রতি বৈশ্বিক আস্থা পুনরায় ফিরিয়ে এনেছে। আমরা আমাদের কর্মীদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য উদ্যোগও গ্রহণ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শিল্পটিকে আরও গ্রিন এবং আরও পরিচ্ছন্ন করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছি। বাংলাদেশে এখন ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) দ্বারা প্রত্যয়িত সর্বোচ্চ সংখ্যক লিড গ্রিন কারখানা বাংলাদেশে। এছাড়াও বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি গ্রিন পোশাক কারখানার মধ্যে ৫৩টিই বাংলাদেশে অবস্থিত।’